কাজের ফাঁকে স্মার্টফোন ব্যবহার মস্তিষ্কের জন্য ভালো নয়
অনেকেই মাথা খাটিয়ে কাজের ফাঁকে একটু বিরতি নেন। কিন্তু এ সময় যদি আবার স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তাহলে সে বিরতি কোনো কাজে আসে না। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন বিষয় উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এ নিয়ে গবেষণা চালান।
গবেষকেরা বলেন, মানসিক চ্যালেঞ্জযুক্ত কাজের ফাঁকে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে মস্তিষ্কের বিরতি হয় না। মস্তিষ্ক নতুন করে কর্মক্ষম হয়ে ওঠার সময় পায় না। এতে কাজের ফলাফলে প্রভাব পড়ে।
গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘বিহেভিওরাল অ্যাডিকশনস’ সাময়িকীতে।
রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক টেরি কার্টবার্গ বলেন, কম্পিউটার ও ল্যাপটপের স্ক্রিনের চেয়ে স্মার্টফোনের স্ক্রিন সক্রিয় হয়ে ওঠার বিষয়টি আলাদা। বিরতিতে কারও সঙ্গে কথা বলতে, বার্তা পড়তে বা কোনো বিষয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করার চিন্তা থেকে স্মার্টফোন চালু করলে তাতে মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব পড়ে।
গবেষকেরা ৪১৪ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে এ গবেষণা চালান। তাঁদের ২০ সেট পাজল মেলাতে দেওয়া হয়। এর ফাঁকে বিরতি দিয়ে একদল শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্ট বাজেটের মধ্যে কাগজের বিজ্ঞাপন, কম্পিউটার স্ক্রিন বা স্মার্টফোন ব্যবহার করে কিছু কেনাকাটা বিষয়ে বলা হয়। বিরতির পর দেখা যায়, যাঁরা স্মার্টফোন–বিরতি নিয়েছেন, তাঁরা অনেক কিছু ভুলে গেছেন এবং পাজল মেলানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ করেছেন। তাঁদের সমস্যা সমাধান করতে ১৯ শতাংশ ক্ষেত্রে দেরি হয়েছে।
গবেষকেরা বলেন, যাঁরা কাজের ফাঁকে কোনো বিরতি নেননি, তাঁদের ফলের সঙ্গে স্মার্টফোন–বিরতি নেওয়া দলের ফলাফল প্রায় সমান। অর্থাৎ, বিরতি নেওয়া আর না নেওয়া সমান। যাঁরা একেবারেই বিরতি নেননি, তাঁদের তুলনায় শব্দজট মেলানোর ক্ষেত্রে স্মার্টফোন–বিরতি নেওয়া শিক্ষার্থীদের ফলাফল অবশ্য সামান্য ভালো। অর্থাৎ, একেবারেই বিরতি না নেওয়া ঠিক নয়।