অ্যান্টিগায় সিরিজের প্রথম টেস্টে ৩২.৫ ওভার ব্যাটিং করে ১০৩ রান তুলতেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান একাই করেছেন ৫১ রান। তামিম ইকবালের ২৯ রান ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন মাত্র আর একজন—লিটন দাস।
বাংলাদেশ ইনিংসে ছয় জন ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন শূন্য রানে। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে হয়েছিল এমন। ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে পর পর দুই টেস্টে কমপক্ষে ছয় জন ব্যাটসম্যানের কোনো রান না করেই ফিরে যাওয়ার কীর্তি গড়ল বাংলাদেশ।
৬ উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে মধ্যাহ্নবিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ওভারে জেইডেন সিলসের লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে জশুয়া ডা সিলভার হাতে ধরা পড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ, ২২ বলে ২ রান করে। ৭৭ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ, ভাঙে মিরাজের সঙ্গে সাকিবের ৩২ রানের জুটি।
সাকিবকে সঙ্গ দেওয়ার মতো শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যানই ছিলেন মিরাজ, ফলে কাজটা এরপর আরও কঠিন হয়ে পড়ে তাঁর জন্য। মিরাজকে আউট করার পরের ওভারে আবার আঘাত করেন সিলস। এবার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ইনসাইড-এজে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মোস্তাফিজুর রহমান।
এর মধ্যে ক্যারিয়ারের ২৮তম অর্ধশতক পূর্ণ করেন সাকিব, সিলসের বলে চার মেরে, ৬৩ বলে। তবে পরের ওভারে আলজারি জোসেফকে তুলে মারতে গিয়ে লং-অন বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সে ওভারেই খালেদ আহমেদকে ফিরিয়ে ইনিংস শেষ করেন জোসেফ। এ পেসার ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন, এখন পর্যন্ত যেটি তাঁর ক্যারিয়ারসেরা বোলিং।
এর আগে বাংলাদেশের সকালটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। ১৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারানোর পর তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের জুটিতে একটু থেমে ছিল বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের যাওয়া-আসা। তবে প্রথম ঘণ্টার পানি-পানের বিরতির পরপরই আবার নামে ধস। এবার বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারায় ৪ রানের ব্যবধানে।
তামিম-লিটনের মতো পরের চেষ্টাটা করেছিলেন সাকিব ও মিরাজ। তবে তাঁরাও বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি দলকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের চার পেসার মিলেই নিয়েছেন বাংলাদেশের ১০ উইকেট। জোসেফ ও সিলস নিয়েছেন ৩টি করে, কেমার রোচ ও কাইল মায়ার্স ২টি করে। একমাত্র স্পিনার গুড়াকেশ মোতি করেছেন ১ ওভার।