পর্দা উঠল ব্রাজিল বিশ্বকাপের

সাও পাওলোর করিন্থিয়ানস অ্যারেনায় জমাকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হলো ফুটবল মহাযজ্ঞের। ছবি: এএফপি।
সাও পাওলোর করিন্থিয়ানস অ্যারেনায় জমাকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হলো ফুটবল মহাযজ্ঞের। ছবি: এএফপি।

১১ জুলাই ২০১০ থেকে ১২ জুলাই ২০১৪—চার-চারটি বছরের অপেক্ষা শেষে আবারও পর্দা উঠল ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে’র। আবারও বিশ্ব মেতে উঠল ফুটবল রোমাঞ্চে। আর এই রোমাঞ্চের কেন্দ্রবিন্দু এখন সাও পাওলোর করিন্থিয়ানস অ্যারেনা। জমাকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হলো ফুটবল মহাযজ্ঞের।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্রাজিলের চিরায়ত ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য তুলে ধরা হয়েছে। ছবি: এএফপি
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্রাজিলের চিরায়ত ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য তুলে ধরা হয়েছে। ছবি: এএফপি

ব্রাজিল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও ম্যাচ মাঠে বসেই দেখছেন প্রায় ৬৮ হাজার দর্শক। আর টেলিভিশন দেখছেন কত দর্শক—তা এ মুহূর্তে বলা কঠিন। তবে ফিফার গবেষণা বলছে, টিভি দর্শকের পরিসংখ্যান পেছনের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে এবার। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি প্রতি মিনিটে টেলিভিশন দেখেছিলেন প্রায় ৯০ কোটি দর্শক।
আজ অবশ্য করিন্থিয়ানস অ্যারেনার রং হয়ে গেছে ব্রাজিলের চিরায়ত হলুদ। ফুটবলের তীর্থভূমিতে ৬৪ বছর পরে ফিরছে বিশ্বকাপ। তাকে স্বাগত জানাতে হলুদের ঢেউ উঠেছে অ্যারেনা করিন্থিয়ানসে।

নেচে-গেয়ে ব্রাজিল স্বাগত জানাল গোটা বিশ্বকে। ছবি: এএফপি
নেচে-গেয়ে ব্রাজিল স্বাগত জানাল গোটা বিশ্বকে। ছবি: এএফপি

ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশের সময়ে রাত দুটোয়। তার আগে হলো জমকালো, বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্রাজিলের চিরায়ত ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যকেই তুলে ধরা হলো। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, বলে কিক নিলেন ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিওরোসায়েন্টিস্ট মিগুয়েল নিকোলেলিস ও তাঁর গবেষক দলের তৈরি অত্যাধুনিক রোবোটিক এক্সোস্কেলেটন বা ইস্পাত পোশাকে আবৃত এব পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষ। ২৫ মিনিটের সংক্ষিপ্ত, জমকালো অনুষ্ঠানটি শেষ হলো পিটবুল-লেপেজ-লেইতের ‘ওলা ওলা’ গানের মাধ্যমে।