বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে কাল রাতে। আজ শুরু হচ্ছে নকআউট পর্ব। শেষ ষোলোর প্রতিটি ম্যাচে যে দল জিতবে, সে দলই উঠবে শেষ আটের পর্বে। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল–জাজিরার তৈরি কাশেফ নামের রোবট সফটওয়্যার বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচের আগে ভবিষ্যদ্বাণী করছে। কাশেফের ‘গণনা’–য় আজ জিতবে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস।
রাত নয়টায় নকআউট পর্বের প্রথম খেলায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নেদারল্যান্ডসের জয়ের সম্ভাবনা কাশেফের মতে ৭১ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাবনা ২৯ শতাংশ।
আজ রাত একটার খেলায় আর্জেন্টিনাকেই জিতিয়ে রেখেছে কাশেফ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক কাশেফের ভবিষ্যদ্বাণী—আর্জেন্টিনার জয়ের সম্ভাবনা ৭৬ শতাংশ, অপর দিকে অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাবনা ২৪ শতাংশ।
৪৬ ম্যাচে কাশেফের স্কোরকার্ড
কাতার বিশ্বকাপে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত হয়ে যাওয়া ৪৮টি ম্যাচ নিয়ে প্রতিদিনই ভবিষ্যদ্বাণী করেছে কাশেফ। নিজের কাজে কতটা সফল হয়েছে কাশেফ? ৪৮টি ম্যাচের হিসাবে কাশেফের সাফল্যের হার ৬৫ শতাংশ। কাশেফ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ৩২ দলের খেলার ধরন, খেলোয়াড়দের দক্ষতা, অভিজ্ঞতাসহ খেলার জয়-পরাজয়ের ইতিহাস পর্যালোচনা করে সম্ভাব্য ফলাফল দিচ্ছে। এ জন্য প্রায় ২০০ ধরনের ১ লাখ তথ্যের একটি তথ্যভান্ডার তৈরি করেছে আল-জাজিরা। গুগল ক্লাউডে থাকা এসব তথ্য দ্রুত পর্যালোচনা করে প্রোগ্রামটি। প্রতিটি ম্যাচের পর কাশেফের প্রোগ্রামেও সেটির তথ্য–উপাত্তও যোগ হয়। প্রতিদিনই নতুন করে হিসাব–নিকাশ করে কাশেফ ভবিষ্যদ্বাণী করছে।
কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করে খেলার ফলাফল অনুমান করা কোনোভাবেই সহজ কোনো বিষয় নয়। খেলার ধরন, খেলোয়ারদের দক্ষতা ইত্যাদির বাইরে থাকে খেলার সময় খেলোয়ারদের ফিটনেস ও মানসিক অবস্থার বিষয়। তাই কাশেফের ৬৫ শতাংশ সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী বেশ বড় সাফল্যই বলতে হয়।
পলের থেকে পিছিয়ে
২০১০ বিশ্বকাপে পল দি অক্টোপাস নামের অক্টোপাস বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছিল ম্যাচের ভবিষ্যদ্বাণী করে। যদিও বিষয়টি অতিপ্রাকৃত, তবুও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে পল কী বলছে, সে ব্যাপারে আগ্রহ ছিল সবারই। কাশেফের মতো পল সব খেলার ভবিষ্যদ্বাণী করেনি। সে করেছিল ১৪টি ম্যাচের ভবিষ্যদ্বাণী, এর মধ্যে ১২টি মিলে গেছে। পলের সাফল্যের হার ৮৫ দশমিক ৭ শতাংশ। এই দিক থেকে পল এখনো এবারের ভবিষ্যৎ–বক্তা রোবটের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।