মোস্তাফিজকে টেস্টের ব্যাপারে জোর করতে চান না সাকিব
মোস্তাফিজুর রহমানের টেস্টে না খেলা নিয়ে আলোচনা চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। তিনি টেস্ট খেলতে চান না, এমন কথাও উঠেছিল মাঝে। তবে অবশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে টেস্ট দলে ফিরেছেন এই বাঁহাতি পেসার। সামনেও মোস্তাফিজকে টেস্ট খেলতে উদ্বুদ্ধ করবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অবশ্য সাকিব আল হাসান বললেন, ব্যক্তিগত পছন্দ, প্রাধান্য, ‘কমফোর্ট জোন’কে সম্মান করা উচিত সবার।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন মোস্তাফিজ। এরপর সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই আবার এ সংস্করণে ফিরছেন এই বাঁহাতি পেসার। এর মধ্যে বাংলাদেশ খেলে ফেলেছে ১২টি টেস্ট ম্যাচ। চোটের কারণে তাসকিন আহমেদ নেই আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া সিরিজে। ফলে পেস আক্রমণের নেতৃত্বভাগেই থাকবেন মোস্তাফিজ।
আজ সংবাদ সম্মেলনে মোস্তাফিজের টেস্ট খেলা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছিল সাকিবের কাছে। বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক জবাবে বলেছেন, ‘(কারও) প্রাধান্য থাকতেই পারে। উদ্বুদ্ধ করার কিছু নেই। মোস্তাফিজ যদি মনে করে, ও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে চায় এবং সেটি ওর জন্য ভালো হয়, সেটিই সম্মান করা উচিত।’
তবে এ টেস্টে মোস্তাফিজের নিবেদন নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকার কথা নয় বলেই মনে করেন সাকিব, ‘যেহেতু এ সিরিজে আছে, আমি নিশ্চিত ও খেলার জন্য উজ্জীবিত। আমাদের জন্য সেটিই গুরুত্বপূর্ণ। অধিনায়ক হিসেবে এ দুই ম্যাচের দিকেই নজর দিচ্ছি আমি। আমি নিশ্চিত, ওর সঙ্গে কথা বলেছি, ও খুবই উজ্জীবিত। দীর্ঘমেয়াদে কী আছে ওর মনে, সেটি আমি জানি না। তবে প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই কিছু প্রাধান্য থাকে, পছন্দ থাকে, “কমফোর্ট জোন” থাকে, সেটিকে সম্মান করা উচিত।’
এমনিতে ২০১৮ সালে সর্বশেষ ক্যারিবীয় সফরে টেস্ট সিরিজটা সুখকর নয় বাংলাদেশের। সেবার ২-০ ব্যবধানেই হেরেছিল বাংলাদেশ। টেস্টেও এ বছরটা মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের ঐতিহাসিক জয় দিয়ে শুরু হলেও সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছে না, বদল এসেছে অধিনায়কত্বেও।
২০১৮ সালে অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ৪৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। আগামীকাল প্রথম টেস্ট শুরু সেখানেই। তবে চার বছর আগে-পরে ব্যবধান অনেক, সাকিব সেটি জানেন। প্রথম টেস্টের উইকেট দেখে এবার সাকিবের মনে হচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ প্রথম ইনিংসের পারফরম্যান্সই, ‘আমার মনে হয়, পুরোপুরি আলাদা উইকেট, চার বছরের আগে থেকে, আপনি যেমন বললেন। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে, উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো। অবশ্য চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং কঠিন হবে, স্পিনাররা কাজে আসবে তখন। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, প্রথম ইনিংসে কেমন ব্যাটিং করি। শুরুতে ব্যাটিং বা বোলিং যা–ই করি না কেন, তেমন কোনো পার্থক্য হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি ভালো করছেন। আমাদের সবকিছুর জন্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। ছেলেরা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’