ভালোভাবে ঘুমানোর জন্য মোবাইল ব্যবহারের নিয়ম
সারা দিনের পর রাতেও ঘুমাতে যাওয়ার আগে মোবাইল ফোন ব্যবহারে ঘুমের মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। এখনকার মানুষের কর্মব্যস্ত সময়ে ভালো ঘুমের প্রয়োজনীয়তার কথা সবাই স্বীকার করেন। এখন অনেকেই অফিসে দিনে আট নয় ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে কাটান। এরপর সময় পেলেই আবার মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে চোখ রাখেন। এভাবে ক্রমাগত স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে ঘুমের মারাত্মক সমস্যা হয়। ভালো ঘুমের জন্য তাই স্মার্টফোন ব্যবহারের নিয়ম জেনে রাখা জরুরি।
ঘুমের দুই ঘণ্টা আগে
ভালো ঘুমের জন্য ঘরের তাপমাত্রার বিষয়টি অনেকাংশে নির্ভরশীল। ঘর খুব বেশি গরম বা ঠান্ডা হলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ভালোভাবে ঘুমাতে ঘরের এসি থাকলে স্বস্তিদায়ক তাপমাত্রায় ঠিক করে নিতে হবে। ঘুমানোর জন্য ঘরের আদর্শ তাপমাত্রা ১৮ থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘুমাতে যাওয়ার দুই ঘণ্টা আগেই চা বা কফি খাওয়া বাদ দিতে হবে। ঘরের আশপাশে আলো ও শব্দ বন্ধ করে দিতে হবে। ঘরে বেশি আলো নিভিয়ে হালকা হলুদ আলো রাখা যেতে পারে। ঘুমাতে যাওয়ার দুই ঘণ্টা আগেই আলোর বিষয়টি ঠিক করে নেওয়া যেতে পারে।
ঘুমের এক ঘণ্টা আগে
ঘরে ওয়্যারলেস স্পিকার থাকলে ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত করে তাতে প্রাকৃতিক শব্দ যেমন বৃষ্টি, বাতাস, বজ্রপাত প্রভৃতি ছেড়ে দিতে পারেন। এ ছাড়া ইউটিউব থেকে ঘুমানোর আগে হালকা মেজাজের কিছু গান ছাড়তে পারেন। এর বাইরে কোনো পডকাস্ট বা অডিও শুনতে পারেন।
ফোন বিছানা থেকে দূরে রাখুন
ঘুমানোর আগে আপনার ফোন সাইলেন্ট মোডে রাখতে পারেন। শোয়ার ঘরে মোবাইল না রেখে পাশের ঘরে বা ড্রয়ারে তা রাখতে পারেন। ঘুমানোর আগে মোবাইল ঘাঁটলে চাপ বাড়ে এবং ঘুমাতে দেরি হয়। ঘুমানোর আগে অন্তত এক ঘণ্টা মোবাইল ছাড়া থাকলে আপনার ঘুমের যথেষ্ট উন্নতি হবে।
মোবাইলে অ্যালার্ম ঘড়ি বন্ধ রাখুন
ঘুমানোর পর সকালে জেগে ওঠার জন্য মোবাইলে অ্যালার্ম দেওয়া বন্ধ করুন। মোবাইলের রিং টোন শুনে ওঠার পরিবর্তে উজ্জ্বল প্রাকৃতিক আলো দেখে জেগে ওঠার জন্য শরীরকে প্রশিক্ষণ দিন। ঘরে যথেষ্ট আলো বাতাস ঢোকার ব্যবস্থা রাখুন। মোবাইলে অ্যালার্ম দিয়ে রাখলে আপনার মনে ঘুম ভাঙার জন্য ভয় তৈরি হয়ে থাকে। প্রাকৃতিকভাবে ঘুম থেকে উঠলে মনে ভয় দূর হয়।