ঘরের মাঠে ম্যাচ বলেই আশাবাদী বায়ার্ন
গত সপ্তাহে ফুটবলপ্রেমীদের মোটামুটি চমকেই দিয়েছিল স্প্যানিশ ক্লাব ভিয়ারিয়াল। জার্মান ফুটবলে সবচেয়ে সফল দল, বুন্দেসলিগায় ৩১ বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল প্রথম লেগ খেলতে নেমেছিল দলটা, নিজেদের মাঠ এস্তাদিও লা সেরামিকায়। ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে তারা।
তবে স্কোরলাইন ম্যাচের সঠিক চিত্র তুলে ধরতে পারছে না। গোল মাত্র একটা হলেও নিজেদের মাঠে বায়ার্নকে বেশ ভালোভাবেই চেপে ধরেছিল ‘হলুদ সাবমেরিন’রা। একের পর এক আক্রমণে বিপর্যস্ত করে তুলছিল বায়ার্নের রক্ষণভাগকে। ডাচ উইঙ্গার আরনাউত দানুমা গোল পেলেও, জেরার্দ মোরেনো, আলফোন্সো পেদরাসা, ফ্রান্সিস কোকুইলানের মতো তারকারা বেশ কিছু গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন। সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে দ্বিতীয় লেগের আগেই ভিয়ারিয়াল মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যেত সেমিতে ওঠার ব্যাপারে।
কিন্তু সেটি হচ্ছে না। হচ্ছে না দেখেই স্বস্তি বেড়েছে বায়ার্ন শিবিরে। দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে এখন ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিতলে পরের রাউন্ডে জায়গা নিশ্চিত বায়ার্নের। আর এ কারণেই বায়ার্নের অধিনায়ক মানুয়েল নয়্যার বিশ্বাস করেন, এই কোয়ার্টার-পর্বের নাটাইটা এখনো তাঁদের হাতেই আছে, ‘আমাদের দলে বেশ কয়েকজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে, যাদের অনেক উচ্চাশা। গত সপ্তাহে আমরা যেমন খেলেছি, তাতে অন্য যে কারও চেয়ে আমাদের মনই বেশি খারাপ ছিল। ইতিবাচক ব্যাপার হচ্ছে, আমরা মাত্র ১-০ গোলে হেরেছি। এখনো সবকিছু আমাদের হাতেই আছে।’
বায়ার্নের কোচ ইউলিয়ান নাগলসমানও আশাবাদী, বরাবরের মতো এবারও চাপের মধ্যে ভালো করবে বায়ার্ন, ‘লা লিগায় ভিয়ারিয়াল চ্যাম্পিয়নস লিগের তুলনায় বেশ ওপরে উঠে রক্ষণ করে। তারা (গত সপ্তাহে) বেশ আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়ে খেলেছে, ফিটনেসও ভালো ছিল তাদের। স্প্যানিশ দল হিসেবে তাদের শারীরিক শক্তিমত্তাও বেশ ভালো। আগামীকাল (আজ) ওদের শক্তিমত্তার সঙ্গে লড়তে হবে আমাদের। যখনই দরকার হয়েছে, তখনই আমরা ভালো করেছি, ইতিবাচক ফলাফল এনেছি। আজও সেটিই করতে চাইব। এমন ম্যাচের আগে চাপ অনুভব হবেই, সেটাই স্বাভাবিক। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, প্রচণ্ড চাপের মাধ্যমেই হীরার সৃষ্টি হয়। আশা করব, আগামীকাল (আজ) আমরা একটা দুর্দান্ত খেলা খেলব।’
ঘরের মাঠে ম্যাচ খেলতে নামবে বায়ার্ন। আর এ ব্যাপারটাই আশাবাদী করে তুলছে বায়ার্নের সাবেক চেয়ারম্যান কার্ল-হেইঞ্জ রুমেনিগেকে, ‘আমার মনে হয় বায়ার্নই পরের রাউন্ডে উঠবে, কারণ তারাই তুলনামূলকভাবে ভালো দল। আর এ ম্যাচটাও ঘরের মাঠের ৭০ হাজার দর্শকের সামনে হবে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা আগেও পড়েছি। আমি ভিয়ারিয়ালের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচটা দেখেছি, যেটি তারা তুরিনে খেলেছিল। তারা যেকোনো খেলার মধ্য থেকে মজার ব্যাপারটা বের করে নিতে পারে, খেলতে পারে রসকষহীন খেলা। প্রথম থেকেই বায়ার্নকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে হবে। সবচেয়ে ভালো কথা হলো অ্যাওয়ে গোলের নিয়ম এখন আর নেই। এমন অবস্থায় আপনি যদি একাধিক গোল করতে পারেন, তাহলে একটা গোল খাওয়াই যায়।’
আজ রাত একটায় সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামবে দুই দল।