সুয়ারেজের তিন কামড়

বল দখলের সময় ইতালি ডিফেন্ডার জর্জো কিয়েলিনি বাধা দিয়েছিলেন তাঁকে। এরপর কিয়েলিনির কাঁধের কাছে ঝুঁকে কী যেন করলেন লুইস সুয়ারেজ। জার্সি খুলে কিয়েলিনির দাবি, সুয়ারেজ কামড়ে দিয়েছেন তাঁকে। টিভি ক্যামেরা দেখে পরে সেই দাবিটা সত্যিই মনে হয়েছে l এএফপি, ডেইলি মেই ল
বল দখলের সময় ইতালি ডিফেন্ডার জর্জো কিয়েলিনি বাধা দিয়েছিলেন তাঁকে। এরপর কিয়েলিনির কাঁধের কাছে ঝুঁকে কী যেন করলেন লুইস সুয়ারেজ। জার্সি খুলে কিয়েলিনির দাবি, সুয়ারেজ কামড়ে দিয়েছেন তাঁকে। টিভি ক্যামেরা দেখে পরে সেই দাবিটা সত্যিই মনে হয়েছে l এএফপি, ডেইলি মেই ল

উরুগুয়ের কাছে হেরে বিশ্বকাপ-স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে ইতালির। মার্কিসিওর লাল কার্ড, গডিনের গোল—সবকিছু ছাপিয়ে এখন চায়ের কাপে ঝড় লুইস সুয়ারেজের কাণ্ড। ইতালির জর্জো কিয়েলিনিকে যে কামড়ে দিয়েছেন উরুগুয়ে স্ট্রাইকার!
পরশু উরুগুয়ের সঙ্গে ইতালির ম্যাচের প্রায় শেষদিকে। সুয়ারেজকে বল দখলে একটু বাধা দিয়েছিলেন কিয়েলিনি। এর পরেই মনে হলো, সুয়ারেজ যেন মুখটা নিয়ে গেছেন কিয়েলিনির ঘাড়ের কাছে। টিভি রিপ্লে বলছে, সুয়ারেজ সম্ভবত আগের কীর্তির পুনরাবৃত্তি করেছেন। ইতালি ডিফেন্ডার সঙ্গে সঙ্গেই নিজের জার্সি নামিয়ে রেফারির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। কিন্তু কী অদ্ভুত কাকতাল, আগের দুইবারের মতো এবারও লাল কার্ড দেখতে হয়নি সুয়ারেজকে! আরও অদ্ভুত, এই তিনবারের কোনোবারই হারেনি সুয়ারেজের দল!

এমন কীর্তি এটাই প্রথম নয় উরুগুয়ে স্ট্রাইকারের, আগেও দুবার কামড়ে দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে!
এমন কীর্তি এটাই প্রথম নয় উরুগুয়ে স্ট্রাইকারের, আগেও দুবার কামড়ে দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে!

প্রথম শিকার ওটমান বাক্কাল। ২০১০ সালে সুয়ারেজ খেলতেন ডাচ ক্লাব আয়াক্সে। পিএসভির সঙ্গে একটা ম্যাচে সবার সামনেই বাক্কালের ঘাড়ে কামড়ে দেন সুয়ারেজ। পরে বাক্কাল জার্সি খুলে কাঁধে কামড়ের দাগটাও দেখিয়েছিলেন। মজার ব্যাপার, কোনো এক বিচিত্র কারণে সেটা রেফারির দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। সেই ঘটনার পরেই সুয়ারেজের নাম হয়ে ‘আয়াক্সের নরখাদক’। পরে নিষিদ্ধ হতে হয়েছিল সাত ম্যাচের জন্য।
ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও নাকি ধান ভানে! হল্যান্ড থেকে ফর্মটাই শুধু নিয়ে আসেননি, নিয়ে এসেছেন পুরোনো ‘অভ্যাসও’। লিভারপুলে এসে সেটা আর ছাড়তে পারলেন না সুয়ারেজ! চেলসি-লিভারপুলের ইংলিশ লিগের ম্যাচের ঘটনা। চেলসি ডিফেন্ডার ব্রানিস্লাভ ইভানোভিচের বাহুতে হঠাৎ করেই কামড়ে দেন। এবারও কোনো এক দৈববলে রেফারির চোখ এড়িয়ে যায় ঘটনাটি। পরে অবশ্য ১০ ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে হয়েছিল তাঁকে। এখন অবিশ্বাস্য মনে হবে, সেই ঘটনার জন্য সুয়ারেজ পরে অনুতাপ পর্যন্ত করেছিলেন!
ক্লিন্ট ইস্টউডের বিখ্যাত চলচ্চিত্র দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দি আগলি হয়তো অনেকেই দেখেছেন। শিরোনামটার সঙ্গে লুইস সুয়ারেজের জীবনের মিল খুঁজে পাচ্ছেন? উরুগুয়ের স্ট্রাইকারের ক্যারিয়ারটাই ড. জেকিল ও মি. হাইডের দুর্দান্ত যুগলবন্দী। ক্যারিয়ারে অনেক কিছুই করেছেন, কিন্তু বিতর্ক যেন সবকিছুকেই ঢেকে দিয়েছে। কামড়কাণ্ডের কথা বাদ দিন, গত বিশ্বকাপে ঘানার সঙ্গে সেই হ্যান্ডবল তো অনেকেরই মনে থাকার কথা। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে ঘানা যখন গোল প্রায় করেই ফেলেছিল, হাত দিয়ে গোললাইন থেকে বলটা ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন। প্যাট্রিস এভরাকে বর্ণবাদী মন্তব্য করা, বেশ কয়েকবার ইচ্ছা করে পড়ে গিয়ে ‘ডাইভার’ তকমা পাওয়া—সুয়ারেজ ও বিতর্ক যেন একই পথের পথিক! এএফপি৷

প্রথম শিকার ওটমান বাক্কাল। ২০১০ সালে সুয়ারেজ খেলতেন ডাচ ক্লাব আয়াক্সে। পিএসভির সঙ্গে একটা ম্যাচে সবার সামনেই বাক্কালের ঘাড়ে কামড়ে দেন সুয়ারেজ। পরে বাক্কাল জার্সি খুলে কাঁধে কামড়ের দাগটাও দেখিয়েছিলেন। মজার ব্যাপার, কোনো এক বিচিত্র কারণে সেটা রেফারির দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। সেই ঘটনার পরেই সুয়ারেজের নাম হয়ে ‘আয়াক্সের নরখাদক’। পরে নিষিদ্ধ হতে হয়েছিল সাত ম্যাচের জন্য।
প্রথম শিকার ওটমান বাক্কাল। ২০১০ সালে সুয়ারেজ খেলতেন ডাচ ক্লাব আয়াক্সে। পিএসভির সঙ্গে একটা ম্যাচে সবার সামনেই বাক্কালের ঘাড়ে কামড়ে দেন সুয়ারেজ। পরে বাক্কাল জার্সি খুলে কাঁধে কামড়ের দাগটাও দেখিয়েছিলেন। মজার ব্যাপার, কোনো এক বিচিত্র কারণে সেটা রেফারির দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। সেই ঘটনার পরেই সুয়ারেজের নাম হয়ে ‘আয়াক্সের নরখাদক’। পরে নিষিদ্ধ হতে হয়েছিল সাত ম্যাচের জন্য।