আইপিআর টাস্কফোর্স, কপিরাইট অফিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গত ১০ সেপ্টেম্বর গুলশানের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে পাইরেটেড সফটওয়্যার ইনস্টল করার অভিযোগ ছিল। অভিযান চালিয়ে ৬৯টি পাইরেটেড সফটওয়্যারযুক্ত ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। এই সফটওয়্যারগুলোর বেশির ভাগই মাইক্রোসফটের।
অভিযান বিষয়ে আইপিআর টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, খুচরা বিক্রেতাদের এ ধরনের পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার না করতে বারবার বলা হয়েছে। কিন্তু তারা কানে তোলেননি। এ জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার কপি রাইটের লঙ্ঘন। পাশাপাশি এর ব্যবহার বড় ধরনের সাইবার অপরাধ সংঘটনের ঝুঁকি তৈরি করে।
জানতে চাইলে মাইক্রোসফট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সোনিয়া বশির কবির আজ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের বেশির ভাগ পিসিতে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ও অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার হয়। কিন্তু এর ৯০ শতাংশই পাইরেটেড। তিনি বলেন, পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারের ঝুঁকি অনেক। ডেটা হারানোর ঝুঁকি, ম্যালওয়্যার আক্রমণ, হ্যাকসহ নানা ঝামেলায় পড়তে হয় ব্যবহারকারীকে। ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি অনেক করপোরেট প্রতিষ্ঠানেও পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে, যা আর বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এ জন্য বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়কেই সচেতন হতে হবে।
সোনিয়া বলেন, ‘অনেক সময় কম দামের কথা বলে ক্রেতাকে পাইরেটেড সফটওয়্যার কিনতে ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত করেন। বর্তমানে মাইক্রোসফটের আসল সফটওয়্যারের দাম অনেক কমে গেছে। আসল সফটওয়্যারে তেমন কোনো ঝুঁকি নেই। অ্যান্টিভাইরাসের খরচ বেঁচে যায়। সব মিলিয়ে একটু বাড়তি খরচ হলেও আসল সফটওয়্যার কেনা উচিত। যাঁরা আসল উইন্ডোজ ৮ কিনেছেন তাঁরা তো বিনা মূল্যেই উইন্ডোজ ১০ পাবেন। এ ছাড়াও আসল সফটওয়্যারের বাড়তি সুবিধাও পাবেন।