ব্লুটুথ কেন বন্ধ রাখবেন
প্রয়োজন না থাকলে আপনার স্মার্টফোন বা ল্যাপটপে 'ব্লুটুথ' অপশন বন্ধ রাখুন। সব সময় ব্লুটুথ চালু রাখলে আপনার ডিভাইসটি হ্যাক হয়ে যেতে পারে। সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, যাঁরা সব সময় স্মার্টফোন বা ল্যাপটপে ব্লুটুথ চালু রাখেন, তাঁদের সে অভ্যাস বাদ দিতে হবে। কারণ ব্লুটুথ প্রটোকলে এক ধরনের নিরাপত্তা ত্রুটি পাওয়া গেছে, যা সাইবার দুর্বৃত্তরা কাজে লাগিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে বা ডিভাইস হ্যাক করে সর্বনাশ ঘটাতে পারে।
উইলা্ইভ সিকিউরিটি ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, একাডেমিকদের একটি দল ব্লুটুথ ওয়্যারলেস যোগাযোগ প্রোটোকলে একটি নতুন দুর্বলতা উন্মোচন করেছেন যা স্মার্টফোন, ল্যাপটপ এবং স্মার্ট-হোম ডিভাইসগুলোর মতো বিভিন্ন ডিভাইসে ছদ্মবেশি আক্রমণ 'ব্লুটুথ ইমপারসোনেশন অ্যাটাকস (বিআইএএস) চালায়।
আগে যেসব ডিভাইসে ব্লুটুথ দিয়ে দূরে 'পেয়ার' করা হয়েছিল, সাইবার দুর্বৃত্তার ব্লুটুথের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে সেই ডিভাইসের ছদ্মবেশ নিতে পারে। বর্তমানে যেসব ব্লুটুথ ডিভাইসে ব্লুটুথ বেসিক রেটা (বিআর) বা এনহ্যান্ডসড ডেটা রেট (ইডিআর) কোর কনফিগারেশন ৫.২ বা তার ওপরের সংস্করণ সমর্থন করে, সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণত দুটি ডিভাইসে এনক্রিপটেড সংযোগ স্থাপনে একটি লিংক কি ব্যবহার করে 'পেয়ার' করতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের হামলা থেকে রক্ষা পেতে হালনাগাদ ব্লুটুথ কনফিগারেশন থাকতে হবে। অন্যথায় ডিভাইস নির্মাতাদের ফার্মওয়্যার হালনাগাদ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে। যত দিন ফার্মওয়্যার হালনাগাদ না হচ্ছে, সুরক্ষার জন্য অন্য ডিভাইসে পেয়ার করার প্রয়োজন ছাড়া ব্লুটুথ অপশন বন্ধ রাখতে হবে।
ভারতের সাইবার ইমারজেন্সি রেসপন্স টিমের তথ্য অনুযায়ী, সাইবার দুর্বৃত্তরা চাইলে পরিচয় লুকিয়ে ব্লুটুথের মাধ্যমে আগে পেয়ার কোনো ডিভাইসের মাধ্যমে ডিভাইসে ঢুকে যেতে পারে। ব্লুটুথের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ডিভাইসের পূর্ণ অ্যাকসেস নিতে পারে দুর্বৃত্তরা।