বার্সা ডাকলেও রিয়াল ছাড়া কোথাও যেতে চাননি রুডিগার
খবরটা বের হয়েছিল গত মাসে। লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলেও নিজেদের রক্ষণের সমস্যা কাটাতে একটা পাকাপোক্ত বন্দোবস্ত করছে রিয়াল মাদ্রিদ। ইউরোপের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, সে জন্য চেলসির সেন্টারব্যাক আন্তনিও রুডিগারকে দলে টেনেছে স্প্যানিশ ক্লাবটি।
মৌসুম শেষেই চেলসির সঙ্গে চুক্তি হয়ে শেষ হয়ে যেত এই জার্মান ডিফেন্ডারের। আজ সেই রুডিগারকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেখা গেল রিয়ালের জার্সিতে।
বল নিয়ে কিছুক্ষণ কসরতের পর রিয়াল–সমর্থকদের প্রতি ভিডিও বার্তাও দেন রুডিগার। সংবাদ সম্মেলনে বসার আগে চুক্তি সই, ছবি তোলা ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সারেন তিনি। এ সময় রুডিগারের সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী লরা ও দুই সন্তান।
চেলসির সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন না করে ফ্রি ট্রান্সফারে রিয়ালের সঙ্গে চার বছরের চুক্তি করেছেন ইংলিশ ক্লাবটির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী এই ডিফেন্ডার। রিয়ালের অনুশীলনকেন্দ্র ভ্যালদেবেবাজে সংবাদ সম্মেলনে রুডিগার জানান, মাদ্রিদের ক্লাবটির কোচ কার্লো আনচেলত্তির সঙ্গে কথা বলার পর গত এপ্রিলেই রিয়ালে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রুডিগার বলেছেন, ‘গত সেপ্টেম্বের আমার এজেন্টের সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ করা হয়। পরের দফায় আমি আনচেলত্তির সঙ্গে কথা বলি, সেটা গত এপ্রিলে। তার সঙ্গে কথা বলাটা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। তখনই সিদ্ধান্ত নিই আমি এই ক্লাবে তার অধীন খেলব। সবাই জানে, মাদ্রিদে কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়। নিজের জায়গার জন্য সব সময় লড়তে হয়। আমি তা করতে প্রস্তুত।’
রিয়ালের রক্ষণে ডেভিড আলাবা, নাচো ফার্নান্দেজ, হেসুস ভায়েহো থাকলেও রুডিগারের সামর্থ্যের ওপর ভরসা রেখেছেন আনচেলত্তি। গত এপ্রিলেই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, রিয়ালের পাশাপাশি বার্সেলোনাও ২৯ বছর বয়সী রুডিগারকে দলে টানতে আগ্রহী। জার্মানির হয়ে কনফেডারেশনস কাপজয়ী এই ডিফেন্ডার জানিয়েছেন, রিয়াল ছাড়া অন্য কোনো ক্লাবের কথা ভাবেননি, ‘বার্সেলোনা আগ্রহী ছিল। কিন্তু আমার এজেন্টকে বলে দিয়েছিলাম, মাদ্রিদ ছাড়া অন্য কোনো ক্লাব নয়।’
চেলসিতে ২ নম্বর জার্সি পরে খেলেছেন রুডিগার। রিয়ালে এই জার্সি রাইটব্যাক দানি কারবাহলের। রিয়াল তাঁকে ১২ ও ২২ নম্বর জার্সির মধ্যে যেকোনো একটি বেছে নিতে বলেছিল। রুডিগার ২২ নম্বর জার্সিটা পছন্দ করেছেন। রিয়ালে যোগ দেওয়ার কথা শুনে পরিবারের খুশি হওয়ার কথাও জানালেন রুডিগার, ‘আমার পরিবার খুশি। কারণ, তারা জানে মাদ্রিদ কত বড় ক্লাব। আমার পরিবার ফুটবল অতটা বোঝে না। কিন্তু মাদ্রিদে যাওয়ার কথা শুনে আমার স্ত্রী খুব খুশি হয়েছে।’
১৪ বার চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী রিয়াল এই টুর্নামেন্টের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। প্যারিসে গত মে মাসের ফাইনালে লিভারপুলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আনচেলত্তির দল।
সেই ফাইনালে রিয়ালের সমর্থক ছিলেন রুডিগার, ‘ফাইনালের আগেই জানতাম রিয়ালের হয়ে খেলব। তাই রিয়ালেরই পক্ষ নিয়েছি। সাবেক ক্লাবের হয়ে লিভারপুলের বিপক্ষে দুটি ফাইনাল হেরেছি, তাই রিয়াল তাদের হারাতে পারায় খুশি হয়েছি।’