২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্য দেশীয় সেমিকন্ডাক্টর শিল্পখাতের
২০৩০ সালের মধ্যে সেমিকন্ডাক্টর শিল্প থেকে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিএসআইএ)। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এরই মধ্যে ১০টির বেশি দেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। চিপের নকশা থেকে শুরু করে প্যাকেজিংয়ের মতো কাজের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোক্তারা। আজ বুধবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর শিল্প: সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় এ কথাগুলো বলেন বক্তারা।
বুয়েটে আজ থেকে শুরু হওয়া ১৩তম আন্তর্জাতিক ইলেকট্রিক্যাল ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ক ‘আইসিইসিই ২০২৪’ সম্মেলনের অংশ হিসেবে এ প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর শিল্প সমিতির সভাপতি এম এ জব্বার, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ বি এম হারুন-অর রশীদ, এ এস এম এ হাসিব, নাদিম চৌধুরী এবং সিলিকোনোভার চেয়ারম্যান মো. মজিবুল হক।
প্যানেল আলোচনায় এম এ জব্বার বলেন, ‘দেশের উদ্যোক্তারা সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের উন্নয়নে কাজ শুরু করেছেন। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা। এ ক্ষেত্রে আমাদের নীতিগত সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন। এশিয়ার অনেক দেশ সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারি সহায়তা ও নীতি সমর্থন পেলে আমরাও দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারব বলে আশা করছি।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাদিম চৌধুরী বলেন, ‘অটোমেশন আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের বহুমুখী বিকাশ ঘটছে। বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা সেমিকন্ডাক্টর শিল্প নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে কাজের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির দিকে মনোযোগ দিতে হবে।’
প্যানেল আলোচনায় জানানো হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে বিশ্বের মোট চাহিদার ৬২ শতাংশ সেমিকন্ডাক্টর তৈরি হবে। তখন এই খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার হবে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। শুধু সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার কারণে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে বর্তমানে ভালো অবস্থানে রয়েছে।