চ্যাটজিপিটির জীবন বাঁচানোর সেই গল্প ভুয়া, প্রকাশ পেল সত্য
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি পোস্টে দাবি করা হয়, চ্যাটজিপিটি এক ব্যক্তির জীবন বাঁচিয়েছে। পোস্টটিতে বলা হয়, এক ব্যবহারকারী চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক লক্ষণ শনাক্ত করে দ্রুত হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসা নিয়ে প্রাণে বেঁচে যান।
তবে পরে জানা যায় যে ওই পোস্ট ছিল পুরোপুরি মিথ্যা। সাইনেবিরিয়ান নামের সেই রেডিট ব্যবহারকারী স্বীকার করে জানিয়েছেন, তিনি চ্যাটজিপিটিকে জীবন বাঁচানোর একটি বানানো গল্প তৈরি করার নির্দেশনা (প্রম্পট) দিয়েছিলেন। প্রম্পটে বলা ছিল, চ্যাটজিপিটি তার জীবন বাঁচিয়েছে এই কাহিনিতে একটি গল্প লিখতে হবে। এরপর চ্যাটজিপিটি জীবন বাঁচানোর একটি কাল্পনিক গল্প লিখে দেয়। সেটি রেডিটে প্রকাশ করেন সাইনেবিরিয়ান। পোস্ট করার পর সেটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে (ভাইরাল হওয়া)। পোস্টটি প্রকাশের কিছুদিনের মধ্যেই ৫০ হাজারের বেশি আপভোট এবং ২ হাজারের বেশি মন্তব্য জমা পড়ে।
চ্যাটজিপিটি নিয়ে তৈরি একটি রেডিট কমিউনিটিতে পোস্টটি নিয়ে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া উঠে আসে। কেউ কেউ চ্যাটজিপিটির প্রশংসা করে নিজের অভিজ্ঞতা জানান। অনেকেই মানসিক সহায়তা, সম্পর্কের জন্য পরামর্শ, এমনকি পারিবারিক সমস্যায় করণীয় কী হতে পারে—এমন পরামর্শ চেয়ে চ্যাটজিপিটিতে প্রম্পট লেখেন বলে উল্লেখ করেন। আবার পোস্টের সত্যতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন অনেক ব্যবহারকারী। তাঁদের মতে, পোস্টটির লেখার ধরন ও ভাষাশৈলী ছিল অস্বাভাবিক। পোস্টটি পড়ে বোঝা যাচ্ছিল যে এটি নিশ্চিতভাবে এআই দিয়ে লেখানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রযুক্তির অগ্রগতি যেমন বিস্ময়কর, তেমনি এর ব্যবহারেও সতর্ক থাকা জরুরি। এ ধরনের ঘটনা ইন্টারনেটে তথ্য যাচাই করার প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব তুলে ধরে। ইন্টারনেটে পড়া সব তথ্য নির্ভরযোগ্য নয় এবং তা যাচাইয়ের দাবি রাখে। এ ছাড়া এআই প্রযুক্তি এখন এত উন্নত যে এআই দিয়ে লেখাকে বাস্তব থেকে আলাদা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র: ম্যাশেবল ডটকম