বিশ্বের এক নম্বর সফটওয়্যার নির্মাতা মাইক্রোসফট করপোরেশন। কিন্তু তাদের প্রথম অপারেটিং সিস্টেমটিই তারা তৈরি করেনি। মাইক্রোসফটের এমন কিছু অজানা তথ্য জানা যাক।
* শীর্ষ সফটওয়্যার নির্মাতা মাইক্রোসফট করপোরেশন পারসোনাল কম্পিউটার চালানোর জন্য প্রথম অপারেটিং সিস্টেম এমএস ডস (ডিস্ক অপারেটিং সিস্টেম) বাজারে আনে। এ তথ্য সবারই জানা। কিন্তু অজানা হলো, মাইক্রোসফট ডস তৈরিই করেনি। সেই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল কম্পিউটার প্রোডাক্টসের তৈরি ৮৬-ডস প্রোগ্রামের লাইসেন্স কিনে নিয়েছিল মাইক্রোসফট। তারা এটি নিয়ে কাজ করে এবং নতুন নামকরণ করে।
* মাইক্রোসফট নিয়মিতই আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে যায়। একচেটিয়া বাজার দখল, বেআইনিভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাজারে বাড়তে না দেওয়া—বেশির ভাগ মামলার বিষয় এসবই।
* মাইক্রোসফটের অভ্যন্তরে তারা ব্যবসার সঙ্গে আনন্দ মিলিয়ে নিয়েছিলেন। যেমন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও পল অ্যালেন ছোটবেলার বন্ধু। বিল গেটস বিয়ে করেছিলেন মাইক্রোসফটের সেই সময়ের কর্মী মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চকে। মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভ ব্যালমোর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিল গেটসের সহপাঠী ছিলেন।
* শুরুতে নাম ছিল মাইক্রো-সফট। ১৯৭৬ সালে -(হাইফেন) চিহ্নটি উঠে যায়। মাইক্রোকম্পিউটার থেকে ‘মাইক্রো’ শব্দটি এসেছে। আর সফটওয়্যার থেকে ‘সফট’ শব্দটি নেওয়া হয়েছে। মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৫ সালের ৪ এপ্রিল।
* মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠার জন্য বিল গেটস হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা ছেড়ে দেন (ড্রপড আউট)। অন্য দিকে স্টিভ ব্যালমার হার্ভার্ডে স্নাতক সম্পন্ন করেন। কিন্তু স্ট্যানফোর্ডের স্নাতক শ্রেণির পড়াশোনা মাঝপথেই ছেড়ে দেন। কারণ একই। মাইক্রোসফটের চাকরিতে যোগদান।
* প্রথম বছরে মাইক্রোসফটের রাজস্ব আয় ছিল ১৬ হাজার ডলার। মাত্র চার বছর পর ১৯৮৬ সালে বার্ষিক রাজস্ব আয় বেড়ে দাঁড়ায় ১০ লাখ ডলার।
* প্রথমে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের নাম রাখা হয়েছিল ‘ইন্টারফেস ম্যানেজার ৯৮’। ভাগ্যিস মাইক্রোসফটের বিপণন বিভাগ এখানে হস্তক্ষেপ করেছিল।
* উইনভার ১.৪ উইন্ডোজের জন্য প্রথম ভাইরাস। ১৯৯২ সালে এটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
* মাইক্রোসফট মাত্র ৩১ বছর বয়সে বিল গেটসকে বিলিওনিয়ার বানিয়ে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠার ২৩ বছর পর ২০০৯ সালে মাইক্রোসফট প্রথমবারের মতো বছরের এক প্রান্তিকে (কোয়ার্টার) লোকসান করে।
* সমসাময়িক চিত্রকলার সবচেয়ে বড় করপোরেট সংগ্রাহক হলো মাইক্রোসফট। তাদের সংগ্রহে আছে পাঁচ হাজারের বেশি শিল্পকর্ম। সিন্ডি শেরমান, চাক ক্লোজ, তাকাশি মুরাকামিসহ বিশ্বের এ সময়ের সেরা শিল্পীদের কাজ মাইক্রোসফটের কাছে আছে।
* এম অ্যান্ড এম ক্যান্ডি মাইক্রোসফটের প্রতিটি অনুষ্ঠানে প্রতিটি উদ্যাপনে থাকবেই। এটি তাদের ঐতিহ্য।
* ম্যানহোল কেন গোল, মাইক্রোসফটের চাকরির পরীক্ষায় এমন অপ্রচলিত প্রশ্নই করা হয়। আবার এমন সব পণ্যের ডিজাইন করতে বলা হয়, যেগুলোর সঙ্গে মাইক্রোসফটের ব্যবসার কোনো সংযোগ নেই। যেমন নভোচারীদের জন্য কফি মেকার। এসব প্রশ্ন তারা করে চাকরিপ্রার্থীর সৃজনশীলতা বোঝার জন্য।
* অস্থায়ী কর্মীদের ই-মেইল ঠিকানায় @ (অ্যাট)-এর আগে একটি - (ড্যাশ) জুড়ে দেয় মাইক্রোসফট। আর এ জন্য স্থায়ী কর্মীরা তাঁদের ড্যাশ ট্র্যাশ বলে ডাকে।
সূত্র: অনলাইনএমবিএ ডটকম