২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

বিশ্বকাপের যত ঝড়

ওয়েলিংটনে আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঝড় তুললেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। করলেন বিশ্বকাপের সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। বিশ্বকাপে এমন কিছু ঝোড়ো সেঞ্চুরি-ফিফটির গল্প জেনে নেওয়া যাক:

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ও’ব্রায়েনের সেই কাব্যিক ইনিংস।ফাইল ছবি
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ও’ব্রায়েনের সেই কাব্যিক ইনিংস।ফাইল ছবি

রূপকথার নায়ক ও’ব্রায়েন
গত বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আইরিশ-রূপকথার মূল নায়ক ছিলেন কেভিন ও’ব্রায়েন। ঝড়, সাইক্লোন, টর্নেডো—কোনো উপমাতেই যেন বোঝানোর উপায় নেই ডানহাতির দুর্দান্ত সেই ইনিংসটির কথা। আয়ারল্যান্ডকে ইংল্যান্ড লক্ষ্য দিয়েছিল ৩২৮ রান। ছয় নম্বরে নেমে ও’ব্রায়েন আবির্ভাব হলে খুনে চেহারায়। ৫০ বলে করলেন সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ড! খেললেন ৬৩ বলে ১১৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। ৫ বল বাকি থাকতে আইরিশরা জিতল ৩ উইকেটে।

হেইডেন-ঝড়

ক্যারিবিয়ান ঝড় নয়; সেদিন সেন্ট কিটসে উঠেছিল হেইডেন–ঝড়! ও’ব্রায়েনের আগে বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটি ছিল ম্যাথু হেইডেনের। ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে প্রথম ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঝোড়ো সূচনা করেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও হেইডেন। ৪২ রানে গিলক্রিস্ট ফিরলেও প্রোটিয়া বোলারদের কচুকাটা করতে উইকেটে ছিলেন হেইডেন। সেঞ্চুরি করতে লাগল ৬৬ বল। ইনিংসটা সাজিয়েছিলেন ১৪ চার ও ৪ ছয়ে। এটি এখন বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি।

বিশ্বকাপে দ্রুততম ফিফটির দুটি রেকর্ডই ম্যাককালামের দখলে।ফাইল ছবি
বিশ্বকাপে দ্রুততম ফিফটির দুটি রেকর্ডই ম্যাককালামের দখলে।ফাইল ছবি

ম্যাককালাম–তাণ্ডব
এ ক্ষেত্রে ম্যাককালামকে কিছুটা দুর্ভাগাই বলতে হবে। বিশ্বকাপে বেশ কবার উইকেটে ঝড় তুলেছেন তিনি। দুই অঙ্কের মধ্যেই একটা রেকর্ড দুবার করেছেন। আজ ওয়েলিংটনে ইংলিশ বোলারদের চোখের জল-নাকের জল এক করে ছেড়েছেন কিউই অধিনায়ক! ফিফটি ছুঁতে ম্যাককালামের লেগেছে মাত্র ১৮ বল। এটিই এখন বিশ্বকাপের সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটি। আগের রেকর্ডটিও ছিল তাঁর, ২০০৭ বিশ্বকাপে সেন্ট লুসিয়ায় কানাডার বিপক্ষে ফিফটি করেছিলেন ২০ বলে।

বাউচারের রুদ্ররূপ

২০০৭ বিশ্বকাপে সেন্ট কিটসে বৃষ্টির কারণে ম্যাচটা নেমে এসেছিল ৪০ ওভারে। পুঁচকে হল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ উইকেটে করল ৩৫৩ রান। প্রোটিয়াদের স্কোরকার্ডে কোনো রান যোগ না হতেই ফিরে গিয়েছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। এরপরও থামানো যায়নি প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের। সর্বোচ্চ ১২৮ করেছিলেন জ্যাক ক্যালিস। ফিফটি করেছিলেন গ্রায়েম স্মিথ, হার্শেল গিবস ও মার্ক বাউচার। এ ম্যাচে বাউচার ফিফটি করলেন মাত্র ২১ বলে, যেটি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি। তবে ম্যাচসেরা ক্যালিস কিংবা বাউচার কেউ হননি। হয়েছিলেন গিবস। কেন? এক ওভারে ছয় ছক্কার কথা নিশ্চয় মনে আছে!