ভুল করে ফিশিং লিংকে ক্লিক করলে যা করতে হবে

ব্যবহারকারীকে প্রলুব্ধ করে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যাররয়টার্স

সাইবার অপরাধীরা তথ্য চুরি ও অর্থ হাতিয়ে নিতে ‘ফিশিং’ হামলা চালিয়ে থাকে। এ জন্য ক্ষতিকর ওয়েব ঠিকানা বা লিংকযুক্ত বার্তা পাঠানো হয় এবং প্রলোভন দেখিয়ে নির্দিষ্ট লিংকে ক্লিক করতে প্রলুব্ধ করা হয়। লিংকে ক্লিক করলেই ব্যবহারকারীদের যন্ত্রে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে। ক্ষতিকর ম্যালওয়্যারটি গোপনে ব্যক্তিগত তথ্যের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টের নাম, পাসওয়ার্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠাতে থাকে। ফলে অনেকেই প্রতারিত হন। ভুলবশত অনেকেই এমন ফিশিং লিংকে ক্লিক করে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপদ থাকতে যা করতে হবে জেনে নেওয়া যাক।

তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকা

অনেক সময় ভুলবশত অনেকেই ফিশিং লিংকে ক্লিক করে থাকেন। সাধারণত সংক্ষিপ্ত ও দীর্ঘ লিংকে ক্লিক করার পর ও অ্যাড্রেসবারে আইপি ঠিকানা দেখে অনেকে নিশ্চিত হন যে তিনি ফিশিং লিংকে ক্লিক করছেন কি না। সাধারণত এসব ফিশিং লিংকে ক্লিক করার পর ব্যবহারকারীর কাছে বিভিন্ন তথ্য চাওয়া হয়। তাই সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করলে ব্যক্তিগত বা আর্থিক যেকোনো তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কুকিজ গ্রহণ (অ্যাকসেপ্ট) করা যাবে না এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোনো কিছু ডাউনলোডের অনুমতি দেওয়া যাবে না।

ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা

সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করার পর ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে যন্ত্রে ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব। অবশ্য ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেই যে সুরক্ষিত থাকা যাবে, এমন নিশ্চয়তা নেই। তবে লিংকে ক্লিক করার পরপরই দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে সুরক্ষিত থাকার সম্ভাবনা থাকে।

‘ফ্যাক্টরি রিসেট’ করা

স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার সংক্রমণের শঙ্কা থাকলে ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। আবার ফোনের সফটওয়্যার ত্রুটির কারণেও অনেকে ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট দিয়ে থাকেন। ফ্যাক্টরি রিসেট দিলে ফোনে সংরক্ষিত সব তথ্য মুছে যায়৷ তাই ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট দেওয়ার আগে অবশ্যই সব তথ্যের ব্যাকআপ নিশ্চিত করতে হবে।

ম্যালওয়্যার স্ক্যান করা

অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামে বিল্ট–ইন ম্যালওয়্যার স্ক্যানার থাকে। তাই সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করার শঙ্কা থাকলে যন্ত্র দ্রুত স্ক্যান করতে হবে।

পাসওয়ার্ড পরিবর্তন

সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করার শঙ্কা থাকলে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সব অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড ও ক্রেডেনশিয়াল পরিবর্তন করতে হবে।

অভিযোগ জানানো

ফিশিং হামলায় এসএমএস, মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন বা ই–মেইলের মাধ্যমে ক্ষতিকর লিংক পাঠানো হয়। এসব মাধ্যমে ক্ষতিকর লিংক সম্পর্কে অভিযোগ জানানোর অপশন রয়েছে। তাই সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করার শঙ্কা থাকলে, সেই লিংক সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে হবে।

সূত্র: অ্যান্ড্রয়েডপুলিশ ডটকম