সেন্ট লুসিয়ায় সকালে হয়ে যাওয়া বৃষ্টিতে ভেজা ছিল মাঠ। এরপরও নির্ধারিত সময়ে তৃতীয় দিনের শুরু হলেও সকালের সেশনে খেলা হয়েছে ৪৪ মিনিট। এরপরই ঝুম বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা, নির্ধারিত সময়ে নেওয়া মধ্যাহ্নবিরতির আগে শুরু হয়নি আর।
এর আগের সময়টা মন্দ কাটেনি বাংলাদেশের। কাইল মায়ার্সের সঙ্গে জশুয়া ডা সিলভার জুটি ভেঙেছে, ফিরেছেন আলজারি জোসেফও। মায়ার্স অবশ্য অপরাজিত এখনো, ব্যাটিং করছেন ১৪০ রানে। ১০৬ রানের লিড নিয়ে দিন শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ এগিয়ে গেছে ১৪২ রানে। ক্রিজে মায়ার্সের সঙ্গী কেমার রোচ, ১৯ বলে ৭ রান তাঁর।
আগের দিন শেষ দুই সেশনে মাত্র একটি উইকেট পেলেও তৃতীয় দিন সকালটা তাই ভালোই গেছে বাংলাদেশের। দিনের প্রথম ৫ ওভারের মধ্যেই আসে ২ উইকেট।
দিনের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম আঘাত করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ঝুলিয়ে দেওয়া বলে সুইপ করতে গিয়ে মিস করে জশুয়া ডা সিলভা হন এলবিডব্লু। আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে আজ ৩ রান যোগ করতে পারেন এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ২৯ রান করতে তিনি খেলেন ১১৫ বল। আউট হওয়ার আগে কাইল মায়ার্সের সঙ্গে তাঁর জুটি ছিল ৯৬ রানের।
ডা সিলভা আউট হওয়ার পরের ওভারে মিরাজের ওপর চড়াও হন মায়ার্স, মারেন দুইটি চার। পরের ওভারে আলজারি জোসেফও চার মারেন খালেদ আহমেদকে। এক বল পরই অবশ্য খালেদের অ্যাঙ্গেল করে ভেতরের দিকে ঢোকা বাড়তি বাউন্সের বলটা ঠেলতে গিয়ে মিডউইকেটে লিটন দাসের হাতে সহজ ক্যাচ দেন জোসেফ। খালেদ এ নিয়ে তিনটি উইকেটই পেলেন বাড়তি বাউন্সের বলে।
নামার পর প্রথম বলেই চার মেরে শুরু করেন কেমার রোচ, এরপর অবশ্য খোলসে ঢুকে যান। এখনোই স্লগের পথে না এগোনোর ইঙ্গিতই দিয়েছেন তাঁরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
৩য় দিন, মধ্যাহ্নবিরতি
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ৬৪.২ ওভারে ২৩৪ (তামিম ৪৬, নাজমুল ২৬, এনামুল ২৩, লিটন ৫৩, ইবাদত ২১, শরীফুল ২৬, খালেদ ১; জোসেফ ৩/৫০, সিলস ৩/৫৩, ফিলিপ ২/৩০, মেয়ার্স ২/৩৫)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস : ১১৬ ওভারে ৩৭৬/৭ (মায়ার্স ১৪০*, ব্রাফেট ৫১, ক্যাম্পবেল ৪৭, ব্ল্যাকউড ৪০, ডা সিলভা ২৯; খালেদ ৩/৯৩, মিরাজ ৩/৮২, শরীফুল ১/৬৭)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংসে ১৪২ রানে এগিয়ে