২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

স্টারস্পোর্টসে ভাষ্য দিতে ভারতীয় বোর্ডের শর্ত!

এবারের বিশ্বকাপের নেপথ্যে নেই ইয়ান চ্যাপেলের কণ্ঠ ছবি: সংগৃহীত
এবারের বিশ্বকাপের নেপথ্যে নেই ইয়ান চ্যাপেলের কণ্ঠ ছবি: সংগৃহীত

এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সম্প্রচার স্বত্ব স্টার স্পোর্টসের। এটা সবাই জানে। কিন্তু যেটা জানা ছিল না, সেটা হলো, স্টার স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকার হিসেবে নাম লেখাতে নাকি সবাইকে মানতে হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের শর্ত। বিশ্বকাপের মতো একটি বৈশ্বিক আসরে ধারাভাষ্য করতে কোনো নির্দিষ্ট ক্রিকেট বোর্ডের শর্ত মানার এই অভাবনীয় তথ্যটি আনন্দবাজার পত্রিকার। এমন অন্যায্য শর্ত মানতে রাজি না হওয়ার কারণেই নাকি এবার ধারাভাষ্যকার হিসেবে কোথাও দেখা যাচ্ছে না অন্যতম সেরা ক্রিকেট-ধারাভাষ্যকার, সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেলকে। একই কারণে ধারাভাষ্যে নেই সাবেক ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলার মাইকেল হোল্ডিং।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইয়ান চ্যাপেলকে ধারাভাষ্যে নিতে স্টার স্পোর্টস নাকি যথেষ্ট চেষ্টাই করেছে। কিন্তু ভারতীয় বোর্ডের শর্ত মানতে তিনি কোনো মতেই রাজি হননি। ইয়ান চ্যাপেল এ ধরনের শর্তকে মনে করেছেন ‘কার্যত দাসখত লিখে দেওয়া।’ ৭১ বছর বয়সী ব্যক্তিত্বশালী ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব এভাবে নিজেকে বিকিয়ে দিতে চাননি বলেই তাঁর দেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দিতে পারছেন না তিনি।
এবার আসুন ওই শর্তগুলোয়। কয়েকটিতে চোখ বোলালেই স্পষ্ট হয়ে যায় বর্তমান ক্রিকেট দুনিয়াকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারতীয় বোর্ড কী ধরনের মরিয়া। কলকাতার বিখ্যাত বাংলা পত্রিকা আনন্দবাজারই তুলে দিয়েছে ওই শর্তগুলো। যাতে আছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, ডিআরএস, ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও ভারতীয় দলের বিপক্ষে যেকোনো ধরনের বিরোধী মন্তব্যের ব্যাপারে কড়া নিষেধাজ্ঞা। অর্থাৎ, ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি বড় ধরনের কোনো ভুল করলেও ধারাভাষ্যকারদের করতে হবে তাঁর প্রশংসাই-এমন শর্ত পড়েই যে চুক্তিপত্রে সই দিয়ে এসেছেন তাঁরা!
আনন্দবাজার পত্রিকা আরও একটি তথ্য দিয়েও চমকে দিয়েছে। ২০১২ সালে ক্যানসারে মারা যাওয়া বিখ্যাত ধারাভাষ্যকার টনি গ্রেগের সঙ্গেও নাকি শেষ দিকে মুখোমুখি অবস্থানে ছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কারণ ভারতীয় বোর্ডের ডিআরএস নীতির কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগ দিয়ে ভারতের কোনো ম্যাচেই নাকি তিনি ধারাভাষ্য দেওয়ার সুযোগ পেতেন না কেবল ভারতীয় বোর্ডের গুডবুকে নাম না থাকার কারণে!
এর পরেও কি আইসিসি বলবে যে ক্রিকেট পরিচালনায় তাঁরা সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ?