বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির প্রতিষ্ঠা

বাংলাদেশ কম্পিউটার অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ) নামে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা‘আবর্ত: এনালগ থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও আমরা’ বই থেকে

২৬ জানুয়ারি ১৯৮৭
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির প্রতিষ্ঠা
বাংলাদেশ কম্পিউটার অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ) নামে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশে তথ্যপ্রযুক্তির উন্মেষের সেই সময়ে হাতে গোনা কয়েকজন কম্পিউটার উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।

আব্দুল্লাহ এইচ কাফির লেখা আবর্ত: এনালগ থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও আমরা বই থেকে জানা যায়, তখন কম্পিউটার ও সফটওয়্যার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের প্রায়ই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি দপ্তরের সঙ্গে সভা করতে হতো। তখন একটি সংগঠন করার বিষয় গুরুত্ব পায়। ১৯৮৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে ধানমন্ডির একটা চায়নিজ রেস্তোরাঁয় এক নৈশভোজে সমিতি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রত্যেকে ৫০ টাকা চাঁদা দিয়ে নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন। অবশেষে ১৯৮৭ সালের ২৬ জানুয়ারি দিলকুশায় এনসিআর করপোরেশন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ‘বাংলাদেশ কম্পিউটার অ্যাসোসিয়েশন’ গঠন করা হয়। সংগঠন পরিচালনার জন্য সাত সদস্যের অ্যাডহক কমিটিও ঘোষণা করা হয়। সেই কমিটি ছিল এমন—সভাপতি এস এম কামাল, সহসভাপতি আফতাব উল ইসলাম ও সাইফ উদ দাহার শহীদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ এইচ কাফি, কোষাধ্যক্ষ মঈন খান এবং নির্বাহী সদস্য সাফকাত হায়দার ও দিদার হোসেন। সদস্য হিসেবে আরও ছিলেন হাবিবুল্লাহ এন করিম, বোরহান উদ্দিন, এম এন ইসলাম ও খালেকুজ্জামান।

শিল্পী হাশেম খানের নকশায় বিসিএসের লোগো
সংগৃহীত

এরপর বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে নিবন্ধন নেওয়ার সময় সরকারের এক কর্মকর্তার পরামর্শে অ্যাসোসিয়েশনের বাংলা ‘সমিতি’ শব্দ যোগ করে সংগঠনটির নামকরণ হয় ‘বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)’। সমিতির প্রতীক এঁকে দিয়েছিলেন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী হাশেম খান।

বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে কম্পিউটার সমিতির অবদান অনেকটাই। ১৯৯৩ সালের ২৬ নভেম্বর প্রথমবারের মতো ‘বিসিএস কম্পিউটার শো’ নামে বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার মেলার আয়োজন করে সংগঠনটি। এরপর প্রতিবছর বাড়তে থাকে এই মেলার পরিসর। কম্পিউটারকে সহজলভ্য করতে বিসিএস কয়েক বছর ধরে ‘শুল্কমুক্ত কম্পিউটার চাই’ আন্দোলন চালায়। অবশেষে ১৯৯৭–৯৮ অর্থবছরের বাজেটে কম্পিউটারের ওপর থেকে সব ধরনের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। ১৯৯৮ সালে বড় পরিসরে রাজধানীর আগারগাঁয়ে নবনির্মিত আইডিবি ভবনে বিসিএস কম্পিউটার শোর আয়োজন করা হয়। ১৯৯৯ সালে সেই ভবনে দেশের প্রথম বিশেষায়িত কম্পিউটার বাজার ‘বিসিএস কম্পিউটার সিটি’ চালু করে সংগঠনটি।
বর্তমানে ঢাকার বাইরে আরও ১১টি শাখা রয়েছে বিসিএসের। সেগুলোর অবস্থান চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, টাঙ্গাইল, বরিশাল ও কুষ্টিয়ায়। বিসিএসের মোট সদস্যসংখ্যা এখন ৩ হাজার ৫০০।

স্যান ফ্রান্সিসকো (এসএফ) পাবলিক লাইব্রেরি
কম্পিউটার হিস্ট্রি ডট ওআরজি

২৬ জানুয়ারি ১৯৯৭
ইলেকট্রনিক বনাম কাগুজে বই নিয়ে বিতর্ক
নবপ্রতিষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ফ্রান্সিসকো (এসএফ) পাবলিক লাইব্রেরির ইলেকট্রনিক ও কাগজে মুদ্রিত বই নিয়ে এক বিতর্কের সূচনা করে মার্কিন সংবাদপত্র দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। এই বিতর্কে সমালোচকদের অভিযোগ ছিল, গ্রন্থাগারটি কম্পিউটার টার্মিনাল বসানোর জন্য বই রাখার অনেক জায়গা নষ্ট করেছে। তবে এই গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত বইয়ের তালিকার জন্য প্রচলিত কাগজের ক্যাটালগের বিলুপ্তি ঘটে। এতে আবার অনেক জায়গা বেঁচে যায়। এসএফ পাবলিক লাইব্রেরি অনুসরণ করে পরে অনেক গ্রন্থাগারই তথ্য যুগে প্রবেশ করে।

সংগৃহীত

২৬ জানুয়ারি ২০০০
এক্সএইচটিএমএল প্রকাশিত
ওয়েব পেজ তৈরিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হাইপারটেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজের (এইচটিএল) বর্ধিত সংস্করণ হিসেবে এক্সটেনসিবল হাইপারটেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ (এক্সএইচটিএমএল) প্রকাশিত হয়। এক্সএইচটিএমএল মূলত এক্সএমএলের একটি অ্যাপ্লিকেশন। এক্সএইচটিএমএল ওয়েবে বিভিন্ন নথিপত্র আরও সুবিন্যস্ত করে সাজাতে পারে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কনসোর্টিয়াম (ডব্লিউথ্রিসি) ২০০০ সালের ২৬ জানুয়ারি এক্সএইচটিএমএল–১ ভাষাকে মান হিসেবে সুপারিশ করে। ২০০১ সালের ৩১ মে এক্সএইচটিএমএল–১.১ ডব্লিউথ্রিসির সুপারিশপ্রাপ্ত হয়।