বাবরের কাছে ভারতকে হারানোই পাকিস্তানের বছরসেরা
শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ-যাত্রা শেষ হয়েছিল উড়তে থাকা পাকিস্তানের। তবে এর আগপর্যন্ত টুর্নামেন্টে অপরাজিতই ছিল বাবর আজমের দল। তাদের স্বপ্নযাত্রার শুরুটা হয়েছিল দুবাইয়ে ভারতকে হারিয়ে। সে জয় স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের কাছে ছিল বিশেষ কিছু—বিশ্বকাপে যে ভারতের বিপক্ষে সেটি তাদের প্রথম জয়। বাবরও বলছেন, ২০২১ সালে তাঁদের জন্য সেরা মুহূর্ত ভারতকে হারানোই।
১৯৯২ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবার ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাতবার দেখা হয়েছে দুই দলের, প্রতিবারই হেরেছে পাকিস্তান। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চালু হওয়ার পর সেবারই ফাইনালসহ দুই ম্যাচে ভারতের কাছে হেরেছিল পাকিস্তান। সব মিলিয়ে ২০২১ সালের আগে ছয়বার খেলেও জয় ছিল না একটিও। অবশেষে সে গেরোটা খুলেছে এবার।
ফিরে তাকিয়ে সেটিকেই সেরা মুহূর্ত মনে হচ্ছে বাবরের। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক পডকাস্টে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেছেন, ‘দল হিসেবে আমাদের জন্য দারুণ অর্জন ছিল এটি। কারণ, অনেক বছর ধরেই বিশ্বকাপে ভারতকে হারাতে পারিনি আমরা। বছরের সেরা মুহূর্ত এটি আমাদের।’
ভারতকে হারানোর পর সুপার টুয়েলভে আর কোনো ম্যাচ হারেনি পাকিস্তান। সেমিফাইনালেও অস্ট্রেলিয়াকে চাপে রেখেছিল তারা। তবে ম্যাথু ওয়েডের দুর্দান্ত ইনিংসে আর ফাইনালে যাওয়া হয়নি পাকিস্তানের। বাবরের কাছে বছরের সবচেয়ে হতাশাজনক মুহূর্ত সেটিই, ‘এ বছর সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছি ওই হারে। কারণ, দল হিসেবে আমরা এত ভালো খেলছিলাম।’
বিশ্বকাপের পরপরই বাংলাদেশ সফরে এসে স্বাগতিকদের উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও জিতেছে সব কটি ম্যাচই। এরপর দেশে ফিরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতেছে তারা। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে করোনাভাইরাস হানা দেওয়ার পর স্থগিত করা হয়েছে ওয়ানডে সিরিজ।
সব মিলিয়ে বছরটা খারাপ যায়নি পাকিস্তানের। তবে বাবরকে তৃপ্তি দিচ্ছে অন্য একটা বিষয়, ‘গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তরুণ মেধাবী ক্রিকেটারদের এগিয়ে আসতে দেখাটা সবচেয়ে বড় তৃপ্তির। আমাদের তরুণ ও মেধাবী ক্রিকেটার উঠে আসছে—এটা দেখাটা দারুণ।’
ব্যক্তিগত দিক দিয়েও বাবরের জন্য বছরটা দারুণই গেছে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থেকেই নতুন বছর শুরু করেছেন, টেস্টেও আছেন শীর্ষ দশে। টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড গড়া মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে তাঁর জুটিও গড়েছে নতুন রেকর্ড। তবে বাবর বলছেন, দলকে জেতাতে সহায়তা করলেই শুধু ব্যক্তিগত অর্জন আনন্দ দেয় তাঁকে।