শেষ টি-টোয়েন্টি
প্রথম ম্যাচ ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। ডমিনিকায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বলতে গেলে উড়েই গেছে বাংলাদেশ। গায়ানায় এবার সিরিজে সমতা ফেরানোর ‘লড়াই’ মাহমুদউল্লাহর দলের। সেটি পারবে তারা?
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে প্রথম আলোর সরাসরি আপডেটে আপনাকে স্বাগত!
নির্ধারিত সময়েই শুরুর আশা
গায়ানা থেকে তারেক মাহমুদ
কাল রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিল গায়ানায়। সকালে ঘন্টাখানেক বৃষ্টি না হলেও রোদ ওঠেনি। বরং ১০টার দিকে মুষলধারে শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। ম্যাচটা তখন এক প্রকার অনিশ্চিতই হয়ে পড়েছিল। তবে সাড়ে ১১টার পর বৃষ্টি কমে আসতে থাকে এবং ১২টার দিকে তো রোদই উঠে গেল। সর্বশেষ ৪০–৪৫ মিনিটে কোনো বৃষ্টি হয়নি এখানে।
আজকের ম্যাচের ফল কী হবে?
বিলম্বিত টস
নির্ধারিত সময়ে হচ্ছে না তৃতীয় টি-টোয়েন্টির টস। এখনো মাঠ পর্যবেক্ষণ করেননি আম্পায়াররা।
১-১৫ মিনিটে পর্যবেক্ষণ
স্থানীয় সময় ১-১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১১-১৫ মিনিট) মাঠ পর্যবেক্ষণে নামবেন আম্পায়াররা। এরপরই জানা যাবে, খেলা শুরু হবে কখন।
৩০ মিনিট দেরিতে শুরু হবে ম্যাচ
বাংলাদেশ সময় রাত ১১-৪৫ মিনিটে হবে টস, ম্যাচ শুরু হবে রাত ১২টায়। ৩০ মিনিট দেরিতে শুরু হলেও পুরো ২০ ওভারই হবে খেলা।
টস
তৃতীয় ম্যাচে এসে টসে জিতেছেন মাহমুদউল্লাহ, ব্যাটিং নিয়েছেন তিনি।
দলে ফিরলেন নাসুম
প্রথম টি-টোয়েন্টির দলে ছিলেন, তবে বাংলাদেশের বোলিংয়ের আগেই পরিত্যক্ত হয়ে গিয়েছিল ম্যাচ। নাসুম আহমেদ এরপর বাদ পড়েছিলেন দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি থেকে। আজ দলে ফিরেছেন তিনি। তাঁকে জায়গা করে দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
বাংলাদেশ একাদশ
এনামুল হক, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুল হাসান, মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।
উইন্ডিজ দল
একটি পরিবর্তন আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলেও। ভালো বোধ করছেন না বলে খেলছেন না কিমো পল। তাঁর জায়গায় দলে এসেছেন ডমিনিক ড্রেকস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ
কাইল মায়ার্স, ব্রেন্ডন কিং, শামার ব্রুকস, নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), রোভম্যান পাওয়েল, ডমিনিক ড্রেকস, ওডিন স্মিথ, রোমারিও শেফার্ড, আকিল হোসেন, ওবেদ ম্যাকয়, হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র
প্রথম ওভারে ৫
কাইল মায়ার্সকে দিয়ে এক প্রান্তে বোলিং শুরু করিয়েছেন নিকোলাস পুরান। কোনো বাউন্ডারি ছাড়া প্রথম ওভারে এসেছে ৫ রান।
দ্বিতীয় ওভারেও বাউন্ডারি নেই
সব বলই গুডলেংথ ও শর্ট অব আ গুডলেংথে করেছেন ওবেদ ম্যাকয়, দ্বিতীয় ওভারেও আসেনি কোনো বাউন্ডারি। ম্যাকয় অবশ্য ওভারে করেছেন চারটি ওয়াইড, সব মিলিয়ে ওভারে এসেছে ৯ রান। শেষ বলে রান-আউটের সম্ভাবনা তৈরি হলেও স্ট্রাইক-প্রান্তে বেঁচে গেছেন লিটন দাস।
প্রথম চার
১০ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এর আগে ১ ওভার বোলিং করেছিলেন কাইল মায়ার্স। আজ ওপেন করলেন, করে ফেললেন দুই ওভার।
তাঁর প্যাডের ওপর করা ফুললেংথের বলে ফ্লিক করে ইনিংসের প্রথম চারটি মেরেছেন লিটন দাস। মায়ার্স চেষ্টা করেছিলেন ইয়র্কার করার।
৩ ওভার শেষে বাংলাদেশ ২৩/০
ফিরলেন এনামুল
এক প্রান্তে আকিল হোসেনকে এনেছেন পুরান, অন্য প্রান্তে মায়ার্সকে সরিয়ে আনা হয়েছে ওডিন স্মিথকে। স্মিথের ফুলটসে একটা চার মেরেছিলেন এনামুল, তবে ফিরলেন তাঁর বলেই। লেগ সাইডের বলটা তুলে মারতে গিয়ে টপ-এজড হয়ে থার্ডম্যানে ধড়া পড়েছেন এনামুল, ১১ বলে ১০ রান করে। স্মিথের পেসেই পরাস্ত হলেন তিনি, লিটনের সঙ্গে তাঁর ওপেনিং জুটিতে এল ৩৫ রান।
‘অন্য’ সাকিব ফিরলেন আগেভাগেই
আগের দিন খোলস ছেড়ে বের হতে সময় নিয়েছিলেন বেশ কিছুক্ষণ। সাকিব আজ আক্রমণে গেলেন প্রথম বল থেকেই। তবে সেটির খেসারত দিতে হলো তাঁকে।
মুখোমুখি প্রথম বলেই থার্ডম্যান দিয়ে চার মেরেছিলেন। এবার রোমারিও শেফার্ডকে তুলে মারতে গিয়ে খাড়া আকাশে তুললেন বল। মিড-উইকেটে অ-নে-ক্ষ-ণ অপেক্ষা করার পর ক্যাচ নিয়েছেন ওডিন স্মিথ। পরপর ২ ওভারে বাংলাদেশ হারিয়েছে ২ উইকেট, সাকিব ফিরেছেন ৫ রান করেই।
সাকিব ফেরার পর এসেছেন আফিফ হোসেন। পাওয়ারপ্লে-র ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের স্কোর ৪৪ রান।
লিটনের ব্যাটে ইনিংসের প্রথম ছয়
আকিল হোসেনের ঝুলিয়ে দেওয়া বল, স্লগ সুইপে কাউ কর্নারের ওপর দিয়ে পাঠালেন লিটন দাস। তাতেই এল ইনিংসের প্রথম ছয়। পাওয়ারপ্লের পর ২ ওভার ছিল বাউন্ডারিশূন্য, এ ওভারে প্রথম বলে আফিফের মারা চারের পর লিটনের ওই ছয়ে মোট এল ১৩ রান।
১০ ওভারে ৭২/২
লিটন-আফিফের জুটিতে এখন পর্যন্ত ২৭ বলে উঠেছে ৩০ রান। ইনিংসের মাঝপথে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ৭২ রান। শেষ পর্যন্ত কতদূর যেতে পারবে তারা?
‘জীবন’ পেলেন আফিফ
আমি না তুমি? তুমি না আমি?
হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র ও শামার ব্রুকস এই করতে গিয়ে হাতছাড়া করলেন আফিফ হোসেনের তোলা ক্যাচটা। স্লগ করতে গিয়ে খাড়া আকাশে তুলেছিলেন আফিফ, নিজের বলে ছুটে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ক্যাচ পর্যন্ত যাননি ওয়ালশ, আসেননি মিড অনে থাকা ব্রুকসও।
১৬ বলে ১৫ রান ছিল তখন আফিফের।
স্মিথের ১ ওভারে ২০
প্রথম ডাউন দ্য লেগে ব্যাট চালিয়ে চার, এরপর এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে দুর্দান্ত টাইমিংয়ে ছয়। ওডিন স্মিথের ওভারে একটু খোলস ছেড়ে বের হয়েছেন লিটন দাস। এরপর লং-অন দিয়ে আফিফ মেরেছেন আরেকটি ছয়, সেটিও দারুণ টাইমিংয়ে—এ শটে সে অর্থে ব্যাকলিফট ছিলই না!
স্মতিহের করা ১২তম ওভারে এল ২০ রান। লিটন-আফিফের জুটি পেরিয়ে গেল অর্ধশতক।
ফিফটির আগেই ফিরলেন লিটন
প্রথম ধাপে খোলসবন্দিই হয়ে ছিলেন লিটন, এরপর একটু বের হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন। তবে ৪১ বলে ৪৯ রান করেই ফিরতে হলো তাঁকে। হেইডেন ওয়ালশের অফ স্টাম্পের বাইরের ঝুলিয়ে দেওয়া বলে জোরের ওপর শট খেলতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলেছেন লিটন। আফিফের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠেছে ৪৪ বলে ৫৭ রান।
২ ওভারে ২৬
ওয়ালশের শর্ট লেংথের বলে পুল করে ছয় মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ।
শেফার্ডের ওপর এরপর চড়াও হয়েছেন আফিফ হোসেন। লং-অন দিয়ে ছয়ের পর ফুলটসে কাভার দিয়ে মেরেছেন চার। শেষ ২ ওভারে এসেছে ২৬ রান। ১৬ ওভার শেষে স্কোর ৩ উইকেটে ১২৯ রান।
মাহমুদউল্লাহ-আফিফের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৩০ রানে। ইনিংস এখন ডেথ ওভারে।
মাহমুদউল্লাহ ২০ বলে ২২
২ চার, ১ ছয়। তবে ২০ বলে ২২ রান করেই থামলেন মাহমুদউল্লাহ। ওয়ালশকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে মিস করে গেছেন, বেশ খানিকটা সময় নিয়ে এলবিডব্লু দিয়েছেন গ্রেগরি ব্রাফেট। বাংলাদেশ অধিনায়ক রিভিউ নিয়েছিলেন, তবে কাজে আসেনি তা। ৩৫ বলে ৪৯ রানের জুটি ভাঙল মাহমুদউল্লাহর উইকেটে।
ফিফটি এবং আউট
ওয়ালশের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি পূর্ণ করলেন, তবে সে সিঙ্গেলকে ডাবল বানাতে গিয়ে রান-আউট হলেন আফিফ হোসেন। ২ রান নিতে গিয়েছিলেন জোর করেই, ডাইভ দিয়েও বাঁচলেন না। ৩৮ বলে ৫০ রান করেই ফিরতে হলো তাঁকে। ৩ বলের মধ্যে থিতু হওয়া দুই ব্যাটসম্যানকে হারাল বাংলাদেশ।
২০ ওভারে ১৬৩/৫
লিটন দাসের ৪৯, আফিফ হোসেনের ৫০ রানের ইনিংসের সঙ্গে ৪৯ ও ৫৭ রানের দুই জুটিতে ১৬৩ পর্যন্ত গেল বাংলাদেশ।
পাওয়ারপ্লের মধ্যে ২ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশকে ভালো একটা ভিত গড়ে দেন লিটন ও আফিফ। লিটন গতি বদলানোর আগেই ফিরে গেছেন, এরপর মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে আফিফের জুটিতে ওঠে ৫৭ রান। আফিফও ফেরেন ফিফটি পূর্ণ করার সঙ্গে সঙ্গেই।
লিটন ৪৯ রান করতে খেলেছেন ৪১ বল, আফিফের গতি অবশ্য তুলনামূলক ভালো ছিল। এ বাঁহাতি ব্যাটিং করেছেন ১৩১ স্ট্রাইক রেটে। বাউন্ডারি পেলেও মাহমুদউল্লাহ ২২ রান করতেই খেলেছেন ২০ বল।শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেন ৬ বলে করেছেন ১০ রান, শেষ ওভারে মারা ২ চারে।
৩ উইকেটে ১২৯ রান নিয়ে ১৭তম ওভার শুরু করা বাংলাদেশ শেষ ৪ ওভারে অবশ্য ৩৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি। তবে গায়ানার উইকেটে স্পিনাররা গ্রিপ পাচ্ছেন, পেসার তাসকিন আহমেদের জায়গায় বাংলাদেশ আজ খেলাচ্ছে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে।
১৬৩ রানের স্কোর এ উইকেটে লড়াই করার জন্য যথেষ্ট হওয়ার কথা। বোলাররা পারবেন বাংলাদেশকে সিরিজে সমতায় ফেরাতে?
প্রথম ওভারেই নাসুমের আঘাত
প্রথম ওভারে নাসুম আহমেদ, প্রথম ওভারেই ব্রেকথ্রু!
প্রথম বৈধ বলেই ছয় মেরে শুরু করেছিলেন আগের ম্যাচে অর্ধশতক করা ব্রেন্ডন কিং। তবে প্রতিশোধ নিতে বেশিক্ষণ সময় নিলেন না নাসুম। ওভারের শেষ বলটা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন, ফ্লিক করতে গিয়ে মিড অনে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর হাতে ধড়া পড়েছেন তিনি।
বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দিলেন নাসুম।
নাসুমের পর মেহেদীর আঘাত
দুই প্রান্ত থেকে স্পিন, দুই প্রান্ত থেকেই সাফল্য। নাসুমের পর এবার আঘাত করলেন মেহেদী হাসান। হাঁটু গেড়ে টেনে খেলতে গিয়েছিলেন শামার ব্রুকস, তবে সরাসরি ক্যাচ দিয়েছেন স্কয়ার লেগে থাকা এনামুল হকের হাতে। চতুর্থ ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২২ রানের মধ্যেই।
সাকিব এলেন, উইকেট পেলেন
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি এর আগে ১ ওভার করা কাইল মায়ার্স আজ এসেছিলেন বোলিং ওপেন করতে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর আগে ছয় নম্বরের ওপর না খেলা ওডিন স্মিথকে পাঠানো হয়েছে চার নম্বরে।
তবে স্মিথকে ওপরে ‘এনফোর্সার’ হিসেবে পাঠানো কাজে দিল না ক্যারিবীয়দের। বোলিং করতে এসেই তাঁকে ফেরালেন সাকিব আল হাসান। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিস করে এলবিডব্লু হয়েছেন তিনি।
পাওয়ারপ্লেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছিল ৪৩ রান,২ উইকেট হারিয়ে। ৬.১ ওভারে তারা পরিণত হলো ৩ উইকেটে ৪৩ রানে।
স্পিন, স্পিন, স্পিন এবং স্পিন
নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিলেই করেছেন পাওয়ারপ্লের ৬ ওভার। এরপর এসেছেন সাকিব আল হাসান। চতুর্থ বোলার হিসেবে এলেন আরেক স্পিনার—মোসাদ্দেক হোসেন। তাঁর প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে অবশ্য ছয় মেরেছেন মায়ার্স। অষ্টম ওভারে ৫০ পেরিয়েছে স্বাগতিকেরা। ৮ ওভার শেষে তাঁদের স্কোর ৩ উইকেটে ৫৬ রান।
৫৪ বলে প্রয়োজন ৮৪ রান
চাপ সামাল দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন পুরান ও মায়ার্স। দুজনের জুটিতে এখন পর্যন্ত উঠেছে ২৮ বলে উঠেছে ৩৪ রান। শেষ ৫৪ বলে এখন প্রয়োজন ৮৪ রান।
সুযোগ হাতছাড়া, ফিফটি জুটি
শরীফুল সরাসরি থ্রোয়ে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে রান-আউট হতে পারতেন নিকোলাস পুরান। মায়ার্সের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছিলেন উইন্ডিজ অধিনায়ক।
ঠিক পরের বলে শরীফুলকে স্কয়ার লেগের ওপারে আছড়ে ফেলেছেন মায়ার্স। পুরানের সঙ্গে তাঁর জুটি পেরিয়েছে ৫০, বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেওয়ার পথেই এগোচ্ছেন দুজন!
মায়ার্সের ফিফটি
১ ওভার, ৪ রান। তবে ক্রিজে দুই বাঁহাতি, সাকিব আল হাসানকেও তাই বোলিংয়ে আনছেন না মাহমুদউল্লাহ। তবে অন্য বোলারদের ওপর দয়ামায়া দেখাচ্ছেন না মায়ার্স বা পুরান। মোস্তাফিজ-শরীফুলের পর ফেরানো হয়েছে মোসাদ্দেককে।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পেয়ে গেছেন মায়ার্স, ৩৩ বলে মাইলফলকে গেছেন তিনি। শেষ ৩৬ বলে প্রয়োজন ৪৫ রান।
নাসুমে ব্রেকথ্রু
নাসুম ফিরলেন, ফিরে ফেরালেন ৩৮ বলে ৫৫ রান করা কাইল মায়ার্সকে। এর আগেই অবশ্য পুরানের সঙ্গে মায়ার্সের ৮৫ রানের জুটিতে কাজ বেশ সহজই হয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। নাসুম ব্রেকথ্রু দিলেন, তবে দেরি হয়ে গেল বেশি?
মায়ার্স ফেরার ঠিক পরের বলেই স্লগ সুইপে ছয় মেরে ফিফটি পূর্ণ করেছেন পুরান। তাঁর লাগল মাত্র ৩০ বল।
অবশেষে সাকিব
১৭তম ওভারে অবশেষে আক্রমণে ফেরানো হলো প্রথম ওভারে ৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়া সাকিব আল হাসানকে। সেটি যে বেশ দেরিতে, আলাদা করে না বললেও চলছে। সাকিব তাঁর ওভারে দিলেন ৫ রান, জয় থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন ৯ রান দূরে।
আফিফের উইকেট
১৮তম ওভারে সপ্তম বোলার হিসেবে এসেছেন আফিফ হোসেন। ফিরিয়েছেন আগের ম্যাচে ঝড় তোলা রোভম্যান পাওয়েলকে। লং-অফে লাফিয়ে উঠে ভালো ক্যাচ নিয়েছেন লিটন দাস।
৫ উইকেটে হেরে সিরিজ হারল বাংলাদেশ
মাহমুদউল্লাহকে ছয় মেরে ম্যাচ শেষ করলেন নিকোলাস পুরান। ম্যাচের প্রতীকী চিত্র ধরে নিতে পারেন এটিকে। ম্যাচে বাংলাদেশ যা করেছে, তাদের অধিনায়ক যা করেছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ও তাদের অধিনায়ক করেছেন তার বেশি কিছু। গায়ানায় ১০ বল বাকি থাকতেই ১৬৩ রান তাড়া করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫ উইকেটের জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে তারা।
লড়াই করার মতো স্কোর নিয়ে, শুরুতে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলেও প্রশ্নবিদ্ধ কৌশলের আশ্রয় নিয়ে হারল বাংলাদেশ।
এক সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোরকার্ড ছিল এমন—৮ ওভার, ৫৬ রান, ৩ উইকেট।
তবে এরপর চিন্তা করুন, অমন পরিস্থিতির পর আক্রমণ থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো প্রথম ওভারে ৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়া দলের সেরা বোলারকে। কারণ তিনি বাঁহাতি, ক্রিজে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
সাকিব আল হাসান এরপর বোলিংয়ে ফিরলেন ইনিংসের ১৭তম ওভারে, কাইল মায়ার্স আউট হওয়ার পর। ততক্ষণে মায়ার্স ফিরেছেন ৩৮ বলে ৫৫ রান করে, পুরানের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠেছে ৫১ বলে ৮৫ রান। মায়ার্স ফিরলেও ম্যাচ শেষ করেই ফিরেছেন পুরান। ৩৯ বলে ৭৪ রানের ইনিংসে উইন্ডিজ অধিনায়ক মেরেছেন ৫টি করে চার ও ছয়।
পরে ম্যাচসেরাও হয়েছেন পুরান।
ব্যাটিংয়ে অতৃপ্তি, বোলিংয়ে পরিকল্পনাহীনতা
প্রেসবক্সে মৃদু সুর উঠল, ‘ও বাঙালী বাবু...।’ লাইনটা গায়ানার জনপ্রিয় চাটনি গান ‘ও বাঙালী বাবু... ও গায়ানিজ বাবু’ থেকে নেওয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ে আসা মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রথম বলেই লং অফ দিয়ে ছক্কা মারেন নিকোলাস পুরান। মোস্তাফিজের প্রতি পুরানের এমন ‘স্বাগত সম্ভাষণ’ দেখেই কিনা স্থানীয় এক সাংবাদিকের কণ্ঠে চলে এল গানের লাইনটা।
পড়ুন তারেক মাহমুদের ম্যাচ রিপোর্ট