কণ্ঠস্বর নকলের এআই টুল তৈরি করলেও যে কারণে চালু করছে না ওপেনএআই
মাত্র ১৫ সেকেন্ডে যেকোনো ব্যক্তির ধারণ করা অডিও বার্তা শুনে সেই ব্যক্তির কণ্ঠস্বরে কথা বলতে সক্ষম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সুবিধার ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট টুল তৈরি করেছে চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। গত শুক্রবার এআই টুলটিতে ব্যবহৃত ‘ভয়েস ইঞ্জিন’ প্রযুক্তি উন্মোচনও করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট টুলটি সবার জন্য এখনো উন্মুক্ত করা হয়নি। কারণ হিসেবে এআই টুলটির মাধ্যমে অনলাইন নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কার কথা বলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ওপেনএআই জানিয়েছে, যেকোনো ব্যক্তির কণ্ঠস্বরের রেকর্ড শোনার পর সেই ব্যক্তির কণ্ঠ হুবহু নকল করতে পারে ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট টুলটি। বর্তমানে নির্দিষ্টসংখ্যক ব্যবহারকারী টুলটি ব্যবহার করতে পারছেন। তবে অনলাইনে পরিচিত বা অপরিচিত ব্যক্তির কণ্ঠ নকল করে অপরাধ ঘটার আশঙ্কা থাকায় এখনই সবার জন্য টুলটি উন্মুক্ত করা হবে না। অবিকল কণ্ঠস্বর নকল করতে সক্ষম প্রযুক্তি ব্যবহারে ভয়ংকর ঝুঁকি রয়েছে। এটি সম্পর্কে আমরা অবগত। বিশেষ করে নির্বাচনের বছরে এই টুলের ঝুঁকি আরও বেশি।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কণ্ঠ নকল করে নিউ হ্যাম্পশায়ার স্টেটের প্রাথমিক নির্বাচনের আগে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হয়। এরই মধ্যে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানটি শনাক্ত করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শুধু তাই নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিনির্ভর ভুয়া কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে ফোনকলও নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি)।
সূত্র: নিউজ১৮ ডটকম