জিমেইলে স্প্যাম মেইল আসা কমাবেন যেভাবে
ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়মিত ই-মেইল আদান-প্রদান করেন অনেকেই। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন বা প্রচারণামূলক মেইলের কারণে দরকারের সময় গুরুত্বপূর্ণ মেইল খুঁজে পেতে বেশ ঝামেলা হয়। তবে চাইলেই বেশ কিছু পদ্ধতি অবলস্বন করে স্প্যাম বা অবাঞ্ছিত মেইল আসা কমানো যায়।
বিকল্প ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার
অনলাইনে বিভিন্ন সেবা পেতে বা হালনাগাদ তথ্য জানার জন্য ই-মেইল ঠিকানা দিয়ে নিবন্ধন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যবহার করা ই-মেইল ঠিকানার বদলে বিকল্প ই-ঠিকানা ব্যবহার করা যেতে পারে। এর ফলে নিয়মিত ব্যবহার করা ঠিকানায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা অপরিচিতদের পাঠানো ই-মেইল আসার সংখ্যা কমবে।
নিবন্ধন করা অপ্রয়োজনীয় ই-মেইল সেবা বাতিল
প্রয়োজন ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ই-মেইল সেবা বাতিল করাই ভালো। কারণ, প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিদিনই এক বা একাধিকবার নিবন্ধনকারীদের ই-মেইল ঠিকানায় বার্তা পাঠিয়ে থাকে। শুধু তা–ই নয়, নিবন্ধনকারীদের ই-মেইল ঠিকানা অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রিও করে। এর ফলে অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন ই-মেইল নিয়মিত জমা হয় ইনবক্সে। আর তাই নিবন্ধন করা অপ্রয়োজনীয় ই-মেইল সেবাগুলো দ্রুত আনসাবস্ক্রাইব করতে হবে।
ব্লক করা
জিমেইলে অনাকাঙ্ক্ষিত ইমেইল ঠিকানা সহজেই ব্লক করা যায়। এ জন্য কম্পিউটার থেকে জিমেইলে প্রবেশ করে অনাকাঙ্ক্ষিত ই–মেইলটি খুলতে হবে। এরপর ওপরের ডান দিকে থাকা তিনটি ডট মেনুতে ক্লিক করতে হবে। প্রদর্শিত অপশন থেকে ব্লক অপশনটি নির্বাচন করলেই সেই ঠিকানা থেকে আর ই–মেইল আসবে না।
স্প্যাম ই–মেইল বিষয়ে অভিযোগ
জিমেইলে স্প্যাম ই–মেইলের বিষয়ে অভিযোগও জানানো যায়। এর ফলে পরবর্তী সময়ে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠানো কোনো ই-মেইল ইনবক্সে জমা হবে না। স্প্যাম ই–মেইল বিষয়ে অভিযোগ করার জন্য প্রথমে কম্পিউটার থেকে নির্দিষ্ট ই-মেইলে প্রবেশ করতে হবে। এবার মেইলটির ওপরের ডান পাশে থাকা উলম্ব তিনটি ডট মেনুতে ক্লিক করে ‘রিপোর্ট স্প্যাম’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।