স্মার্টফোন–নির্ভরতার সঙ্গে বিষণ্নতার সম্পর্ক কী
বর্তমানে স্মার্টফোন আসক্তি সবার মধ্যেই কমবেশি দেখা যায়। ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজ স্মার্টফোনে করার সুযোগ মেলায় এর প্রতি আমাদের নির্ভরতাও বাড়ছে সমানতালে। আর এই স্মার্টফোন–নির্ভরতার কারণে ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিষণ্নতা ও একাকিত্বের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।
স্মার্টফোন আসক্তি, বিষণ্নতা ও একাকিত্বের লক্ষণ জানতে ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী ৩৪৬ জনের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়। এ বিষয়ে গবেষক দলের প্রধান ও অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ম্যাথিউ ল্যাপিয়ে জানিয়েছেন, স্মার্টফোন–নির্ভরতা সরাসরি বিষণ্নতার লক্ষণগুলোর পূর্বাভাস দিতে পারে। স্মার্টফোন ব্যবহারের সুযোগ না পেলে অনেকেই উদ্বিগ্ন বোধ করেন।
গবেষক দলের অপর সদস্য পেংফেই ঝাও জানিয়েছেন, বয়ঃসন্ধিকাল পেরিয়ে যাওয়া কিশোর-কিশোরীরা স্মার্টফোনের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে। স্মার্টফোন তাদের ওপর একটি বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বয়সটা বিষণ্নতা বা একাকিত্বের জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ বলে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ যখন চাপ অনুভব করে, তখন তাদের মোকাবিলা করার জন্য স্বাস্থ্যকর বিভিন্ন উপায় অনুসরণ করা উচিত।
গবেষকেরা স্মার্টফোন–নির্ভরতার ধরন বুঝতে অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন। অংশগ্রহণকারীদের দেওয়া উত্তর বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কিশোর-কিশোরীরা স্মার্টফোন নিয়ে বেড়ে উঠছে বলে নানা ধরনের প্রভাব দেখা যাচ্ছে। বিষণ্নতার মতো পরিস্থিতি কিশোর-কিশোরীদের দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
সূত্র: লাইভমিন্ট