পুরোনো স্মার্টফোন কেনার আগে যা জানতে হবে
স্মার্টফোন এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নিত্যসঙ্গী। একই সঙ্গে ফোনের ক্ষমতাও দিন দিন বাড়ার পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে। ফলে ফোনেই ব্যক্তিগত কাজের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন কাজ করার সুযোগ মিলে থাকে। ভালো কনফিগারেশনের ফোনের দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই পুরোনো ফোন কিনে থাকেন। তবে পুরোনো ফোন কেনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। পুরোনো ফোন কেনার আগে যেসব বিষয় জানতে হবে, সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।
ফোনের অবস্থা
পুরোনো ফোন কেনার আগে প্রথমেই ফোনের বাহ্যিক অংশ ও পর্দায় কোনো ত্রুটি রয়েছে কি না, তা যাচাই করতে হবে। পর্দায় দাগ রয়েছে কি না বা ফোনের পর্দায় সব বাটন ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা দেখতে হবে।
ফোন কত দিনের পুরোনো
ফোনটি কত দিনের পুরোনো, তা অবশ্যই জানতে হবে। কারণ, বেশি পুরোনো মডেলের ফোন হলে অপারেটিং সিস্টেমের পাশাপাশি বিভিন্ন সফটওয়্যার হালনাগাদ করা যায় না। সমস্যা সমাধানে ফোনটির মডেল ইন্টারনেটে সার্চ করে বিস্তারিত তথ্য জানতে হবে।
ব্যাটারির কার্যকারিতা
স্মার্টফোনের জন্য ব্যাটারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ফোনটির ব্যাটারি একবার চার্জ কতক্ষণ ব্যবহার করা যায়, তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এ জন্য ব্যাটারির ক্ষমতা জানার পাশাপাশি চার্জারের কার্যকারিতাও পরীক্ষা করতে হবে।
অপারেটিং সিস্টেম
ফোনে হালনাগাদ অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে কি না, তা দেখে নিতে হবে। এমনকি পরবর্তীকালে কটি হালনাগাদ পাওয়া যাবে, তা–ও জানতে হবে। কারণ, হালনাগাদ অপারেটিং সিস্টেম না থাকলে ফোন ধীরগতির হতে পারে এবং নিরাপত্তা ত্রুটিরও শঙ্কা থাকে।
আইএমইআই নম্বর পরীক্ষা করা
ফোন কেনার সময় অবশ্যই ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি (আইএমইআই) নম্বরটি পরীক্ষা করতে হবে। ফলে জানা যাবে, ফোনটি কেউ চুরি করেছে কি না। চুরি করা ফোন হলে আইনগত জটিলতা হতে পারে।
ফোনের কার্যকারিতা পরীক্ষা
ফোনে বিভিন্ন অ্যাপ, ইন্টারনেট ও ক্যামেরা দ্রুত ব্যবহার করা যাচ্ছে কি না, তা পরীক্ষা করতে হবে। ফলে ফোন ধীরগতির হলে বা ত্রুটি থাকলে তা বোঝা যাবে।
ফোনের ধারণক্ষমতা
ফোনের ধারণক্ষমতা কত, তা জেনে নিতে হবে। কাঙ্ক্ষিত ধারণক্ষমতা না হলে ফোন কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে।
বিক্রেতার পরিচয় সম্পর্ক জানা
পুরোনো ফোন কেনার আগে বিক্রেতার পরিচয় সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজখবর নিতে হবে। ফোনটি তিনি নিজে ব্যবহার করতেন না, নাকি অন্য কারও ফোন বিক্রি করছেন, তা অবশ্যই জানতে হবে। সমস্যা সমাধানে পরিচিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ফোন কিনতে হবে। ফোনের সব কাগজপত্র রয়েছে কি না, তা জানার পাশাপাশি সেগুলো সংগ্রহ করতে হবে।