আরেকটি টেস্ট, আরেকটি পরাজয়। অ্যান্টিগার পর সেন্ট লুসিয়াতেও বড় ব্যবধানে হেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে সেন্ট লুসিয়া টেস্টটা শুধুই আরেকটি হার নয়, সংখ্যার দিক দিয়ে আলাদা একটা তাৎপর্য আছে এর। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের যে এটি শততম হার!
২০০০ সালে টেস্ট অভিষেকের পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ খেলল ১৩৪টি ম্যাচ। এর মধ্যে ১০০টিতেই হারল তারা। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ১৬টি টেস্টে, ড্র হয়েছে বাকি ১৮টি। ১৩৪ ম্যাচ খেলেই ১০০ হার—টেস্ট ইতিহাসে আর কোনো দলের এত কম ম্যাচ হারের শতকের রেকর্ড নেই।
বাংলাদেশের আগে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ১০০ হারের রেকর্ডটি ছিল নিউজিল্যান্ডের। ৮ ডিসেম্বর ১৯৯৫ সালে শুরু হওয়া পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট হেরে ‘শতক’ পূর্ণ করেছিল কিউইরা। ওই সময়ের মধ্যে তারা খেলেছিল ২৪১টি টেস্ট। তার মধ্যে ৩৩টিতে জয় ছিল তাদের।
শততম হারের আগে সবচেয়ে বেশি জয়—এমন রেকর্ডটি অস্ট্রেলিয়ার। ১৮৭৭ সালে ইতিহাসের প্রথম টেস্টের প্রায় ১০০ বছর পর ১৯৭৮ সালে যখন শততম হার আসে অস্ট্রেলিয়ার, এর মধ্যে খেলা ৩৭৪টি টেস্টের ১৭০টিই জিতেছিল তারা।
শততম হারের আগে ম্যাচ ও ওই সময়ে জয়
হারের রেকর্ড গড়া বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল অভিষেক টেস্টেই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। ২০০১ সালে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বৃষ্টির সৌজন্যে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম ড্র করেছিল বাংলাদেশ। তবে ওই ম্যাচের পর থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হেরেছিল টানা ২১টি টেস্ট ম্যাচ। টেস্টে টানা হারের রেকর্ড সেটিই। যেখানে বাংলাদেশ এগিয়ে পরিষ্কার ব্যবধানে, এ তালিকায় দুইয়ে থাকা জিম্বাবুয়ের টানা হারের রেকর্ডটি ১১ ম্যাচের। এ তালিকায় চার নম্বরেও আছে বাংলাদেশ, ২০০৭ থেকে ২০০৮-০৯ মৌসুম পর্যন্ত বাংলাদেশ হেরেছিল ৯টি ম্যাচ। এ ছাড়া দুইবার টানা ৮টি ম্যাচ হারের রেকর্ড আছে তাদের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট লুসিয়া টেস্ট দিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারে ধবলধোলাইয়ের রেকর্ডে নিজেদের অবস্থান আরেকটু ‘পোক্ত’ হলো বাংলাদেশের। এ নিয়ে ৩৫ বার ২ ম্যাচের সিরিজে ধবলধোলাই হলো বাংলাদেশ। কাছাকাছি থাকা জিম্বাবুয়ে ২ ম্যাচের সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে ১৮ বার। এমনিতে ৩ ম্যাচের সিরিজ বাংলাদেশ খেলে খুবই কম। তবে এখন পর্যন্ত খেলা ৩টি ৩ ম্যাচের সিরিজের ২টিতেই বাংলাদেশ হেরেছে সবকটি ম্যাচ।