করোনাভাইরাস নিয়ে সব মেইল বিশ্বাস করবেন না
করোনাভাইরাস নিয়ে নানা রকম মেইল পেতে পারেন। কিন্তু সব মেইল বিশ্বাস করবেন না। সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা করোনাভাইরাস নিয়ে আসা মেইল বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
ক্লাউডভিত্তিক নিরাপত্তা ও তথ্য সুরক্ষা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ব্যারাকুডা নেটওয়ার্কসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেব্রুয়ার মাস থেকে করোনাভাইরাস (কোভিড–১৯)–সংক্রান্ত ফিশিং মেইল আসার হার ৬৬৭ শতাংশ বেড়ে গেছে। মেইলের মাধ্যমে প্রতারণামূলক বিভিন্ন বার্তা, লিংক দিয়ে ব্যবহারকারীকে প্রলোভন দেখানো হয় ফিশিং মেইলে। এরপর ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ও স্পর্শকাতর তথ্য হাতিয়ে নেয় সাইবার দুর্বৃত্তরা।
ব্যারাকুডা নেটওয়ার্কসের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের আগ্রহকে কেন্দ্র করে নানা রকম ফিশিং ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। এর মাধ্যমে ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে এবং অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর করোনা নিয়ে ভীতি ও অনিশ্চয়তা কাজে লাগাচ্ছে তারা।
১ থেকে ২৩ মার্চের মধ্যে ব্যারাকুডার গবেষকেরা ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৮২৫টি ফিশিং মেইল ও ই–মেইল আক্রমণের ঘটনা শনাক্ত করেছেন, যার মধ্যে ৯ হাজার ১১৬টি মেইল করোনাভাইরাস–সংক্রান্ত, যা মোট আক্রমণের ২ শতাংশ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১ হাজার ১৮৮ রকমের করোনাভাইরাস–সংক্রান্ত হুমকির বিষয়টি শনাক্ত করা হয়েছিল।
ব্যারাকুডার গবেষকেরা বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে মূলত থিম স্ক্যাম, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অনুকরণ ও বিভিন্ন ব্যবসার মেইলের ছদ্মবেশে আক্রমণ করা হয়।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, মেইলে আসা করোনাভাইরাস–সংক্রান্ত মেইলগুলোর প্রেরক সম্পর্কে ভালোভাবে খেয়াল করুন। এসব মেইলে কোনো লিংক বা অ্যাটাচমেন্ট ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন। এতে ম্যালওয়্যার থাকতে পারে। কোনো প্রলোভন দেখানো মেইলে ক্লিক করে অর্থ লেনদেন বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবেন না। করোনাভাইরাস নিয়ে কেউ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখার জন্য ই–মেইল, পাসওয়ার্ড বা অন্য কোনো স্পর্শকাতর তথ্য চাইলে সাবধান থাকুন।