আলট্রা হাইডেফিনেশন যা ফোর-কে প্রযুক্তি টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, অ্যানিমেশন খাতকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ফোর-কে প্রযুক্তিতে পর্দার রেজ্যুলেশন হতে হয় ন্যূনতম ৩৮৮০ x ২১৬০ পিক্সেল। ফোর-কের জন্য মোট রেজ্যুলেশন মান হলো চারটি। ১. স্ট্যান্ডার্ড ডেফিনেশন (৪৮০/৫৮০ পিক্সেল)। ২. হাইডেফিনেশন (৭২০ পিক্সেল)। ৩. ফুল হাইডেফিনেশন (১০৮০ পিক্সেল)। ৪. আলট্রা হাইডেফিনেশন (২১৬০ পিক্সেল)।
ছবির মানের বেলায় ফোর-কে প্লাজমা টিভিকে পেছনে ফেলে ‘সবচেয়ে আকর্ষণীয়’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে প্রযুক্তিবিদদের কাছে। ফোর-কে ছবি অন্য যেকোনো প্রযুক্তির চেয়ে বেশি বাস্তবসম্মত বলে মনে হয়। যদিও ছোট আকারের পর্দায় ফোর-কে এবং এইচডি (হাইডেফিনেশন) ভিডিওর পার্থক্য খুব কমই বোঝা যায়। ফোর-কের কার্যকারিতা নির্ভর করে বড় আকারে পর্দায় ভিডিও দেখা, দর্শক থেকে পর্দার দূরত্ব এবং ফোর-কে ভিডিওর ওপর।
বিশ্বখ্যাত পরিচালক জেমস ক্যামেরুনের অ্যাভাটার থ্রিডি ছবিটি সনির ফোর-কে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হয়। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের খেলাগুলো ফোর-কেতে ধারণ করেছে সনি। ধীরে ধীরে ফোর-কে প্রযুক্তির টিভি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সনি, প্যানাসনিক, স্যামসাং এ প্রযুক্তির টিভির বাজার দখলের লড়াইয়ে নেমেছে। সনি প্রথম কোম্পানি, যা ফোর-কে প্লেয়ার বাজারে আনে ২০১৩ সালে। সনির নতুন আলট্রা স্লিম ফোর-কে টেলিভিশন আইফোন-৬-এর চেয়েও পাতলা। আর আকারে বিশাল ও নিখুঁত। সনির এই টিভিতে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম থাকবে। ফলে স্মার্টফোনের বৈশিষ্ট্যগুলো পাওয়া যাবে বড় পর্দায়। কথা বলে তথ্য খোঁজা, চলচ্চিত্র, গান, বিভিন্ন অ্যাপ নামানো—এমনকি ক্লাউড প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্লে-স্টেশনও ব্যবহার করা যাবে এই ফোর-কে টিভিতে। বর্তমানে ফোর-কে প্রযুক্তি ব্যবহার করে অ্যানিমেশন ছবি বানানো হচ্ছে। কিন্তু এ জন্য অতিরিক্ত মেমোরির প্রয়োজন। সাধারণ অ্যানিমেশনে ১২ টেরাবাইট মেমোরি ব্যবহৃত হলেও এই প্রযুক্তির ডেসপিকেবল মি ২ ছবিতে ৬৮০ টেরাবাইট মেমোরির প্রয়োজন হয়েছে। এই প্রযুক্তির চলচ্চিত্র অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে থাকে। যদিও এ ব্যাপারে কিছু বিতর্ক আছে যে ফোর-কের অতিরিক্ত রেজ্যুলেশন কি চলচ্চিত্রকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পেরেছে? প্রযুক্তিবিদদের মতে, ফোর-কের আসল স্বাদ পেতে আপনাকে অবশ্যই বড় পর্দার সামনে বসতে হবে।
সূত্র: বিবিসি, আইরিপোর্ট, সিনেট