চীনে ১৬ লাখের বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি ফেরত নিচ্ছে টেসলা
গত মাসেই গাড়ির ‘অটোপাইলট’ প্রযুক্তির ত্রুটির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২০ লাখ গাড়িকে ফেরত নিয়েছিল ইলন মাস্কের মোটরগাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা মোটরস। এবার চীনেও ঘটছে একই ঘটনা। চীন থেকে ১৬ লাখের বেশি বৈদ্যুতিক গাড়িকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টেসলার গাড়ির অটোমেটিক অ্যাসিস্টেড স্টিয়ারিং ও ডোর লক কন্ট্রোল প্রযুক্তিতে ত্রুটি খুঁজে পাওয়া গেছে, জানিয়েছে চীনের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা দ্য স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর মার্কেট রেগুলেশন (এসএএমআর)।
টেসলার এই স্বয়ংক্রিয় স্টিয়ারিং প্রযুক্তির মূল কাজ হলো গাড়িকে সঠিক লেনে ধরে রাখা, যাতে অন্য লেনের গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ না ঘটে। এটি একটি স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি, ফলে গাড়িচালক নিজের হাত স্টিয়ারিং থেকে সরিয়ে নিলেও গাড়ি নির্দিষ্ট লেন ধরে চলতে থাকবে। তবে এতে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। চীনের সরু রাস্তায় এটি সঠিকভাবে কাজ না–ও করতে পারে।
চীনের এসএএমআর থেকে জানানো হয়, টেসলার এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ দুর্ঘটনায় পড়তে পারেন। এ ছাড়া টেসলার ডোর লক কন্ট্রোল প্রযুক্তিতেও ত্রুটি পাওয়া গেছে। এই প্রযুক্তিতে কোনো কারণে সংঘর্ষ ঘটলে গাড়ির দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। যাতে যাত্রীরা গাড়ির ভেতরে নিরাপদ থাকেন। সম্প্রতি কিছু ত্রুটির কারণে সংঘর্ষের পর টেসলা গাড়ির দরজা বন্ধ হওয়ার পরিবর্তে খুলে যাচ্ছে।
এই ত্রুটিগুলো টেসলার মডেল এস, এক্স, মডেল থ্রি ও ওয়াই গাড়িগুলোতে পাওয়া গেছে, জানিয়েছে এসএএমআর। তবে এই ত্রুটির জন্য গাড়িকে টেসলার কারখানায় ফেরত নিতে হবে না। সমস্যা যেহেতু সফটওয়্যারজনিত, তাই একটি হালনাগাদের মাধ্যমে ত্রুটিগুলো সমাধান করে দেওয়া হবে। গাড়ির ক্রেতারা নিজে থেকেই সফটওয়্যার হালনাগাদ করে সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, চীনের সাংহাইয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে টেসলার সবচেয়ে বড় কারখানা গিগাফ্যাক্টরি। শুধু ২০২৩ সালেই এই গিগাফ্যাক্টরি থেকে উৎপাদিত হয়েছে টেসলার ৯ লাখ ৪৭ হাজার গাড়ি।
সূত্র: বিবিসি