বাংলাদেশকে টপকে শীর্ষে ইংল্যান্ড

শতক পেয়েছেন জেসন রয়রয়টার্স

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এ সিরিজ ইংল্যান্ড শুরু করেছিল বাংলাদেশের চেয়ে ২৫ পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে। ৩ ম্যাচ সিরিজে ডাচদের ধবলধোলাই করার পর ওয়ানডে বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশকে টপকে গেল তারা।

সিরিজের শেষ ম্যাচে আজ আমস্টিলভিনে স্বাগতিকদের ৮ উইকেটে হারিয়েছে জস বাটলারের দল। আগে ব্যাটিং করে ৪৯.২ ওভারে ২৪৪ রানেই গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। জেসন রয়ের অপরাজিত শতক, জস বাটলারের ৬৪ বলে ৮৬ রানের অপরাজিত ইনিংস, দুজনের অবিচ্ছিন্ন ১৬৩ রানের জুটিতে ৩০.১ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপ সুপার লিগের শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ডের পয়েন্ট এখন ১২৫, দুইয়ে থাকা বাংলাদেশের ১২০।

নেদারল্যান্ডসকে ধবলধোলাই করল ইংল্যান্ড
রয়টার্স

টস জিতে আজ ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন এউইন মরগানের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্ব করা বাটলার। পঞ্চম ওভারে ওপেনার বিক্রমজিত সিংকে হারালেও ম্যাক্স ও’ডাউড, বাস ডি লিডির পর অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসের অর্ধশতকে বেশ ভালো ভিতই পায় নেদারল্যান্ডস। ৪০তম ওভারে ৩ উইকেটে ২০৩ রান ছিল তাদের, ৩০০ রানের স্কোরও মনে হচ্ছিল নাগালেই। এরপরই ধস নামে তাদের ইনিংসে। ৪১ রানের মধ্যে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে ২ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় ডাচরা।

৩৬ রানে ৪ উইকেট নেন ডেভিড উইলি। ব্রাইডন কার্স ২ উইকেট নেন ৪৯ রানে। এ ছাড়া ১টি করে নিয়েছেন লিয়াম লিভিংস্টোন, আদিল রশিদ ও অভিষিক্ত ডেভিড পেইন।

বিশ্বকাপ সুপার লিগ পয়েন্ট টেবিল

রান তাড়ায় ইংল্যান্ডকে বেশ ভালো শুরু এনে দেন জেসন রয় ও ফিল সল্ট, দুজনের উদ্বোধনী জুটিতেই ওঠে ৮৫ রান। পল ফন মিকেরেনের বলে বোল্ড হয়ে ৩০ বলে ৪৯ রান করা সল্ট ফিরলে ভাঙে সে জুটি। এক বল পর ডেভিড ম্যালানকেও বোল্ড করেন ফন মিকেরেন। সে সময় নেদারল্যান্ডস একটু চাপ তৈরি করেছিল, তবে ধরে রাখতে পারেনি। ইংল্যান্ড এরপর আর উইকেট হারায়নি।

আরও পড়ুন

রয়ের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে বাটলারের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ওঠে মাত্র ১২২ বলে ১৬৩ রান। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিশ্ব রেকর্ড গড়ার দিনে ১ রানে আউট হওয়া রয় পরের দুই ম্যাচে পুষিয়ে দিলেন ঠিকই—৭৩ রানের পর এবার করলেন অপরাজিত ১০১ রান। মাত্র ৮৬ বলে ক্যারিয়ারের দশম শতক পান এ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান, ইনিংসে মারেন ১৫টি চার। অন্যদিকে বাটলার অপরাজিত ছিলেন ৬৪ বলে ৮৬ রানে। ৭টি চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা মারেন ইংল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। ইংল্যান্ড জয় পায় ১১৯ বল বাকি থাকতেই।

দারুণ শতকে ম্যাচসেরা হন রয়, ৩ ম্যাচে ২৪৮ রান নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন জস বাটলার।