অ্যাপলকে পেছনে ফেলে এখন বিশ্বের দ্বিতীয় দামি প্রতিষ্ঠান কোনটি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির বিকাশের কারণে চাহিদা বাড়ছে এআই প্রসেসরের। আর তাই মার্কিন বহুজাতিক প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এআই প্রসেসরের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে প্রসেসরের বিক্রি বাড়ার পাশাপাশি শেয়ারে দামও দ্রুত বাড়ছে প্রতিষ্ঠানটির। গত সপ্তাহে শেয়ারের দাম বাড়ার ফলে এনভিডিয়ার বাজার মূলধন তিন ট্রিলিয়ন বা তিন লাখ কোটি মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। এর মাধ্যমে অ্যাপলকে পেছনে ফেলে বিশ্বের দ্বিতীয় দামি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে এনভিডিয়া। বিশ্বের সবচেয়ে দামি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা অ্যাপলের বাজার মূলধনও প্রায় তিন লাখ কোটি মার্কিন ডলার।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের বাজার মূলধন ৩ দশমিক ১৪ ট্রিলিয়ন বা ৩ লাখ ১৪ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। মাইক্রোসফট, মেটা থেকে শুরু করে গুগলও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর প্রযুক্তির উন্নয়নে এনভিডিয়ার প্রসেসর ব্যবহার করায় এনভিডিয়ার লাভের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। এমনকি এনভিডিয়া প্রসেসরের মাধ্যমে তৈরি এআইনির্ভর সার্ভার বিক্রির হারও বেড়েছে। তাই গত ফেব্রুয়ারি মাসে এনভিডিয়ার বাজার মূলধন দুই ট্রিলিয়ন থাকলেও মাত্র তিন মাসের মধ্যে তিন ট্রিলিয়ন পেরিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
১৯৯৩ সাল থেকে এনভিডিয়ার প্রসেসর সাধারণত ভিডিও গেম দুনিয়ায় আলোচিত ছিল। তবে গত কয়েক বছরে এআই–প্রযুক্তির বহুল ব্যবহারের কারণে এনভিডিয়ার তৈরি এআই প্রসেসরের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। এনভিডিয়ার এইচ ১০০ জিপিইউ প্রসেসরকে বলা হয় এআই দুনিয়ার চমক। এই এক মডেলের প্রসেসর বিক্রি করেই এনভিডিয়া ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছে। মার্কিন কম্পিউটারবিজ্ঞানী গ্রেস হপারের সম্মানে এই প্রসেসরের নামকরণ করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে এইচ ১০০ প্রসেসরটি গেমিং পিসির জন্য তৈরি করা হলেও বর্তমানে বিভিন্ন এআই মডেলের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এইচ ১০০ প্রসেসর এআই–প্রযুক্তিনির্ভর লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলকে (এলএলএম) প্রশিক্ষণের সময় অন্যান্য প্রসেসরের তুলনায় ৩০ গুণ বেশি দ্রুত কাজ করে। আর তাই এই প্রসেসরের দামও বেশি, প্রায় ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। বর্তমানে এআই প্রসেসরের বাজারের ৮০ শতাংশই রয়েছে এনভিডিয়ার দখলে।
সূত্র: বিবিসি