ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এতে রুশ বাহিনীর যেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তেমনি পশ্চিমা অর্থ ও অস্ত্রসহায়তা পাওয়ার পরও ধুঁকছে ইউক্রেন।
যত ক্ষয়ক্ষতিই হোক না কেন, যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ কার্যকর হয়নি। কেউ কেউ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন; অন্যরা আবার আগ্রাসনের জন্য রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়ার দাবি তুলেছেন।
এই কয়েক মাসে রাশিয়ার সমালোচনা করার লোকের অভাব হয়নি।সমালোচনাকারীদের মধ্যে রয়েছেন ক্রীড়াঙ্গনের অনেক তারকা। এমনকি রাশিয়ার অনেক মানুষও নিজ দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অযাচিত আক্রমণ মেনে নিতে পারেননি। রাশিয়া ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ইগর ডেনিসভও তাঁদের মধ্যে একজন।
ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা মেনে নিতে পারেননি তিনি। সোচ্চার হয়েছেন পুতিনের বিরুদ্ধে। ডেনিসভ এই আশঙ্কাও করছেন, নিজ দেশের প্রধানের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কারণে তাঁর জেল হতে পারে, এমনকি খুনও হতে পারেন। রাশিয়ার সাবেক ও বর্তমান ক্রীড়াবিদদের মধ্যে ডেনিসভই প্রথম, যিনি রাশিয়ায় থেকেও যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
রাশিয়ার ক্রীড়া প্রতিবেদক নোবেল আরুস্তামিয়ানকে দেওয়া এক ইউটিউব সাক্ষাৎকারে ডেনিসভ বলেছেন, ‘এগুলো বিপর্যয়ের ঘটনা। ভয় ও ত্রাসের জন্ম দেয় এমন ঘটনাগুলো। আমি জানি না এসব বলার জন্য আমাকে জেলে ঢোকানো হবে কি না বা খুন করা হয় কি না—কিন্তু যা ঘটছে, যেটা সত্যি সেটা আমাকে বলতেই হবে।’
ডেনিসভ আরও জানিয়েছেন, যুদ্ধ যখন শুরু হয়, তখন যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান করে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে উদ্দেশ করে একটা ভিডিও করেছিলেন, কিন্তু কোনো গণমাধ্যম সেটা প্রকাশ করতে রাজি হয়নি, ‘আমি এটাও বলেছিলাম, দরকার হলে আমি পুতিনের সামনে হাঁটু গেড়ে কাকুতি-মিনতি করতেও রাজি আছি। তাতেও যদি তিনি যুদ্ধটা থামাতেন।’
২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন ডেনিসভ। খেলেছেন ৫৪ ম্যাচ। পুতিনের পছন্দের ক্লাব জেনিত সেইন্ট পিটার্সবার্গে খেলেছেন ৯ বছর, ইউরোপা লিগও জিতেছেন ক্লাবটার হয়ে। এরপর লোকোমোটিভ মস্কো ও দিনামো মস্কোর হয়েও খেলতে দেখা গেছে তাঁকে। ২০১৯ সালে ফুটবল থেকে অবসর নেন তিনি।