এবার ওয়ানডের পালা
টেস্টে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হেরেছে বাংলাদেশ। এবার তাদের সবচেয়ে ‘পছন্দের’ ওয়ানডে। গায়ানার প্রভিডেন্সে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি আজ। এ ম্যাচে প্রথম আলোর সরাসরি আপডেটে আপনাকে স্বাগত!
বিলম্বিত টস
টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাগড়া বাঁধিয়েছে বৃষ্টি। আবহাওয়া পক্ষে নেই ওয়ানডে সিরিজেও। প্রভিডেন্সে নির্ধারিত সময়ে হচ্ছে না টস।
পলের জায়গায় শেফার্ড
ম্যাচ শুরুর আগেই একটি ধাক্কা খেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ছিটকে গেছেন কিমো পল। তাঁর জায়গায় নেওয়া হয়েছে রোমারিও শেফার্ডকে।
ওয়ানডেতে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৮ বার হারিয়েছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে বেশি জিতেছে শুধু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে (৫০)। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচবার সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
দেখে নিন বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে দ্বৈরথের দলীয় রেকর্ডগুলো—
স্যামুয়েল বদ্রির মুখোমুখি রাসেল ডমিঙ্গো
‘কঠিন সফর। তবে ওয়ানডেতে আমরা স্বছন্দ, খেলতে পছন্দ করি। ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ আছে, আমরা জানি তারা (সাকিব ও মুশফিক) সেখানে থাকবে। তবে অন্যরা এগিয়ে আসতে পারে। আমাদের বড় স্কোর গড়তে হবে। পেস ও স্পিনে ভালো আমরা। তবে বড় স্কোর গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলতে হবে।’
বিলম্বিত প্রথম ওয়ানডে
নির্ধারিত সময়ে হয়নি টস। নির্ধারিত সময়ে শুরু হচ্ছে না ম্যাচও।
আপাতত অবশ্য নির্ধারিত হয়েছে টসের সময়, স্থানীয় সময় ৯.৪৫-এ হওয়ার কথা সেটি, জানিয়েছেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি তারেক মাহমুদ। তবে এর আগে আরেকবার হবে পর্যবেক্ষণ। এখন বৃষ্টি না হলেও আকাশ মেঘলা।
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরও কিছু পরিসংখ্যান
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি রান বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। উইকেটশিকারিদের তালিকাতেও শীর্ষে আছেন বাংলাদেশের একজন। তবে সর্বোচ্চ ইনিংস ও সেরা বোলিং ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের। দুই দলের টেস্ট ইতিহাসে ব্যক্তিগত রেকর্ডগুলো—
আরও পেছাল ম্যাচ
স্থানীয় সময় সকাল ৯-৪৫ মিনিটে হওয়ার কথা ছিল টস। সেটি হয়নি। এখন বাংলাদেশ সময় ৮-৩০ মিনিটে হবে পরবর্তী পর্যবেক্ষণ।
গায়ানায় বৃষ্টি হলেও গলে ঠিকই হয়েছে খেলা
আগের দিন সুযোগ হাতছাড়া করেছেন দিমুথ করুনারত্নে। আজ সে দলে যোগ দিয়েছেন কুশল মেন্ডিস। টেস্ট সেঞ্চুরির সুযোগ পেয়েও সেটি কাজে লাগাতে পারেননি শ্রীলঙ্কার এই দুই ব্যাটসম্যান। দিনেশ চান্ডিমাল অবশ্য সে ভুলটা করেননি। সুযোগ পেয়ে সেটি কাজে লাগিয়েছেন, পেয়ে গেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি।
ওদিকে উইম্বলডনে
উইম্বলডনে ছেলেদের ফাইনালে মুখোমুখি নোভাক জোকোভিচ ও নিক কিরিওস। প্রথম সেট ৪-৬ গেমে হারলেও দ্বিতীয় সেটে ফিরে এসেছেন জোকোভিচ—জিতেছেন ৬-৩ গেমে।
এবং ফর্মুলা ওয়ানে
'হোম টিম' রেড বুলের ম্যাক্স ভারস্টাপেনকে টপকে অস্ট্রিয়ান গ্রাঁ প্রিঁ জিতলেন ফেরারির শার্ল লেক্লেয়ার। অস্ট্রেলিয়ার পর এই প্রথম এ মৌসুমে জিতলেন লেক্লেয়ার। ক্যারিয়ারে এই প্রথম পোল পজিশনের বাইরে থেকে রেস জিতলেন তিনি, অস্ট্রিয়ায় দুইয়ে থেকে শুরু করেছিলেন।
সিলভারস্টোনে ক্যারিয়ারে প্রথম জয় পাওয়া লেক্লেয়ারের ফেরারি সতীর্থ কার্লোস সাইঞ্জ ছিটকে গেছেন ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়াতে।
অস্ট্রিয়ায় তৃতীয় হয়ে টানা তৃতীয় পোডিয়াম পেলেন মার্সিডিজের লুইস হ্যামিল্টন।
খেলা হচ্ছে নটিংহামেও
ট্রেন্ট ব্রিজে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও ভারত।
আগে ব্যাটিং করা ইংল্যান্ড ১৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৪২ রান। মাত্র ৩৫ বলে ৭০ রানে অপরাজিত ডেভিড ম্যালান। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ জিতেছে ভারত।
গায়ানায় বাড়ল অপেক্ষা
এখনো খেলার উপযুক্ত হয়নি মাঠ। পরবর্তী পর্ববেক্ষণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে স্থানীয় সময় ১১-১০ মিনিটে। বাংলাদেশ সময়ে সেটি রাত ৯-১০ মিনিট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে আরেকজন সাকিব...
‘আরে, আপনারা তো আসল খবরটাই জানেন না...।’
সাকিব কথাটা বলে যেন চমকে দিতে চাইলেন। কৌতুহল নিয়ে জানতে চাইলাম, ‘কী খবর?’ তাৎক্ষণিক উত্তর এলো, ‘ডমিনিকায় তো একটা সাকিব আল হাসান আছে...।’
পড়ুন তারেক মাহমুদের লেখা
ঈদ মোবারক!
বাংলাদেশে আজ উদ্যাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। গায়ানায় সেটি হয়ে গেছে গতকালই।
“ক্রিকেটারদের বিদেশে ঈদ করা নতুন কিছু নয়। সর্বশেষ দুইবার ২০১৯ বিশ্বকাপের সময় ইংল্যান্ডে ঈদুল ফিতর এবং গত বছর জিম্বাবুয়েতে সিরিজ চলাকালীন উদ্যাপন করতে হয়েছে ঈদুল আজহা।
এবারও ঈদুল আজহা পড়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের মধ্যে। ক্রিকেটাররা ঈদ করছেন পরিবার–পরিজন ছাড়াই।”
অবশেষে সুসংবাদ!
আম্পায়ারদের পর্যবেক্ষণের পর মিলেছে সুখবর। স্থানীয় সময় বেলা ১১-২০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৯-২০ মিনিট) হবে টস। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১১-৪৫ মিনিটে।
টস
টসে জিতেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। গত দুই দিন উইকেট কাভারে ঢাকা ছিল, তামিমের সিদ্ধান্তের পেছনে আছে সে কারণ।
পরিবর্তিত প্লেয়িং কন্ডিশন
ম্যাচ হবে ৪১ ওভার।
প্রতি ইনিংসে এক জন বোলার করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৯ ওভার, ৪ জন করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৮ ওভার করে।
প্রথম পাওয়ারপ্লে হবে ১-৮ ওভার, দ্বিতীয়টি ৯-৩৩ এবং শেষ পাওয়ারপ্লে ৩৪-৪১ ওভার।
নাসুমের অভিষেক
ছেলেদের ১৩৮তম ক্রিকেটার হিসেবে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে অভিষেক হচ্ছে নাসুম আহমেদের। ওয়ানডে অভিষেকের আগে ২২টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এ বাঁহাতি স্পিনার। নাসুমের আগে বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল ইয়াসির আলীর।
বাংলাদেশ একাদশ
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ
নাসুমের মতো ওয়ানডে অভিষেক হচ্ছে আরেক বাঁহাতি স্পিনার গুড়াকেশ মোতির।
একাদশ
শাই হোপ, কাইল মায়ার্স, শামার ব্রুকস, ব্রেন্ডন কিং, নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), রোভম্যান পাওয়েল, আকিল হোসেন, রোমারিও শেফার্ড, গুড়াকেশ মোতি, অ্যান্ডারসন ফিলিপ, জেইডেন সিলস।
নিজের প্রথম বলেই সফল মোস্তাফিজ
ফুললেংথ থেকে ভেতরের দিকে ঢোকা বল, ইনসাইড-এজড, এরপর প্যাডে লেগে বোল্ড শাই হোপ!
ম্যাচে নিজের প্রথম বলেই আঘাত করলেন মোস্তাফিজুর রহমান। হোপ পেয়েছেন ‘গোল্ডেন ডাক’।
এর আগে অভিষিক্ত নাসুম আহমেদকে দিয়ে বোলিং শুরু করিয়েছেন তামিম ইকবাল, তাঁর ওভারে ওয়াইড থেকে আসে একটি রান।
রিভিউ নিয়ে বিতর্ক, বেঁচে গেলেন ব্রুকস
শামার ব্রুকসের একমাত্র আশা ছিল সম্ভাব্য ইনসাইড-এজ। টিভি আম্পায়ার নাইজেল ডুগিড নিশ্চিত করলেন সেটিই।
অবশ্য নাসুমের বলটি ব্রুকসের ব্যাটে লাগার আগে থেকেই আল্ট্রা-এজে স্পাইক ছিল, তবে বল ঠিক ব্যাটের পাশে থাকার সময়ও ছিল সে স্পাইক। তাতেই ডুগিড বদলে ফেলেছেন অন-ফিল্ডে গ্রেগরি ব্রাফেটের দেওয়া আউটের সিদ্ধান্ত। স্বাভাবিকভাবেই সেটি মানতে পারেননি তামিম ইকবাল। দুই অন-ফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গেই বেশ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে দেখা গেছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে।
তবে নাসুম শেষ পর্যন্ত প্রথম উইকেটটি পাননি। লাইন ধরে রাখা বলটা ঠিকঠাক ডিফেন্ড করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ব্রুকস। আউটের সিদ্ধান্ত অবশ্য রিভিউ করেছিলেন সঙ্গে সঙ্গেই।
দুই প্রান্তেই স্পিন
১ ওভার পরই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ‘সফল’ মোস্তাফিজকে। তাঁর জায়গায় এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ২ ওভারে তিনটি বাউন্ডারি দিয়েছেন তিনি।
৬ ওভার শেষে উইন্ডিজের স্কোর ২৫/১।
ব্রুকস কি আউট ছিলেন?
নাসুমের কাছ থেকে রান নিতে পারছে না উইন্ডিজ
উইকেটটা শেষ পর্যন্ত পাননি নাসুম। তবে প্রথম ৫ ওভারে অভিষিক্ত এ স্পিনার দিয়েছেন মাত্র ৩ রান! ৩০টি বলের মধ্যে ২৯টিই ডট করেছেন তিনি।
এর আগে প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৮ ওভারে ২৬ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নবম ওভারটিও মেডেন করেছেন নাসুম।
মায়ার্সকে আবারও ফেরালেন মিরাজ
কাইল মায়ার্সের বিপক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজ। বাকিটা অনুমান করে নিতে পারেন আপনিও।
মিরাজের বলে ইনসাইড দ্য লাইন খেলার চেষ্টায় ব্যর্থ মায়ার্স, হলেন বোল্ড। প্রথম ২ ওভারে ঠিক সুবিধা করতে না পারা মিরাজ সফল এবার। এ নিয়ে ৩৩ ম্যাচের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৫ বার মিরাজের শিকার হলেন মায়ার্স।
এ ঘটনায় নাসুম তৃতীয়
অভিষেকেই ইনিংসের প্রথম ওভার করা—এমন ঘটনার অভাব নেই ছেলেদের ওয়ানডেতে। তবে স্পিনার হিসেবে এমন ঘটনা দুর্লভই। নাসুম এ ক্ষেত্রে হলেন তৃতীয় স্পিনার।
এর আগে অভিষেকেই ইনিংস ওপেন করেছিলেন পাকিস্তানের রাজা হাসান (২০১৪, বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, দুবাই) ও নামিবিয়ার ঝিভাগো গ্রনওয়াল্ড (২০১৯, বিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র, লডারহিল)।
চাপে উইন্ডিজ
৫.৫ ওভার, মিরাজকে চার মেরেছিলেন শামার ব্রুকস। এরপর ১৬তম ওভার পর্যন্ত বাউন্ডারি আসেনি আর। প্রথম ৬ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়েছেন নাসুম আহমেদ।
১৬ ওভার শেষে উইন্ডিজের স্কোর ৪২/২
এ রিভিউ নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই
ওভার দ্য উইকেট থেকে করা মোস্তাফিজুর রহমানের বলটা বেরিয়ে যাচ্ছিল। শামার ব্রুকস ব্যাট চালিয়েছিলেন, তবে লাগাতে পারেননি। বাংলাদেশের জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। তামিম রিভিউ নিয়েছিলেন, তবে বল ও ব্যাটের মধ্যে বিশাল গ্যাপ ছিল।
উইকেট না পেলেও বাংলাদেশ বোলাররা চাপ ধরে রেখেছেন। ২০ ওভার শেষে উইন্ডিজের স্কোর মাত্র ৫৫ রান, ২ উইকেট হারিয়ে।
২ বলে ২ উইকেট শরীফুলের
রান আসছিল না, অবশেষে ব্যাট চালালেন ব্রেন্ডন কিং। সেটির খেসারতও দিতে হলো তাঁকে। শরীফুলের বলে সোজা ব্যাটে তুলে মারতে গিয়েছিলেন, তবে ধীরগতির উইকেটে টাইমিং হয়নি ঠিকঠাক। মিড অফে ভুল করেননি বদলি ফিল্ডার এনামুল হক। ভেঙেছে কিং ও ব্রুকসের জুটি, ৫৬ বলে যেটিতে উঠেছে ২৩ রান। ৫৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ওই রানে দাঁড়িয়ে, ঠিক পরের বলেই ফিরেছেন ব্রুকসও। ব্যাট চালিয়েছেন, তবে কানায় লেগে গেছে উইকেটকিপার নুরুলের হাতে। এবার রিভিউ করেননি তিনি আর।
হ্যাটট্রিক বলেও এলবিডব্লুর আবেদন হয়েছিল, তবে তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার। বাংলাদেশও রিভিউ করেনি, লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়েছে মনে করে।
অবশেষে বাউন্ডারির দেখা
অ-ব-শে-ষে!
অবশেষে একটি বাউন্ডারি পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ষষ্ঠ ওভারে মিরাজকে চার মেরেছিলেন ব্রুকস, ২৪তম ওভারে তাঁকেই রিভার্স সুইপ করে আরেকটি চার মারলেন নিকোলাস পুরান। মাঝে আসেনি কোনো বাউন্ডারি। ২৪তম ওভার শেষে উইন্ডিজ তুলেছে ৬৭ রান, এখনো রানরেট ৩-এর বেশ নিচেই।
উইম্বলডনের শিরোপা জোকোভিচের
অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার শেষ হলো জোকোভিচের। উইম্বলডনে এলো বহু প্রার্থিত সেই ২১তম শিরোপা। সেমিফাইনালে ক্যামেরন নরির কাছে প্রথম সেটে হারার পরও জিতেছিলেন চার সেটে। ফাইনালেও একই গল্প।
পাওয়েলকে ফেরালেন মিরাজ
মিরাজের টার্ন করা বলটা বেশ খানিকটা সরে গিয়ে খেলতে গিয়েছিলেন রোভম্যান পাওয়েল, তবে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। আম্পায়ার গ্রেগরি ব্রাফেটের এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ করলেও কাজ হয়নি, উলটো রিভিউটি নষ্ট হয়েছে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ওপর ঝড় বইয়ে দেওয়া পাওয়েল আজ প্রথম ওয়ানডেতে ফিরলেন ১১ বলে ৯ রান করেই। মিরাজ পেলেন দ্বিতীয় উইকেট, ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারাল পঞ্চম উইকেট।
আবার উইকেটবঞ্চিত নাসুম, এক বলে দুই আউট থেকে বাঁচলেন পুরান
ফিরতি স্পেলে ফেরা নাসুমের বলে এলবিডব্লু হয়েছিলেন নিকোলাস পুরান, তবে এবার কাজে লেগেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রিভিউ। বলটা টার্ন করে বেরিয়ে যাচ্ছিল, হক আই দেখিয়েছে সেটি মিস করে যেত স্টাম্প।
রিভিউ নিয়ে শুধু এলবিডব্লু নয়, রান-আউটের হাত থেকেও বেঁচে গেছেন পুরান। এই ডামাডোলের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল রোমারিও শেফার্ডের সঙ্গে, স্ট্রাইক প্রান্তে হয়েছিলেন রান-আউট। তবে তার আগেই আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেওয়াতে কার্যত ডেড হয়ে গেছে বলটি, ফলে বেঁচে গেছেন পুরান!
নাসুম উইকেট পাননি, বাংলাদেশও পায়নি।
শেষ ওভারে আবার সফল মিরাজ
একজন বোলার করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৯ ওভার। মিরাজকে নবম ওভার করালেন তামিম।
শেফার্ড ক্যাচ তুলেছিলেন, তবে অনেকটা ছুটে এসেও নাগাল পাননি আফিফ। মিরাজ অবশ্য নিজের শেষ ওভারে সাফল্য পেয়েছেন ঠিকই।
গুডলেংথের বলটা নিরীহ প্রকৃতিরই ছিল। তবে সেটি পেছনে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন পুরান, মিস করে বোল্ড হয়েছেন।
৯১ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মিরাজ বোলিং শেষ করেছেন ৯ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে।
নাসুমের দারুণ অভিষেক
দুইবার উইকেট পেতে পারতেন। তবে রিভিউ সেটি হতে দেয়নি। নাসুম আহমেদের অভিষেকটা তবুও হয়ে থাকল মনে রাখার মতোই।
পেসের বৈচিত্রের সঙ্গে আঁটসাঁট লাইন-লেংথে নাসুম চেপে ধরেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ৮ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৬ রান, মানে ওভারপ্রতি খরচ করেছেন ২ রান করে। ৪৮ বলের মধ্যে ৪০টিই করেছেন ডট।
বাংলাদেশের হয়ে অভিষেকে কমপক্ষে ৮ ওভার বোলিং করেছেন, এমন স্পিনারদের মধ্যে নাসুমের চেয়ে ভালো ইকোনমি রেট আছে শুধু এক জনের। ২০০৪ সালে হংকংয়ের বিপক্ষে ৯ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার—আব্দুর রাজ্জাক।
মিরাজের দারুণ থ্রোয়ে ফিরলেন আকিল
এর আগে রিভিউয়ের সৌজন্যে রান-আউট থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন পুরান। আকিল হোসেনের বিপক্ষে রান-আউটের আবেদন হয়েছিল, তবে ক্রিজেই ছিলেন তিনি। এবার আর বাঁচলেন না।
ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে সিঙ্গেল চুরি করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু এক স্টাম্প তাক করেই সরাসরি থ্রোয়ে সেটি ভেঙেছেন মিরাজ। বোলিং শেষ করলেও মিরাজের উপস্থিতি মাঠে টের পাওয়া যাচ্ছে ঠিকই।
৯৭ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
শরীফুলের আবার জোড়া উইকেট
জোড়ায় জোড়ায় উইকেট নিচ্ছেন শরীফুল!
রোমারিও শেফার্ড আকাশে তুলে ধরা পড়েছেন আফিফ হোসেনের হাতে মিডউইকেটে। এরপর কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন অভিষিক্ত গুড়াকেশ মোতি।
৭ ওভার বাকি থাকতেই নবম উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ৩৪ ওভার শেষে তাদের রান ১১২।
সুযোগ হাতছাড়া
মোস্তাফিজের পেসে পরাস্ত হয়ে খাড়া আকাশে তুলেছিলেন অ্যান্ডারসন ফিলিপ। নিজের বলে নিজেই মিড অনের দিকে ছুটে গেলেও ক্যাচটা নিতে পারেননি মোস্তাফিজ, হয়তো মিডউইকেট থেকে ছুটে আসা লিটনের হাতে ছেড়ে দিতে পারতেন।
আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া
ক্যারিয়ারে প্রথম বার ৫ উইকেট পেতে পারতেন শরীফুল। তাঁর স্লোয়ারে ক্যাচ তুলেছিলেন জেইডেন সিলস। তবে লং-অফ থেকে ছুটে এসে নাগাল পেলেও ধরে রাখতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ।
সুযোগ হাতছাড়া : তৃতীয় পর্ব
শেষ উইকেট জুটি ভাঙার সুযোগ তৈরি করছেন বোলাররা, তবে নিতে পারছেন না ফিল্ডাররা (একবার বোলারই ছিলেন ফিল্ডার)। সর্বশেষ মোস্তাফিজের বলে ক্যাচ তুলেছিলেন সিলস, মাহমুদউল্লাহর মতো ছুটে এসে নাগালে পেলেও রাখতে পারেননি আফিফ।
সুযোগ হাতছাড়া : পর্ব চার
এবার ক্যাচ নয়, এসেছিল রান-আউটের সুযোগ। ছুটে এসে ফিল্ডিং করার পর ডাইভ দিয়ে স্টাম্প ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন মিরাজ, তবে এবার পারেননি। ৪০তম ওভারে এসেছিলেন তাসকিন আহমেদ, সে ওভারে এসেছে ৩ রান। ১ ওভার বাকি থাকতে দশম উইকেট জুটি অবিচ্ছিন্ন ২৭ রানে।
শেষের প্রতিরোধে ১৪৯ পর্যন্ত গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
প্রথম ছয়টি পেতে শেষ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। শরীফুলকে কাউ কর্নার দিয়ে সেটি মেরেছেন দশম ব্যাটসম্যান অ্যান্ডারসন ফিলিপ, লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে তাঁর এটি দ্বিতীয় ছয়। পরের বলে ছয় হতে পারত আরেকটি, তবে মিডউইকেটে দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে সেটি হতে দেননি ‘উড়ন্ত’ লিটন দাস।
বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও শেষ হুইকেট জুটি অবশ্য ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। ফিলিপ ও সিলস মিলে অবিচ্ছিন্ন ছিলেন ৩৯ রানে, ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেটি সর্বোচ্চ জুটি। সেটিই বলে দেয়, এর আগে কেমন দুর্দান্ত ছিলেন বাংলাদেশ বোলাররা। ৪১ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলেছে ১৪৯ রান।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই এসেছিলেন অভিষিক্ত নাসুম আহমেদ। সেটিতে একটি ওয়াইড ছাড়া রান নেই। দ্বিতীয় ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানে ব্রেকথ্রু। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এরপর আর পথ খুঁজে পেতে দেয়নি বাংলাদেশ, অন্তত দশম উইকেট জুটির আগে। মাঝের ওভারগুলোতে মেহেদী হাসান মিরাজ, শরীফুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সঙ্গে নাসুম-মোস্তাফিজুর রহমানের জবাব ছিল না স্বাগতিকদের কাছে।
ধীরগতির, নিচু বাউন্সের উইকেটে টসে জিতে যেমন বোলিং চেয়েছিলেন তামিম ইকবাল, বোলাররা করেছেন সেটিই। অভিষেকে দারুণ আঁটসাঁট বোলিংয়ে ৮ ওভারে মাত্র ১৬ রান দেন নাসুম, বাংলাদেশের স্পিনারদের মধ্যে যেটি দ্বিতীয় সেরা ইকোনমি রেটের দিক দিয়ে। ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়ার সঙ্গে সরাসরি থ্রোয়ে একটি রান-আউটও করেন মিরাজ। শরীফুল ৫ উইকেট না পেলেও ৪ উইকেট নেন ৩৪ রানে, এটিই ক্যারিয়ারসেরা বোলিং তাঁর। মোস্তাফিজ ১ উইকেট নেন ৩৪ রানে, ২৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন তাসকিন।
সূর্যকুমার পারেননি, তবে ডাবলিনে কিউইদের অবিশ্বাস্য জয় এনে দিয়েছেন ব্রেসওয়েল
সূর্যকুমার যাদব ভারতকে জেতাতে পারেননি, তবে ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ৩০১ রান তাড়ায় ব্রেসওয়েল যখন ক্রিজে আসেন, নিউজিল্যান্ডের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১২০ রান। এরপর তারা পরিণত হয় ৮ উইকেটে ২১৭ রানে। সেখান থেকে ব্রেসওয়েলের ৮২ বলে ১২৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১ উইকেটের জয় পায় কিউইরা। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২০ রান, ক্রেইগ ইয়াংয়ের ৫ বলেই সেটি নিয়ে নেন ব্রেসওয়েল।
স্পিনে শুরু
বাংলাদেশের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজও ইনিংস শুরু করেছে স্পিন দিয়ে। আকিল হোসেনের ওই ওভারে এসেছে ১ রান। পরের ওভারে সিলসের বাইরের বল তাড়া করে চার পেয়েছেন তামিম। ২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৮ রান।সূর্যকুমার
এলবিডব্লু লিটন
আউটটা দিতে যে সময় নিলেন জোয়েল উইলসন, এর মধ্যে হয়তো আকিল হোসেন আরও কয়েকটি বল করে ফেলতে পারতেন! ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে মিস করে এলবিডব্লু হয়েছেন লিটন। রিভিউ নিয়েছিলেন, তবে উইকেটে হয়েছে আম্পায়ার্স কল। রিভিউটা অক্ষত থাকলেও ফিরতে হলো লিটনকে, রান তাড়ায় তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
লিটনকে অবশ্য সন্তুষ্ট মনে হচ্ছিল না মোটেও, পরে তামিমকেও কথা বলতে দেখা গেছে উইলসনের সঙ্গে। ম্যাচে অবশ্য এমন প্রথম নয়!
ইনিংস রিপোর্ট
আক্রমণাত্মক তামিম
সপ্তম ওভারে অ্যান্ডারসন ফিলিপকে ইনিংসের প্রথম ও ম্যাচের দ্বিতীয় ছয়টি মারলেন তামিম। এ ওভারে পরে মেরেছেন একটি চারও। লিটন ফিরে গেলেও নাজমুলকে নিয়ে তামিম আক্রমণাত্মক ব্যাটিং-ই করছেন। লিটনের আউটের পর ৪ ওভারে এসেছে ছয়টি বাউন্ডারি—৫টি চার, ১টি ছয়।
৭ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৪৭ রান।
রানআউট তামিম
শেষ মুহুর্তে হাল ছেড়েই দিলেন তামিম। কিছু অবশ্য করার ছিলও না। দারুণ খেলতে থাকা তামিমকে ফিরতে হলো রানআউট হয়ে। নাজমুল গালিতে খেলেছিলেন, এরপর সিঙ্গেল চুরি করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। দেখে মনে হয়েছে, নাজমুলের ডাকে সাড়া দিয়েছেন তামিম। যদিও নন স্ট্রাইকে থাকা তামিমের কলই হওয়ার কথা ছিল এ ক্ষেত্রে। অ্যান্ডারসন ফিলিপের সরাসরি থ্রোয়ে শেষ হলো তামিমের ২৫ বলে ৩৩ রানের ইনিংস। ভাঙল নাজমুলের সঙ্গে তাঁর ৩০ বলে ৪০ রানের জুটি।
নাসুমের অভিজ্ঞতাই হলো মোতির, বাঁচলেন নাজমুল
অভিষিক্ত গুড়াকেশ মোতির বলটা সুইপ করতে গিয়ে মিস করে গিয়েছিলেন নাজমুল। আম্পায়ার গ্রেগরি ব্রাফেটের দেওয়া এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত রিভিউ করে বেঁচে গেলেন তিনি। ইমপ্যাক্ট ছিল বাইরে। প্রথম ওয়ানডে উইকেটটি তাই পাওয়া হলো না মোতির।
এ ম্যাচে আরেক অভিষিক্ত নাসুম আহমেদেরও হয়েছিল এমন অভিজ্ঞতা। শেষ পর্যন্ত নাসুম থেকেছেন উইকেটশূন্যই। মোতি উইকেটের দেখা পাবেন?
মাহমুদউল্লাহর আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর সুযোগ?
ব্যাট হাতে ঠিক ছন্দে নেই মাহমুদউল্লাহ।
গত বছরের অক্টোবরে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে সর্বশেষ ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। এবার লক্ষ্য খুব একটা বড় নয়, উইকেটও প্রথম ইনিংসের তুলনায় সহজ হয়ে এসেছে ব্যাটিংয়ের জন্য। বল ব্যাটে আসছে ভালো ভাবেই।
প্রথম ১৫ বলে ৫ রান করার পর আকিলকে দারুণ কাভার ড্রাইভে একটি চার মেরেছেন। এ সুযোগে আত্মবিশ্বাসটা বাড়িয়ে নিতে পারবেন মাহমুদউল্লাহ?
বাংলাদেশ ১৩ ওভারে ৭৭/২
বোলিংয়ে নিকোলাস ‘মুরালি’ পুরান
বোলিংয়ে এসেছেন নিকোলাস পুরান। প্রথম ওভারে উইন্ডিজ অধিনায়ক দিয়েছেন ৩ রান।
এমনিতে উইকেটকিপার তিনি, তবে অফ স্পিনও করেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এ নিয়ে তৃতীয়বার বোলিং করতে এলেন পুরান।
গত মাসে মুলতানে পাকিস্তানের বিপক্ষে বোলিং ঝলকই দেখিয়েছিলেন তিনি। হয়ে উঠেছিলেন ‘মুরালিধরন’।
মোতির প্রথম ওয়ানডে উইকেট নাজমুলই
প্রথম ওয়ানডে উইকেট গুড়াকেশ মোতির। এর আগে মোতির বলে এলবিডব্লু হয়েও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়া নাজমুল এবার ক্যাচ তুললেন তাঁরই বলে। ঝুলিয়ে দেওয়া বলে সামনে গিয়ে খেলতে গিয়ে সরাসরি মিড অনে নিকোলাস পুরানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন নাজমুল, ৪৬ বলে ৩৭ রান করে। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠেছে ৪৯ রান। ৯৮ রানে বাংলাদেশ হারিয়েছে তৃতীয় উইকেট।
সে ওভারেই ১০০ পূর্ণ হয়েছে বাংলাদেশের। ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে রান ১০১।
তামিমের ছক্কার ‘সেঞ্চুরি’
ইনিংসে এখন পর্যন্ত হয়েছে একটিই ছয়, যেটি মেরেছেন তামিম ইকবাল। সেটিতেই ‘অনন্য’ এক কীর্তি হয়ে গেছে তাঁর। বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ওয়ানডেতে ছক্কার সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যক্তি হয়ে গেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ছক্কা
তামিম ইকবাল (১০০)
মুশফিকুর রহিম (৮৫)
মাহমুদউল্লাহ (৭১)
মাশরাফি বিন মুর্তজা (৬২)
আফতাব আহমেদ (৪৯)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ছক্কা
তামিম ইকবাল (১৮৪)
মাহমুদউল্লাহ (১৫৮)
মুশফিকুর রহিম (১৫৩)
সাকিব আল হাসান (১০৯)
মাশরাফি বিন মুর্তজা (১০৭)
মাহমুদউল্লাহকে ফেরালেন পুরান... না, নো বল!
নিকোলাস পুরানের উদ্যাপন ছিল দেখার মতোই। মাহমুদউল্লাহকে বেশ ভালোভাবেই ধোঁকা দিয়েছিলেন। অনেকটা পা বাড়িয়ে খেলার চেষ্টা করা মাহমুদউল্লাহর রক্ষণ ফাঁকি দিয়ে ঢুকেছিল পুরানের বলটা। মাহমুদউল্লাহ হয়েছিলেন বোল্ড, পুরান করছিলেন উদ্যাপন।
তবে একটু পরই টিভি আম্পায়ার কল করলেন নো বল, পুরানের পা ছিল পপিং ক্রিজের বাইরে। ফ্রি হিটে কোনো রান নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ, উলটো স্লগ সুইপের চেষ্টায় টান পড়েছে তাঁর পায়ে!
ফিজিওর দ্বারস্থও হতে হয়েছে তাঁকে এরপর। যেখানে কলা খেতে দেখা গেছে তাঁকে।
মাহমুদউল্লাহ নয়, আফিফকে ফেরালেন পুরান
ছুটলেন। উড়লেন। হাত ওপরে ছুড়লেন।
এবার ক্রিজের ভেতরেই ছিল নিকোলাস পুরানের পা। মাহমুদউল্লাহর উইকেট না পেলেও আফিফ হোসেনকে ফেরালেন তিনি। উদ্যাপনটাও হলো দেখার মতোই।
পেছনের পায়ে ভর করে টেনে খেলেছিলেন আফিফ। তবে মিড-অন থেকে পেছনে দিকে ছোটা অ্যান্ডারসন ফিলিপকে পার হয়ে যেতে পারেননি। জয় থেকে ৩৯ রান দূরে চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। বল অবশ্য সমীকরণে নেই আপাতত—বাকি আরও ১৮ ওভার।
বাঁচলেন মাহমুদউল্লাহ
পরপর ২ ওভারে, পরপর ২ বলে নিকোলাস পুরানের ২ উইকেট… হয়ে যেতে পারত এমন। তবে সেটি করতে গেলে রিভিউ নিতে হতো তাঁকে। নেননি। মাহমুদউল্লাহও অক্ষতই আছেন। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা বলটা টার্ন করেছিল, সেটিই মিস করে যান মাহমুদউল্লাহ। পুরানদের জোরাল আবেদনে অবশ্য সাড়া দেননি আম্পায়ার জোয়েল উইলসন। রিভিউয়ের সুযোগ থাকলেও করেননি পুরান। পরে বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, আউট হতেন মাহমুদউল্লাহ।
নুরুলের ছক্কা
পুরান আরেকটি নো করেছেন। এবার ফ্রি হিটে ছক্কা মেরেছেন নুরুল হাসান। মিডউইকেট দিয়ে এসেছে ইনিংসের দ্বিতীয় ও ম্যাচের তৃতীয় ছক্কা। বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৮ রান।
৬ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ
বলতে গেলে শুধু ভিত গড়ে দেওয়া নয়, দালানও তুলে দিয়েছিলেন বোলাররাই। ব্যাটসম্যানদের জন্য বাকি ছিল শুধু ‘ফিনিশিং টাচ’ দেওয়া। ইনিংসের বিরতিতে পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড বলেছিলেন, ওপরের দিকে একটা বড় জুটি হলেই হয়ে যাবে। ঠিক বড় জুটি হয়নি, তবে কয়েকটি মাঝারি জুটিতেই কাজ সেরে ফেলেছে বাংলাদেশ।
শুরুতেই লিটন দাসকে হারালেও তামিম ইকবালের দ্রুতগতিতে তোলা ২৫ বলে ৩৩, নাজমুল হোসেনের ৪৬ বলে ৩৭ ও মাহমুদউল্লাহর ৬৯ বলে ৪১ রানের ইনিংসে গায়ানায় প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জিতল ৬ উইকেটে। ৫৩ বল বাকি থাকতে আসা জয়ে নুরুল হাসান অপরাজিত ছিলেন ২৭ বলে ২০ রানে।
টেস্টের পর টি-টোয়েন্টিতেও সিরিজ হেরে বসা বাংলাদশের জন্য ওয়ানডে ছিল একটু স্বস্তির বাতাসের মতো। তবে ছিলেন না সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম, যে দুজনকে ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০৪ সালের পর প্রথমবার ওয়ানডে খেলল বাংলাদেশ। তাঁদের অনুপস্থিতি অবশ্য টের পাওয়া যায়নি।
ভেজা মাঠের কারণে ৪১ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ টসটা জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ বোলাররাও কন্ডিশন কাজে লাগিয়েছেন দারুণভাবে। শেষ উইকেট জুটির আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেভাবে লড়াই-ই করতে পারেনি। কাজটা সহজ হয়ে এসেছিল তাতেই। দ্বিতীয় ইনিংসে কন্ডিশনও তুলনামূলক সহজ ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য।
আকিল হোসেন, গুড়াকেশ মোতি, নিকোলাস পুরানের সমন্বয়ে গড়া উইন্ডিজ স্পিন আক্রমণের জন্য ১৪৯ রানের সম্বল যথেষ্ট হয়নি। ইনিংসে মাত্র ৭.৫ ওভার করেছেন পেসাররা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা নবম ওয়ানডে জয়ে ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
ম্যাচ রিপোর্ট
জর্জটাউন, গায়ানা থেকে তারেক মাহমুদ
ওয়ানডেতে কি তাহলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য অজেয় এক দলই হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ? দেশে–বিদেশে মিলিয়ে এ নিয়ে ক্যারিবীয়দের টানা ৯ ম্যাচে হারানোর পর কথাটা বলতে বাধা কোথায়!