মুশফিক বললেন 'মন্তব্য করব না'
মুশফিকুর রহিমের সংবাদ সম্মেলনের এখন আর প্রয়োজন হয় না। সাংবাদিকেরা চাইলে আগেই লিখে ফেলতে পারেন মুশফিকের কথা। মুশফিক কী বলবেন বা বলতে পারেন, সেটা যে আগে থেকে সহজেই অনুমান করে নেওয়া যাচ্ছে। বারবার সেই একই কথাই তো ঘুরেফিরে বলছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মুশফিক অবশ্য দাবি করতে পারেন, পরিস্থিতিও তো একই রকম। সেটা বদলালেই না অন্য রকম কিছু বলবেন!
আজও সংবাদ সম্মেলনে সেই একই কথা বলে গেলেন। কোনো দলের ৩-৪ জন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ফর্মে না থাকলে ভারত, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা হবে কীভাবে?
মুশফিক তাঁর এই বক্তব্যের পক্ষে তুলে ধরলেন কিছু যুক্তিও, ‘আপনারা দেখেছেন সাকিবের মতো খেলোয়াড় দলে না থাকার পরও আমরা ম্যাচ জিতেছি। ওই সময় রিয়াদ ভাই (মাহমুদউল্লাহ), নাসির, মাশরাফি ভাই, কিংবা সোহাগ গাজীরা ফর্মে ছিল। তারা সাকিবের শূন্যতাটা বুঝতেই দেয়নি। কিন্তু এবার তারা কেউই ফর্মে ছিল না। একসঙ্গে এতগুলো খেলোয়াড় ফর্মে না থাকলে যা হয়, এবার ঠিক তা-ই হয়েছে।’
বাংলাদেশ অধিনায়ক ঠিক বুঝতে পারছেন না আসলে কী করলে কী হবে! ব্যাপারটা তাঁর জন্য বেশ হতাশাজনকই। অনুশীলন, পরিশ্রম—সম্ভব প্রায় সবকিছু করার পরও মাঠের পারফরম্যান্সে তার অনুবাদ নেই। ব্যাপারটা নিয়ে আক্ষেপও ঝরল তাঁর মধ্যে, ‘জানি না আর কী কী করার বাকি আছে। আমরা পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছি, অনুশীলনে কোনো ঘাটতি নেই। নিজেদের ভুলগুলো নিয়েও খেলোয়াড়েরা কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু তার পরও কিছুই হচ্ছে না। আপাতত খেলা নেই। এই সময়টা আমরা এসব নিয়ে কাজ করব, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেব। দেখি কত দূর কী করা যায়।’
দল নির্বাচনে ধারাবাহিকতার অভাব নিয়ে প্রশ্ন ছুটে গিয়েছিল। প্রশ্নটা মূলত ছিল তামিম ইকবালের বাজে ফর্ম নিয়ে। শামসুর রহমান, জিয়াউর রহমান, মুমিনুলকে খারাপ খেলার জন্য বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ তামিম দিনের পর দিন বাজে খেলার পরেও দলে টিকে আছেন। ব্যাপারটির রীতিমতো ব্যাখ্যাই চাওয়া হলো মুশফিকের কাছে। অধিনায়ক সেই ব্যাখ্যাটাও দিয়েছেন স্পষ্ট ভাষ্যেই, ‘তামিম আসলে এখনো দল থেকে বাদ পড়ার অবস্থায় নেই। তামিম যে ধরনের খেলোয়াড়, তাতে এখনই ওকে দল থেকে বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তামিমের জন্য এই টুর্নামেন্টটা খুব খারাপ গেল। আসলে এই টুর্নামেন্টে খেলাগুলো একটার পর একটা হয়েছে। নিজেকে শোধরানোর খুব বেশি সুযোগ হয়নি ওর। আমাদের দলে অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। কিন্তু সত্যি বলছি, তামিমের মতো খেলোয়াড় খুব কমই আছে।’
প্রথম আলোতে আজ প্রকাশিত সাকিব আল হাসানের সাক্ষাত্কারটি নিয়ে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে দিনভরই ছিল আলোচনা। মুশফিক সেই সাক্ষাত্কারটি পড়েননি বলেই জানালেন, ‘আসলে আমি যেকোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্ট চলাকালে খুব বেশি পত্রিকা পড়ি না। তাই জানি না ওই সাক্ষাত্কারে সাকিব আসলে কী বলেছে। সাকিব সেখানে যা বলেছে তা সম্পূর্ণই ওর ব্যক্তিগত মত। যেহেতু কথাগুলো সে আমার সামনে বলেনি, তাই ওগুলো নিয়ে আমি কোনো মন্তব্যই করব না।’