মাইক্রোসফটের নতুন এলএএম প্রযুক্তি কী, কীভাবে কাজ করে

মাইক্রোসফটফাইল ছবি: রয়টার্স

লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের (এলএলএম) মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন এআই টুল ও চ্যাটবট তৈরি করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এসব এআই টুল ও চ্যাটবটের মাধ্যমে সহজেই বার্তা, প্রবন্ধসহ যেকোনো সফটওয়্যার বা প্রোগ্রামের কোড লেখার পাশাপাশি দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজ করা যায়। চ্যাটবট ও কোডিংয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সক্ষমতা প্রমাণিত হলেও সেগুলো ব্যবহারকারীদের উপযোগী সব কাজ করতে পারে না। এই সীমাবদ্ধতা দূর করতে লার্জ অ্যাকশন মডেল (এলএএম) নামের নতুন এআই মডেল তৈরি করেছে মাইক্রোসফট। নতুন এআই মডেলটি ব্যবহারকারীদের হয়ে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে বিভিন্ন অ্যাপ চালু করার পাশাপাশি সেগুলো কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কাজও করতে পারে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

মাইক্রোসফটের তথ্যমতে, এলএলএম মডেলগুলো মূলত টেক্সট বুঝতে এবং তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। তবে এলএএম মডেল ব্যবহারকারীর নির্দেশনা অনুযায়ী সরাসরি কাজ করে দেবে। যেমন কোনো ব্যবহারকারী লার্জ অ্যাকশন মডেলনির্ভর টুলকে পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড তৈরি করতে বললে সেটি পরামর্শ দেওয়ার বদলে নিজে থেকেই স্লাইড তৈরি, ফরম্যাটিং ও প্রয়োজনীয় কাজ করে দেবে।

এলএলএমের তুলনায় এলএএম তৈরির পদ্ধতি বেশি জটিল। এই মডেল তৈরিতে পাঁচটি ধাপ অনুসরণ করা হয়েছে। এলএএম মডেলের জন্য টাস্ক প্ল্যান ও টাস্ক অ্যাকশন নামে দুই ধরনের তথ্যের প্রয়োজন হয়। টাস্ক প্ল্যান ডেটা বলতে বড় ধাপের নির্দেশনা বোঝায়। যেমন একটি ডকুমেন্ট খুলে নির্দিষ্ট টেক্সটকে হাইলাইট করা। আর সেই কাজের ছোট ছোট ধাপকে টাস্ক অ্যাকশন ডেটা বলা হয়।

এলএএম মডেলের প্রশিক্ষণে সুপারভাইজড ফাইন টিউনিং, রি–ইনফোর্সমেন্ট লার্নিং ও ইমিটেশন লার্নিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট। এগুলো বাস্তবে ব্যবহারের আগে পরীক্ষার মাধ্যমে দক্ষতা যাচাই করা হবে। এরপর মডেলটি উইন্ডোজ জিইউআই এজেন্টের মতো সিস্টেমের সঙ্গে একীভূত করা হবে। ফলে এটি বিভিন্ন সফটওয়্যারের সঙ্গে সরাসরি কাজ করতে পারবে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস