কোরিয়া গিয়ে কী পেল বাংলাদেশ?

আজকের ম্যাচের প্রথম একাদশ। ছবিঃ বাফুফে
আজকের ম্যাচের প্রথম একাদশ। ছবিঃ বাফুফে
>

চোডাং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ৩-১ গোলে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই দলটির বিপক্ষে খেলে কতটা লাভ হলো জেমি ডের দলের?

এশীয় ফুটবলের সেরা দলগুলোরই একটি দক্ষিণ কোরিয়া। ২০০২ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা এই কোরিয়া সেই ১৯৮৬ সাল থেকে বিশ্বকাপ খেলেছে টানা নয়বার। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে জার্মানিকে হারিয়ে তাক লাগিয়ে দেওয়া কোরিয়া শক্তিশালী ফুটবল সংস্কৃতির দেশ। এশিয়ান গেমস ও সাফ ফুটবলের প্রস্তুতি নিতে সেই কোরিয়াতে গিয়েই প্রতিপক্ষকে নিয়ে নাকি রীতিমতো ছেলেখেলা করছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। প্রথম ম্যাচে কোরিয়ান লিগের দ্বিতীয় স্তরের দল গুয়াংজু এফসির কাছে হেরে গেলেও পরের দুটি ম্যাচে শিনহান বিশ্ববিদ্যালয় ও চোডাং বিশ্ববিদ্যালেয়ের বিপক্ষে সহজেই জিতেছে জেমি ডে’র দল। আজ চোডাং বিশ্ববিদ্যালয়কে ৩-১ গোলে হারিয়েছে তারা।

দক্ষিণ কোরিয়া জাতীয় দলের সঙ্গে বাংলাদেশ সর্বশেষ খেলেছিল আজ থেকে ২৬ বছর আগে। ১৯৯২ সালে ব্যাংককে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে কোরিয়া ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ‘তারকাসমৃদ্ধ’ বাংলাদেশ দলকে। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারটিও কোরিয়ার সঙ্গেই (১৯৭৯ এশিয়ান কাপ, ৯-০) বয়সভিত্তিক সার্কিটে দু-একবার কোরিয়ার সঙ্গে খেললেও জাতীয় দলের সঙ্গে খেলার সুযোগ হয়নি। সুযোগ হলেও ফল যে কী হতো, সেটি সহজেই অনুমেয়।

কোরিয়ায় বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ খুব কঠিন ছিল না। এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশকে খেলতে হবে উজবেকিস্তান, থাইল্যান্ড ও কাতারের বিপক্ষে। অনূর্ধ্ব-২৩ দল হলেও ম্যাচগুলোতে যে বাংলাদেশ দলকে কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হবে, সেটি তো না বললেও চলছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, কোরিয়ায় গিয়ে দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রস্তুতি কতটুকু ভালো হলো!

মজার ব্যাপার হচ্ছে, কোরিয়ায় যে ম্যাচগুলো বাংলাদেশ খেলেছে, সেগুলো দ্বিতীয় স্তরের ফিফা প্রীতি ম্যাচের স্বীকৃতি পাওয়া। কিন্তু ফিফার স্বীকৃতির চেয়েও অনেক বেশি জরুরি ছিল শক্ত প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলে এশিয়ান গেমস ও সাফ ফুটবলের জন্য প্রস্তুতিটা ভালো করে নেওয়া। কিন্তু কোরিয়ার ম্যাচগুলো বাংলাদেশ জাতীয় দলকে যে সে সুযোগ দিচ্ছে না, সেটি বলাই বাহুল্য!

১১ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সরাসরি ইন্দোনেশিয়ায় এশিয়ান গেমস খেলতে যাবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ১৮ আগস্ট জাকার্তায় শুরু হচ্ছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। এশিয়াড ফুটবলে বাংলাদেশের গ্রুপে আছে শক্তিশালী উজবেকিস্তান, কাতার ও থাইল্যান্ড। ফুটবল শুরু হয়ে যাবে মূল গেমস শুরু হওয়ার আগেই। ১৪ তারিখ প্রথম ম্যাচে উজবেকিস্তান, ১৬ তারিখ থাইল্যান্ড ও ১৯ তারিখ গ্রুপের শেষ ম্যাচে কাতারের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।