বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের খসড়া ডিজিটাল বাণিজ্য আইন, ২০২৩ ডিজিটাল ব্যবসাবান্ধব নয়। ফলে আইনটি বাস্তবায়িত হলে ই-কমার্স ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়বে। ‘ডিজিটাল বাণিজ্য আইন ২০২৩’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকেরা এ কথা বলেন। আজ বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে নিজস্ব কার্যালয়ে বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।
অনলাইন কেনাকাটার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট চালডাল ডটকমের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) জিয়া আশরাফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বেসিসের সাবেক সভাপতি ও বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফাহিম মাশরুর বলেন, এই খসড়া আইনে বিভিন্ন অসংগতি রয়েছে। যেমন নতুন এ আইনে ক্রেতাকে পণ্য কেনার সাত দিনের মধ্যে মূল্য পরিশোধ করতে হবে। ফলে দুই দিনের মধ্যে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দিলেও মূল্য পাওয়ার জন্য সাত দিন অপেক্ষা করতে হবে বিক্রেতাদের। এমনকি ব্যবহারের পর ক্রেতা পণ্য ফেরত দিতে চাইলে সেটি ফেরত নিতে বাধ্য থাকবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো। এ আইনে জরুরি পণ্যও নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি কিনতে পারবেন না ক্রেতারা। শুধু তা–ই নয়, নকল বা অন্য পণ্য বিক্রি করলে বিক্রেতাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। এ ধরনের আইন আগে থাকলেও সেগুলোর বাস্তবায়ন করা হয়নি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, ডিজিটাল বাণিজ্য আইন, ২০২৩–এর খসড়ায় বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হয়নি। এর ফলে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ই-কমার্স খাতকে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় সুযোগ দিতে হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, ই-ক্যাবের সহসভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, চালডাল ডটকমের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াসিম আলিম, ই-কুরিয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিপ্লব ঘোষ প্রমুখ।
সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিজিটাল কমার্স অ্যাক্ট ২০২৩ প্রণয়ন করছে। এ বিষয়ে মতামত জানতে বেসিসের কাছে ডিজিটাল কমার্স অ্যাক্ট ২০২৩–এর খসড়া পাঠানো হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বেসিস আজ এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।