চ্যালেঞ্জটা জানেন সাকিব, তা জয় করার উপায়ও কি
গতি আর বাউন্স—সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামের উইকেটের সমার্থকই বলতে পারেন এটিকে। বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় টেস্ট এখানেই। ক্যারিবীয় পেসার কেমার রোচের যেন তাই তর সইছে না বল হাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে। যা প্রকাশ পেয়েছে তাঁর এই কথায়, ‘এটাই ক্যারিবিয়ানের সেরা উইকেট। ফাস্ট বোলারদের জন্য এই উইকেটে অনেক কিছু আছে।’
রোচের কথাটাই সাকিব আল হাসানের টেস্ট–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনেও চলে এল। অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফাস্ট বোলারদের হাতে নাস্তানাবুদ হওয়ায় সেন্ট লুসিয়া টেস্টের আগে বাংলাদেশ দলের ভাবনা কী, সেটা নিয়েই ছিল সব কৌতূহল।
সাকিবকে প্রশ্নটা করাও হলো। বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ‘প্রথম দিন অ্যান্টিগা টেস্টের চেয়ে ভালো উইকেট হবে ব্যাটিংয়ের জন্য। পেস, বাউন্স একটু থাকবে। কিন্তু ওই রকম সাইডওয়েজ মুভমেন্ট থাকবে বলে মনে হয় না। তবে না খেলা পর্যন্ত বলা সম্ভব না, উইকেট আসলে কেমন হবে। আমরা যখন খেলাটা শুরু করব, এর ১৫-২০ মিনিট পর হয়তো আমরা বুঝতে পারব, উইকেটটা কেমন।’
এ ধরনের উইকেটে ব্যাটিং রেসিপি কেমন হওয়া উচিত, সেটাও জানিয়ে দিলেন সাকিব, ‘এমন উইকেটে স্বাভাবিকভাবে রান বেশি হয়। আড়াআড়ি ব্যাটের শটগুলো বেশি কাজে আসে। আমাদের পেস ও বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন নিউজিল্যান্ড কিংবা অন্যান্য দেশে এ ধরনের উইকেটই থাকে। আমাদের খেলোয়াড়েরা যেহেতু এসব ধরনের কন্ডিশনে খেলে অভ্যস্ত, খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
তবে উইকেট যেমনই হোক, সেন্ট লুসিয়া টেস্টের শুরুটা ভালো হওয়া চাই। বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাটিং করুক বা বোলিং—প্রথম দুই ঘণ্টা ভালো খেলাটাকে তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন সাকিব। বেশি দূরের কথা না ভেবে সাকিব তাই ওই দুই ঘণ্টা নিয়েই ভাবছেন, ‘আমরা শুধু ফোকাস করতে পারি কালকের ম্যাচের প্রথম দুই ঘণ্টায়। তখন আমরা ব্যাটিং করি বা বোলিং, আমাদের ভালো করতে হবে। এরপর ম্যাচের অবস্থা অনুযায়ী খেলা যাবে। তবে আমাদের প্রথম দুই ঘণ্টা ভালোভাবে শুরু করার চেষ্টা করতে হবে।’
আরেকটি টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগে বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক অতীতের ব্যর্থতার গল্পটাও সামনে এল। দক্ষিণ আফ্রিকায় স্পিনে ব্যর্থতা, এরপর দেশে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়েও পেস বোলিংয়ে আত্মসমর্পণ—বাংলাদেশ দলের এই দ্বিমুখী সমস্যার সমাধান কী? সাকিবের কাছেও সুনির্দিষ্ট উত্তর না থাকাটাই স্বাভাবিক। এই টেস্টকেও তাই চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন অধিনায়ক, ‘সর্বশেষ তিন টেস্ট যদি দেখেন, তাহলে বলতে পারেন, গতিতে আমাদের সমস্যা। তার আগের তিন টেস্ট দেখলে বলবেন স্পিন। সুতরাং কঠিন কন্ডিশনে আমরা কখনোই টিকতে পারিনি। এখানে একটা সুযোগ, চ্যালেঞ্জও।’