টি-টোয়েন্টি লিগের জন্য বাতিল হতে পারে ওয়ানডে সিরিজ
ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ বাতিল করতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। সম্প্রতি নতুন একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগ চালুর ঘোষণা দিয়েছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারে ওই টি-টোয়েন্টি লিগের সূচি।
আগামী জানুয়ারির ১২, ১৪ ও ১৭ তারিখে হওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে সিরিজ, যেটি বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী নিক হকলি জানিয়েছিলেন, এ সিরিজের সূচি বদলানোর অনুরোধ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও বিকল্প সূচি এখনো বের করতে পারেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, দুই দল কোনো সিরিজের সূচি নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারলে একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। অবশ্য এখন ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা বিকল্প কোনো সূচি প্রস্তাব করার পর যদি অস্ট্রেলিয়া সেটি না মানে, তাহলে বাতিলই হবে সিরিজটি। সুপার লিগের পয়েন্ট এরপর ভাগাভাগি হবে দুই দলের মধ্যে।
দক্ষিণ আফ্রিকা খেলতে অনাগ্রহী মূলত তাদের নতুন টি-টোয়েন্টি লিগের জন্যই। গত এপ্রিলের শেষ দিকে নতুন এ লিগ চালুর ঘোষণা দেয় তারা। টেলিভিশন সম্প্রচার চ্যানেল সুপারস্পোর্টের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে এ লিগ শুরু হবে, এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে তারা। টাকাপয়সার দিক দিয়ে ছয় দলের এ লিগটি ‘আইপিএল ছাড়া অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগগুলোকে টেক্কা’ দেওয়ার মতো হবে, এমন দাবি করেছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা।
এদিকে নতুন আরেকটি টি-টোয়েন্টি লিগ চালুর ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। যেটির সম্ভাব্য সূচি আবার দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন লিগ, বিগ ব্যাশ, বিপিএলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। দুবাই, আবুধাবি, শারজায় হবে আরব আমিরাতের লিগটি। যেটিতে বিশাল বিনিয়োগ আছে ভারতীয় কোম্পানির। রিলায়েন্স, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, দিল্লি ক্যাপিটালস, কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে আদানি গ্রুপের বিনিয়োগ আছে সেখানে। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট লিগেও আছে ভারতীয় টাকার ঝনঝনানি। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (৫৭.৫ শতাংশ) ও সম্প্রচার চ্যানেল সুপারস্পোর্টের (৩০ শতাংশ) বেশির ভাগ মালিকানা থাকলেও ১২.৫ শতাংশ মালিকানা আছে আইপিএলের সাবেক প্রধান নির্বাহী সুন্দর রমনের। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস ও রাজস্থান রয়্যালস এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার লিগটিতে দল কেনার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে।
এ দুটি লিগের কারণে নতুন করে চাপে পড়তে পারে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশও। দক্ষিণ আফ্রিকা ও আরব আমিরাতের লিগে ভারতীয় অর্থের লগ্নির সঙ্গে তারা কতটা পেরে উঠবে, সেটি দেখার বিষয়। অবশ্য শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটি বাতিল হলে সেটি শাপেবর হতে পারে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার জন্য। সে ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক তারকাদের পাওয়া যাবে।
প্যাট কামিন্স, ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ, মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড—এ মুহূর্তে কারোরই বিগ ব্যাশে চুক্তি নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সিরিজ হলে সপ্তাহখানেকের জন্য জাতীয় দল নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মিচেল মার্শ, মার্কাস স্টয়নিস, জশ ইংলিস ও অ্যারন ফিঞ্চরাও।