প্রযুক্তির এই দিনে: ৮ জুন
শুভ জন্মদিন টিম বার্নার্স–লি
পৃথিবীকে বদলে দেওয়া ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের (ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ) জনক স্যার টিমোথি জন বার্নার্স–লি। ১৯৫৫ সালের ৮ জুন যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
৮ জুন, ১৯৫৫
শুভ জন্মদিন টিম বার্নার্স–লি
পৃথিবীকে বদলে দেওয়া ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের (ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ) জনক স্যার টিমোথি জন বার্নার্স–লি। ১৯৫৫ সালের এই দিনে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। কম্পিউটারবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক টিম বার্নার্স–লি সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইউরোপীয় পরমাণু সংস্থা সার্নে ১৯৮৯ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝি ইন্টারনেটের মাধ্যমে একটি সার্ভার ও হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল (এইটিটিপি) ক্লায়েন্টের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনে সফল হন। এই ধারণা তিনি দিয়েছিল একই বছরের ১২ মার্চ। টিম বার্নার্স–লি প্রথম এইচপিএমএল (হাইপারটেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ) প্রস্তাব করেন। প্রথম ওয়েবসাইট ও ওয়েব পেজ তিনিই তৈরি করেন। তিনি ডব্লিউ৩সি (ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কনসোর্টিয়াম) প্রতিষ্ঠা করেন।
ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ২০০৪ সালে টিম বার্নাস–লিকে নাইটহুড প্রদান করেন। স্যার টিম বার্নাস–লি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মর্যাদাপূর্ণ প্রায় সব পুরস্কারই পেয়েছেন। ডব্লিউডব্লিউডব্লিউয়ের হল অব ফেমে স্থান পাওয়া ছয়জনের একজন তিনি। টিম বার্নার্স–লি ২০১৭ সালের কম্পিউটারবিজ্ঞানের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ টুরিং পুরস্কার পেয়েছেন। এই পুরস্কারের সঙ্গে ছিল গুগলের সৌজন্যে ১০ লাখ ডলার। আরও যেসব পুরস্কার ও স্বীকৃতি পেয়েছেন তার মধ্যে আছে ‘টাইম’ সাময়িকীর দৃষ্টিতে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১০০ ব্যক্তির একজন, ফিনল্যান্ডর মিলেনিয়াম প্রযুক্তি পুরস্কার, ওয়েব অ্যাওয়ার্ডের আজীবন সম্মাননা ইত্যাদি।
ডব্লিউ৩সির পরিচালক হিসেবে তিনি এখনো ওয়েবের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। স্ত্রী রোজমেরি লিথকে সঙ্গে নিয়ে তিনি এই কনসোর্টিয়াম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। টিম বার্নার্স–লি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির কম্পিউটারবিজ্ঞান ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাগারের (সিসেইল) জ্যেষ্ঠ গবেষক ও চেয়ার। তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা হলে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব’ (১৯৯৪), ‘উইভিং দ্য ওয়েব’ (১৯৯৯), ও ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব: ইনফরমেশন ইউনিভার্স’ (১৯৯২)।
৮ জুন ১৯৯৫
পিএইচপি প্রকাশিত
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের উন্নয়নে এবং একে সময়ের সঙ্গে আরও দ্রততর করে তোলায় দি সার্ভার–সাইডি ইন্টারপ্রেটেড স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ পিএইচপির অবদান অনেক। ডেনিশ ও কানাডীয় বংশোদ্ভূত কম্পিউটারবিজ্ঞানী রাসমোস লেডর্ফ ১৯৯৩ পিএইচপি প্রোগ্রাম লেখেন। ১৯৯৫ সালের ৮ জুন তিনি পিএইচপি প্রকাশ করেন। এখন পিএইচপির উন্নয়ন ও নতুন সংস্করণ তৈরি করে থাকে দ্য পিএইচপি গ্রুপ। শুরুতে পিএইচপির পূর্ণরূপ ছিল পার্সোনাল হোম পেজ। এখন পিএইচপি বলতে বোঝায় হাইপারটেক্সট প্রিপ্রসেসর। পিএইচপির প্রথম দুই সংস্করণ লেখেন রাসমোস লেডর্ফ। এর পর পিএইচপির উন্নয়নে রাসমোস লেডর্ফ একদল প্রোগ্রামারের নেতৃত্ব দেন। তাঁদের মধ্যে জিম উইনস্টিড (জিম পরে blo.gs তৈরি করেন), স্টিগ ব্যাক্কেন, শেন কারাভেও, অ্যান্ডি গাটম্যানস ও জিভ সুরাস্কি উল্লেখযোগ্য। এখনও পিএইচপির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন এর জনক রাসমোস লেডর্ফ।
৮ জুন ২০০৬
ভোটে হেরে যায় ‘নেট নিউট্রালিটি’ বিল
২০০৬ সালের ৮ জুন মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রজেন্টেটিভসের ভোটে ‘নেট নিউট্রালিটি’ বিষয়ে আনা একটি সংশোধনী বিল অল্প ভোটে হেরে যায়। সিলিকন ভ্যালির কিছু প্রযুক্তি কোম্পানির লবিং এতে প্রভাব ফেলেছিল। ফলে ইন্টারনেটের ওপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ থেকেই যায়। নেট নিউট্রালিটির বিপক্ষে বেশিরভাগ ভোট পড়েছিল রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে। ডেমোক্রেটিকদের বেশিরভাগ প্রতিনিধিই ছিলেন নেট নিউট্রালিটির পক্ষে। নেট নিউট্রালিটি বা নেট নিরপেক্ষতা এমন একটি আলোচিত ধারণা, যাতে ইন্টারনেট হবে উন্মুক্ত। এটি কোনো নির্দিষ্ট দেশ, ব্যবহারকারী, সেবাদাতা পক্ষে ব্যবহৃত হবে না। ইন্টারনেটে কোনো সেবা ও তথ্য কারও পক্ষে ব্যবহার করা হবে না, এটাও নেট নিউট্রালিটির অন্যতম বিষয়। নেট নিউট্রালিটি নিয়ে বিতর্ক এখনও চলমান, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে।