নিজেকে গালি দিয়েই জরিমানা গুনলেন ট্রাভিস হেড
একাদশে জায়গাটাই নিশ্চিত ছিল না ট্রাভিস হেডের। উসমান খাজার বদলে অবশ্য শেষ পর্যন্ত তাঁকেই বেছেছিলেন নির্বাচকেরা। সে আস্থার প্রতিদানও এ বাঁহাতি দিয়েছেন দারুণভাবেই। চাপে পড়া অস্টেলিয়াকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন ১৪৮ বলে ১৫২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে, সেটার জন্য পরে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও জিতেছেন তিনি। তবে ব্রিসবেনে শুধু পুরস্কার নয়, শাস্তিও জুটেছে হেডের। সেটিও নিজেকে নিজেই গালি দিয়ে!
দ্বিতীয় দিন অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের ৭৭তম ওভারে ঘটেছে এ ঘটনা। বেন স্টোকসের একটা বলে পরাস্ত হয়ে নিজের উদ্দেশেই ‘অগ্রহণযোগ্য ভাষা’ ব্যবহার করেছিলেন তিনি। ফলে আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.৩ ধারা ভেঙেছেন, যেটি খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফের ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার’ করার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
হেডকে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করেছেন ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন। সঙ্গে দেওয়া হয়েছে একটা ডিমেরিট পয়েন্টও। এই ডিমেরিট পয়েন্ট দুই বছর ধরে থাকবে হেডের খাতায়। এটা লেভেল ওয়ান ধরনের অপরাধ। যেটার সর্বনিম্ন শাস্তি ভর্ৎসনা, সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানার সঙ্গে একটি বা দুটি ডিরেমিট পয়েন্ট।
অন-ফিল্ড আম্পায়ার পল রাইফেল ও রড টাকার, টেলিভিশন আম্পায়ার পল উইলসন ও চতুর্থ আম্পায়ার স্যাম নোগাজস্কি হেডের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। তবে হেড শাস্তি মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির দরকার পড়েনি।
হেডের জন্য এ শাস্তি শেষ পর্যন্ত হয়তো অম্ল–মধুর অভিজ্ঞতাই হবে। এমন ম্যাচে শাস্তি পেলেন হেড! ব্রিসবেন টেস্টে ইংল্যান্ডের বড় ব্যবধানে হারের কাটা ঘায়েও নুনের ছিটা দিয়েছেন বুন। স্লো ওভাররেটের কারণে ম্যাচ ফির শতভাগ জরিমানা করা হয়েছে পুরো ইংল্যান্ড দলকেই। কোড অব কন্ডাক্টের ২.২ ধারা ভঙ্গ করেছে ইংল্যান্ড।
প্রতি ওভারের জন্য এ ক্ষেত্রে ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়, ব্রিসবেনে নির্ধারিত সময়ে পাঁচ ওভার কম করেছিল ইংল্যান্ড। শুধু জরিমানা নয়, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলের পাঁচ পয়েন্টও কাটা গেছে জো রুটের দলের। প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, প্রতি ওভারের জন্য এক পয়েন্ট কাটার নিয়ম।