টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাফল্যের প্রথম সূত্র ‘পাওয়ার হিটিং’। যে যত জোরে ব্যাট চালাতে পারবেন, তাঁর সফল হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা জাতিগতভাবেই এ জায়গায় পিছিয়ে। ওপেনার লিটন দাসের তো এমনও মনে হচ্ছে, পাওয়ার হিটিংয়ের সামর্থ্য বাড়াতে না পারলে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি–বিশ্বকাপে ভুগতে হতে পারে বাংলাদেশকে।
কাল গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় এবং শেষ টি–টোয়েন্টিতেও হেরে ২–০ তে সিরিজ হারের পর বাংলাদেশ ওপেনার বলেছেন, ‘অনেকে বলে টি–টোয়েন্টি টেকনিকের খেলা, অনেকে বলে দক্ষতার খেলা। আমার কাছে মনে হয়, অনেক সময় পাওয়ার হিটিংটাও জরুরি। এখানে আমরা অনেক বেশি পিছিয়ে। বিশ্বকাপে মাঠ অনেক বড় থাকবে। এটা আমাদের ভোগাবে।’ সমস্যার সমাধানও দিয়েছেন তিনি, ‘বেশি বেশি অনুশীলন করে এবং ম্যাচ খেলে যদি এতে আমরা উন্নতি করতে পারি, তাহলে আশা করি, বিশ্বকাপে ভালো আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারব।’
বাংলাদেশের ১৬৩ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল পেরিয়ে গেছে ১০ বল হাতে রেখেই। বলতে গেলে অধিনায়ক নিকোলাস পুরান আর ওপেনার কাইল মায়ার্স মিলিয়েই জিতিয়ে দিয়েছেন দলকে। লিটন তাদের কৃতিত্ব দিতে গিয়ে আরেকবার বললেন টি–টোয়েন্টিতে তাঁদের বড় দুর্বলতা জোরে মারতে পারার সামর্থ্যের অভাবের কথা, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কৃতিত্ব দিতে হবে, যেভাবে তারা ব্যাটিং করেছে...। ভালো ভালো বলেও ওরা মেরে দিয়েছে। ওদের বাড়তি সুবিধা ওরা পাওয়ার ক্রিকেট খেলে, যেটা আমরা খেলতে পারি না। আমার মনে হয়, বোলারদের মাথায় এটাও অনেক সময় কাজ করে যে তারা তো একটু উনিশ–বিশ হলেই মেরে দেবে।’
জোরে মারার সামর্থ্য কম বলে যে বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা ছক্কা মেরে দেন, সে বলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা বড় জোর চার মারারই স্বপ্ন দেখতে পারেন। লিটনের মতে, টি–টোয়েন্টির ভালো দলগুলোর সঙ্গে এখানেই বাংলাদেশের মূল পার্থক্য, ‘ওরা জাতিগতভাবে অনেক শক্তিশালী, যেটা আমি না বা আমাদের দলের কেউই না। তারা চাইলেই যেকোনো সময় বড় ছয় মেরে দিতে পারে, যেটার সামর্থ্য আমাদের দলের অনেকেরই নেই। আমরা বেশির ভাগ সময় চার মারারই চিন্তা করি। আর ওরা ছয় বেশি মারে। এই পার্থক্য সব সময় থাকে। টি–টোয়েন্টিতে ভালো দলগুলোর চেয়ে আমরা অনেকখানি পেছানো। আমাদের অনেক জায়গায় কাজ করার আছে।’