তথ্য যাচাইয়ে ফ্যাক্টচেকার নয়, ব্যবহারকারীদের মতামতকে গুরুত্ব দেবে মেটা
নিজেদের মালিকানাধীন ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য ও সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য দীর্ঘদিন ধরে তৃতীয় পক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের (ফ্যাক্টচেকার) সহায়তা নিয়ে থাকে মেটা। তবে এবার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে তথ্য যাচাইয়ের জন্য নতুন নিয়ম চালু করছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন এ পরিকল্পনার আওতায় ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ যাচাইয়ের খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) এক্সের আদলে ‘কমিউনিটি নোট’ চালু করতে চায় মেটা। এক্সে এ সুবিধার মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্টের তথ্য ও সংবাদের সত্যতা যাচাই করে অন্য ব্যবহারকারীরা মন্তব্য করে থাকেন। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে চায় মেটা।
কমিউনিটি নোট সিস্টেম আগামী কয়েক মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে চালু হবে বলে জানিয়েছে মেটা। আজ মঙ্গলবার মেটা এক ব্লগ বার্তায় মেটা জানিয়েছে, অভিবাসন, লিঙ্গ ও লিঙ্গ পরিচয়সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের বিধিনিষেধ অপসারণ করা হতে পারে। এতে অভিবাসন, লিঙ্গ পরিচয়সহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর অনেক বিধিনিষেধ থেকে মুক্তি মিলবে। এসব বিষয় ঘন ঘন রাজনৈতিক আলোচনা ও বিতর্কের বিষয় বলা যায়। টিভিতে বা কংগ্রেসে যা বলা যেতে পারে, তা আমাদের প্ল্যাটফর্মে বলা যাবে না—এমনটা হতে পারে না।
মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গও এ বিষয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, স্বাধীন মতপ্রকাশের জন্য এখন সময় এসেছে আমাদের চারপাশের মূলে ফিরে যাওয়া। সাম্প্রতিক নির্বাচনে আবারও বাক্স্বাধীনতার অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। একটি সাংস্কৃতিক পরিবর্তন এসেছে।
মেটার নতুন গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রধান জোয়েল কাপলান জানিয়েছেন, স্বাধীন মডারেটরদের ওপর কোম্পানির নির্ভরতা ছিল সুচিন্তিত। এখন তা অনেক দূরে চলে গেছে। বেশি ক্ষতিকারক বিষয়বস্তু সেন্সর হয়ে যাচ্ছে। মুক্ত মত প্রকাশ করার ক্ষেত্রে যে নিয়ম অনুসরণ করা হচ্ছে, তা প্রায়শই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রযুক্তি সংস্থায় বেশ পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ২০ জানুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতায় আসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিরুদ্ধে অনেক সরব। ট্রাম্প এর আগে মেটা ও তার আধেয় নিয়ে বেশ কঠিন সমালোচনা করেন। গত বছরের মার্চ মাসে ফেসবুককে জনগণের শত্রু বলে অভিহিত করেন ট্রাম্প। সম্প্রতি ট্রাম্প ও মার্ক জাকারবার্গের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা উন্নত হতে দেখা গেছে। গত নভেম্বরে ট্রাম্পের আবাসস্থল মার-এ-লাগোতে রাতের খাবারে অংশ নেন মার্ক জাকারবার্গ। মেটা এরই মধ্যে ট্রাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তহবিলে ১০ লাখ মার্কিন ডলার দান করেছে।
সূত্র: বিবিসি