স্বপ্নে কি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়
অনেকই হলিউড কাঁপানো সিনেমা ‘ইনসেপশন’ দেখেছেন। সেই সিনেমায় স্বপ্নের মধ্যে মানুষকে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেখা যায়। এবার বাস্তবেও স্বপ্নে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক নিউরোটেক প্রতিষ্ঠান রেমস্পেস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে স্বপ্ন দেখার সময় মানুষকে তথ্য পাঠানো যাচ্ছে। এরই মধ্যে দুই ব্যক্তিকে স্বপ্নের মধ্যে বার্তাও পাঠিয়েছে তারা।
রেমস্পেসের তথ্যমতে, গবেষণায় অংশ নেওয়া দুজন মানুষ আলাদা বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। রেমস্পেসের গবেষকেরা যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁদের স্বপ্নের মধ্যে ভিন্ন ভাষায় শব্দ প্রেরণ করেন, যা দুজনই শুনতে পারেন। যদিও বিশেষভাবে নকশা করা যন্ত্রটির বিস্তারিত তথ্য বা কাজের পদ্ধতি প্রকাশ করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
রেমস্পেসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল রাডুগা বলেন, স্বপ্নের মধ্যে যোগাযোগ করা বিজ্ঞান কল্পকাহিনি বলে মনে হয়। ভবিষ্যতে এই যোগাযোগ সাধারণ হয়ে আসবে। এই গবেষণা নানা ধরনের বাণিজ্যিক সুযোগ তৈরি করবে। স্বপ্নের জগতে যোগাযোগ ও মিথস্ক্রিয়া সম্পর্কে আমরা কীভাবে চিন্তা করি, তা নতুন করে ভাবার সুযোগ তৈরি করবে।
রেমস্পেসের তথ্য মতে, এই বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাটি ঘুমের রেম বা আরইএম অবস্থায় চালানো হয়েছে। আরইএম বলতে ঘুমের সময় এমন একপর্যায়ে বোঝানো হয়, যখন র্যাপিড আই মুভমেন্ট বা খুব দ্রুত চোখের পাতায় নড়াচড়া দেখা যায়। তখন ঘুমের সময় সাধারণত স্বপ্ন দেখি আমরা। স্বপ্ন দেখার সময় যন্ত্রটির মাধ্যমে শব্দ তৈরি করে প্রথমে এক ব্যক্তির কাছে পাঠানো হয়। প্রায় আট মিনিট পরে দ্বিতীয় অংশগ্রহণকারী স্বপ্নে দেখার পর্যায়ে প্রবেশ করেন। তখন সার্ভার থেকে প্রথম অংশগ্রহণকারীর কাছ থেকে সঞ্চিত বার্তা দ্বিতীয় অংশগ্রহণকারীর কাছে পাঠানো হয়।
স্বপ্নে বার্তা পাঠানোর এমন সুযোগ দারুণ আবিষ্কার মনে হলেও এই প্রযুক্তি এখনো বিজ্ঞানীরা সার্বিকভাবে পর্যালোচনা করেননি। রেমস্পেসের সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল রাডুগা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে আরইএম ঘুম–সংক্রান্ত পর্যায় এআই–পরবর্তী দুনিয়া হিসেবে বড় এক শিল্প হয়ে গড়ে উঠবে। মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসা, দক্ষতা প্রশিক্ষণসহ নানা কাজে এই যন্ত্র ব্যবহারের সুযোগ আছে।’
সূত্র: ডেইলি মেইল