স্কোয়াশের ‘বাদলা’কে ঢাকা ক্লাবের স্বীকৃতি

টেনিসের বল-বয় হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু। ১৯৭৯ সালে শেরাটন হোটেলের শাজাহান আলী তাঁকে স্কোয়াশে নিয়ে আসেন। ঢাকা ক্লাবের স্কোয়াশ-মার্কার বাদল চৌহানের স্কোয়াশে হাতেখড়ি এভাবেই। পরে খেলেছেন জাতীয় স্কোয়াশ দলেও। ভারত, পাকিস্তান ও মালয়েশিয়া এশিয়ান স্কোয়াশে রানারআপ হওয়া বাদল ঢাকা ক্লাবেই পার করে দিলেন জীবনের অনেকগুলো বসন্ত। ৪৯ বছর বয়সী বাদল চৌহান ওরফে বাদলা এখন বিদায় জানাতে চাইছেন স্কোয়াশকে। তাঁর সম্মানেই ঢাকা ক্লাব কাল থেকে শুরু করেছে ‘বাদলা বেনিফিট ওপেন জাতীয় স্কোয়াশ টুর্নামেন্ট।’ ফাইনাল ৭ নভেম্বর।এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে বাদল চৌহানকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে বলেই কাল সংবাদ সম্মেলনে জানালেন টুর্নামেন্টের আয়োজক এবং প্রধান উদ্যোক্তা সাবেক স্কোয়াশ খেলোয়াড় এরশাদ হোসেন। অবসরের পর যাতে সম্মানের সঙ্গে বাকি জীবনটা সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে কাটিয়ে দিতে পারেন এ জন্যই তাঁকে তিন লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা ক্লাব। খেলোয়াড়েরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুই লাখ আর ঢাকা ক্লাব দিচ্ছে এক লাখ টাকা। ফেডারেশনও আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।আসন্ন এসএ গেমসের স্কোয়াশ রাজশাহীতে হবে বলে জানিয়েছিল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। তবে ঢাকা ক্লাবকেই ভেন্যু বানিয়ে তাঁর স্কোয়াশ ঐতিহ্যকে সম্মান দেওয়া হবে বলে আশাবাদী ক্লাবের প্রেসিডেন্ট সাদাত হোসেন সেলিম, ‘এই উপমহাদেশে স্কোয়াশের শুরুটাই হয়েছে এই ঢাকা ক্লাব থেকে। এখানে যেকোনো জাতীয় টুর্নামেন্ট ছাড়াও ৫টি দেশের কার্নিভালও হয়েছে। এবার এসএ গেমসের ভেন্যুও হবে ঢাকা ক্লাব।’ খেলাটি জনপ্রিয় করতে ক্লাবের গণ্ডির বাইরে এটিকে ছড়িয়ে দিতে চান তিনি, ‘ক্লাবের বাইরে স্কোয়াশকে ছড়িয়ে দিতে বাদল চৌহানের মতো মার্কার দরকার।’‘বাদলা বেনিফিট’ স্কোয়াশে অংশ নিচ্ছেন ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব ও রাওয়া ক্লাবের মোট ৫২ জন খেলোয়াড়। ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান ইফতেখার উদ্দিন, ঢাকা ক্লাবের সদস্য রুহুল আমিন, সাবেক সদস্য মেজর (অব.) আতিকুর রহমান ও ড. আবদুল কাইয়ুম।