২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

‘শহীদ আফ্রিদি মিথ্যাবাদী, চরিত্রহীন’

দানিশ কানেরিয়া ও শহীদ আফ্রিদিফাইল ছবি

ধর্ম আলাদা হওয়ার কারণে পাকিস্তান ক্রিকেট দলে বিভেদ-বিদ্বেষের শিকার হয়েছেন, দানিশ কানেরিয়া এমন অভিযোগ অনেক আগেই করেছিলেন। সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতারও কানেরিয়ার এ অভিযোগের পক্ষে কথা বলেছিলেন। এবার কানেরিয়া বলছেন, শহীদ আফ্রিদির অধিনায়কত্বের সময় কী ধরনের বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন, তিনি কখনোই সেটি ভুলতে পারেন না। তাঁর মতে, আফ্রিদি একজন মিথ্যাবাদী ও চরিত্রহীন ব্যক্তি।

আফ্রিদির অধিনায়কত্বের সময় বারবার বৈষম্যের শিকার হয়েছেন তিনি, কানেরিয়া এমন অভিযোগ আগেই করেছিলেন। তিনি মনে করেন এই আফ্রিদি না থাকলে তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ার আরও দীর্ঘ হতো। কিন্তু সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজের জায়গা ধরে রাখতেই কানেরিয়াকে সব সময় উপেক্ষা করতেন আফ্রিদি।

পাকিস্তান জাতীয় দলে এমন সময়ও কেটেছে কানেরিয়া-আফ্রিদির।
ছবি: এএফপি

কানেরিয়ার মতে, ‘সে কখনোই চাইত না আমি দলে থাকি। সে একটা আস্ত মিথ্যাবাদী আর ষড়যন্ত্রকারী। চরিত্রেও সমস্যা আছে ওর। সে সব সময়ই আমাকে পেছন থেকে টেনে ধরত। আমরা দুজনই লেগ স্পিনার ছিলাম। সে কারণে আফ্রিদি আমাকে বসিয়ে দিত। আফ্রিদি অন্য খেলোয়াড়দের আমার বিরুদ্ধে উসকে দিত। আমার যেহেতু ভালো পারফরম্যান্স ছিল, তাই সে আমাকে হিংসা করত। আমি পাকিস্তানের হয়ে খেলতে পেরে গর্বিত। আমি অনেক কৃতজ্ঞ।’

পাকিস্তান দলে ধর্মের কারণেই কানেরিয়া বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব এটি নিয়ে একবার বলেছিলেন। কানেরিয়া সে সম্পর্কে নিউজ ১৮-কে বলেছেন, ‘অন্তত একজন আমার অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করেছে। আমার হয়ে বলার জন্য শোয়েব আখতারকে ধন্যবাদ। কিন্তু আমি জানি, শোয়েব ওই কথা বলার পর বিভিন্ন মহলের হুমকি আর চাপ সয়েছে। এরপর সে এ ব্যাপারে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ধর্মের কারণে বৈষম্যের শিকার তো আমি হয়েছিই।’

আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন কানেরিয়া
রয়টার্স

আফ্রিদির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা কানেরিয়ার ক্যারিয়ারও অবশ্য বিতর্কিত। ২০১৩ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হন কানেরিয়া। তবে বরাবরই এটিকে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে আসছেন সাবেক এ লেগ স্পিনার, ‘আমি আগেও বলেছি, আমি নির্দোষ। তবে আমার সঙ্গে আরও একজনের নাম এসেছিল, কিন্তু পরে কেবল আমিই দোষী সাব্যস্ত হই। সেই ব্যক্তি আফ্রিদি ও পাকিস্তানের অন্যান্য ক্রিকেটারের বন্ধু। স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে শাস্তি পাওয়া অনেকেরই শাস্তি উঠে গেছে। অনেকেই ক্রিকেটেও ফিরেছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও খেলা হয়ে গেছে নির্বাসন থেকে ফিরে। আমি তো এখন আর ক্রিকেটে ফিরতে পারব না, সে বয়সও নেই। আমি পিসিবির কাছে কোনো চাকরিও চাই না। কেবল চাই পিসিবি আমার শাস্তিটা তুলে দিক, আমি একটু শান্তিতে জীবন যাপন করি।’