ভুয়া তথ্য ও ছবি শনাক্তে চ্যাটবট চালু করছে হোয়াটসঅ্যাপ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি জনপ্রিয় হওয়ার পাশাপাশি এর অপব্যবহারও বাড়ছে। সম্প্রতি এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুয়া ভিডিও তৈরির পাশাপাশি মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। ফলে বিভ্রান্তি তৈরির পাশাপাশি প্রতারণার ঘটনাও ঘটছে। এ সমস্যা থেকে ব্যবহারকারীদের রক্ষা করতে ফ্যাক্টচেকিং চ্যাটবট চালু করতে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। চ্যাটবটটির মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি ডিপফেক ভিডিও ও ছবি চেনার পাশাপাশি ভুয়া তথ্য শনাক্ত করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা জানিয়েছে, মিসইনফরমেশন কমব্যাট অ্যালায়েন্সের (এমসিএ) সহযোগিতায় হোয়াটসঅ্যাপে একটি ফ্যাক্টচেকিং চ্যাটবট চালু করা হবে। ফলে ব্যবহারকারীরা হোয়াটসঅ্যাপে আদান-প্রদান করা ভুয়া তথ্য যাচাইয়ের পাশাপাশি প্রকৃত তথ্য জানতে পারবেন। এ উদ্যোগে এমসিএ ছাড়াও বিভিন্ন ফ্যাক্টচেকার ও গবেষকেরা যুক্ত থাকবেন। কোনো তথ্য সম্পর্কে সন্দেহ হলে সেটির বিষয়ে চ্যাটবটের কাছে জানতে চাইলেই প্রকৃত তথ্য জানা যাবে। শুরুতে ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দি, তামিল ও তেলেগু ভাষায় ব্যবহার করা যাবে চ্যাটবটটি।
মেটা এবং এমসিএ জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের ফ্যাক্টচেকিং হেল্পলাইন চ্যাটবটটি চারটি স্তরে কাজ করবে। ফলে ব্যবহারকারীরা তথ্য যাচাইয়ের অনুরোধ করার পর প্রথমেই সেই তথ্যের উৎস যাচাই করবে চ্যাবটটি। এরপর প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবহারকারীদের জানানোর পাশাপাশি ভুয়া তথ্যের বিষয়ে সতর্ক করবে। হোয়াটসঅ্যাপের হেল্পলাইন চ্যাটবটটি পরিচালনা করবে মেটা। আর চ্যাটবটে পাওয়া তথ্য যাচাই করতে ‘ডিপফেক অ্যানালাইসিস ইউনিট’ গঠন করবে এমসিএ। তথ্য যাচাইয়ের জন্য ১১টি ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেওয়া হবে।
ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির কারণে সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা ও জালিয়াতির ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শুধু তা-ই নয়, মিথ্যা তথ্য প্রচারের জন্য হোয়াটসঅ্যাপে ভুয়া তথ্য ও ছবিও আদান-প্রদানের সংখ্যাও বেড়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বার্তাগুলো অনেকেই শনাক্ত করতে পারেন না। ফলে তারাও না বুঝে বার্তাগুলো অন্যদের কাছে পাঠান। এর মাধ্যমে গুজব তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। চ্যাটবটটি চালু হলে হোয়াটসঅ্যাপে ভুয়া তথ্যের প্রচার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস