ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কার্ট্রিজ, টোনারের ওপর শুল্ক-কর প্রত্যাহারের দাবি কম্পিউটার সমিতির
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ল্যাপটপ কম্পিউটারের ওপর ১৫ শতাংশ মূসক প্রত্যাহার করায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)। তবে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিসিএস। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কম্পিউটার যন্ত্রাংশ তথা হার্ডওয়্যার খাতকে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবা হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণ, প্রিন্টার, টোনার ও কার্ট্রিজ আমদানির ওপর মূসক প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন বিষয়ে দাবি জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনটি। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিসিএস আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো তুলে ধরেন বিসিএসের সভাপতি সুব্রত সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে সুব্রত সরকার বলেন, ‘তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতে ১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য আমরা অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। ল্যাপটপ এখন বিলাসী কোনো পণ্য নয়। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রপ্তানি আয় ৫০০ কোটি ডলার অর্জনে ফ্রিল্যান্সার ও আউটসোর্সিংয়ে যাঁরা জড়িত, তাঁদের প্রধান হাতিয়ার ল্যাপটপ। এ ছাড়া শিক্ষার উপকরণ হিসেবেও ল্যাপটপ স্বীকৃত। প্রস্তাবিত বাজেটে ল্যাপটপের ওপর মূসক প্রত্যাহার করা হলেও আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এতে ল্যাপটপের দাম আংশিক কমলেও ভোক্তা পর্যায়ে তা ক্রয়সীমাকে ছাড়িয়ে যাবে। ল্যাপটপের ওপর এই অতিরিক্ত ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বৃদ্ধিকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্তরায় বলে আমরা মনে করি।’
বিসিএসের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় হার্ডওয়্যার ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির কোনো কার্যক্রম কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সম্প্রতি রোবোটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার অন্তর্ভুক্ত হলেও হার্ডওয়্যার খাত উপেক্ষিত রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হার্ডওয়্যার খাতকে তথ্যপ্রযুক্তি সেবায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
প্রিন্টার, টোনার ও কার্ট্রিজ আমদানির ওপর মূসক প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয় সংবাদ সম্মলনে।
বিসিএসের পক্ষ থেকে বলা হয়, এমএফসি প্রিন্টার, টোনার ও কার্ট্রিজ আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ করার ফলে বর্তমানে মোট করের পরিমাণ ২৬ শতাংশ। বিসিএস প্রিন্টার, টোনার ও কার্ট্রিজে মূসক প্রত্যাহার করে করের হার (টিটিআই) ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছিলাম।
কম্পিউটার প্রিন্টার, এমএফসি প্রিন্টার, টোনার ও কার্ট্রিজের ক্ষেত্রে মূসক প্রত্যাহার হওয়া প্রয়োজন। ২৪ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটরের ওপর থেকে মূসক প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগকারীদের মূলধনী যন্ত্রপাতির ওপর ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব প্রত্যাহার করারও দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিসিএসের সহসভাপতি মো. রাশেদ আলী ভূঁইয়া, মহাসচিব কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান ও পরিচালক মঞ্জুরুল হাসান।