২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

কাদির–কপিল–মুরালিধরনরাও পেতে পারতেন ১০ উইকেট

Phil Walter - EMPICS

গতকাল শনিবার এজাজ প্যাটেল টেস্টের এক ইনিংসে ১০ উইকেট তুলে নিয়ে অনন্য এক কীর্তি গড়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় বোলার হিসেবে তিনি এক ইনিংসে প্রতিপক্ষের সব ব্যাটসম্যানকে আউট করেছেন। ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার ব্যাপারটি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খুব বিরল কিছু নয়। টেস্ট (টেস্ট ক্রিকেটও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট) ও ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মোট ৮৪ জনের ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড আছে। তবে কেবল টেস্ট ম্যাচের হিসাব ধরলে এজাজ ছাড়াও এ রেকর্ড আছে শুধু আর দুজনের—জিম লেকার (১৯৫৬) ও অনিল কুম্বলে (১৯৯৯)।

দারুণ এ রেকর্ড হতে পারত আরও অনেকেরই। টেস্টে প্রতিপক্ষের ৯ উইকেট নেওয়া বোলার আছেন কমপক্ষে ১৬ জন। জিম লেকার, অনিল কুম্বলে আর এজাজ প্যাটেলের টেস্ট ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার তালিকায় নাম থাকতে পারত স্যার রিচার্ড হ্যাডলি, কপিল দেব, মুত্তিয়া মুরালিধরনের মতো তারকাদের। মুরালি দুবার ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন। এমনকি এ তালিকায় দুবার নাম উঠতে পারত ইংলিশ কিংবদন্তি স্পিনার জিম লেকারেরও, সেটা হলে এক ম্যাচে ২০ উইকেট নেওয়া একমাত্র বোলারও হয়ে যেতেন তিনি। সাম্প্রতিক অতীতের রঙ্গনা হেরাথ আর কেশব মহারাজও মাত্র এক উইকেটের জন্য বঞ্চিত হয়েছেন কুম্বলে-লেকার-এজাজদের সঙ্গী হওয়া থেকে। দেখে নেওয়া যাক টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিপক্ষের ৯ উইকেট নিলেও এক উইকেটের জন্য যাঁদের ইতিহাস গড়া হয়নি, তাঁদের পরিচয়...

জর্জ লোম্যান (ইংল্যান্ড)

১৮৯৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জোহানেসবার্গে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন ইংলিশ পেসার জর্জ লোম্যান।

জর্জ লোম্যান
ছবি: সংগৃহীত

জিম লেকার (ইংল্যান্ড)

যে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিম লেকার ১০ উইকেট নিয়েছিলেন, ম্যানচেস্টারে সে টেস্টেরই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসেই ৯ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। সে টেস্টে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেটের ১৯টিই নিয়েছিলেন ইংলিশ কিংবদন্তি।

জিম লেকার
ছবি: সংগৃহীত

মুত্তিয়া মুরালিধরন (শ্রীলঙ্কা)

লঙ্কান স্পিন-জাদুকর মুত্তিয়া মুরালিধরন দুবার এমন কিছু করেছেন। মানে ইনিংসে প্রতিপক্ষের ৯ উইকেট নেওয়া। ১৯৯৮ সালে ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম তিনি ৯ উইকেট নিয়েছিলেন। এরপর ২০০২ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যান্ডিতে তিনি ৯ উইকেট নেন।

মুত্তিয়া মুরালিধরন দুইবার নিয়েছেন ইনিংসে ৯ উইকেট
ছবি: সংগৃহীত

স্যার রিচার্ড হ্যাডলি (নিউজিল্যান্ড)

নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি স্যার রিচার্ড হ্যাডলি ৯ উইকেট নিয়েছিলেন ১৯৮৫ সালে। তিনি ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এ কীর্তি গড়েন।

স্যার রিচার্ড হ্যাডলি
ছবি: সংগৃহীত

আবদুল কাদির (পাকিস্তান)

পাকিস্তানের লেগ স্পিন কিংবদন্তি আবদুল কাদির লাহোরে ইংল্যান্ডকে তাঁর বোলিংয়ে নাচিয়েছিলেন ১৯৮৭ সালে। সেই টেস্টে তিনি ৫৬ রানে ৯ উইকেট নেন।

আবদুল কাদির
ছবি: টুইটার

কপিল দেব (ভারত)

১৯৮৩ সালে সে সময়কার মহাপরাক্রমশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮৩ রানে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন কপিল দেব। টেস্টটি হয়েছিল আহমেদাবাদে।

কপিল দেব
ছবি: সংগৃহীত

সরফরাজ নওয়াজ (পাকিস্তান)

১৯৭৯ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার সরফরাজ নওয়াজ। তিনি ৮৬ রানে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন।

সরফরাজ নাওয়া
ফাইল ছবি: এএফপি

জশুভাই প্যাটেল (ভারত)

ভারতীয় স্পিনার জশুভাই প্যাটেল ১৯৫৯ সালে কানপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৯ রানে ৯ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন।

ডেভন ম্যালকম (ইংল্যান্ড)

নব্বইয়ের দশকে ইংল্যান্ডের পেসার ডেভন ম্যালকম এক ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন। তিনি ১৯৯৪ সালে ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন ৫৭ রানে।

সুভাষ গুপ্তে (ভারত)

কানপুরে আরেক ভারতীয় স্পিনার সুভাষ গুপ্তে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০২ রানে ৯ উইকেট পান।

সিডনি বার্নস (ইংল্যান্ড)

সিডনি ১৯১৩ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৩ রানে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন।

রঙ্গনা হেরাথ
ছবি: সংগৃহীত

হিউজ টাইফিল্ড (দক্ষিণ আফ্রিকা)

জোহানেসবার্গে ৯ উইকেট নেওয়ার আরেক কীর্তি গড়েছিলেন প্রোটিয়া পেসার হিউজ টাইফিল্ড। তিনি ১৯৫৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৩ রানে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন।

আর্থার মেইলি (অস্ট্রেলিয়া)

অস্ট্রেলিয়ার এই স্পিনার মেলবোর্নে ১৯২১ সালে নিয়েছিলেন ৯ উইকেট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২১ রানে ৯ উইকেট নেন তিনি।

কেশব মহারাজ
ছবি: এএফপি

রঙ্গনা হেরাথ (শ্রীলঙ্কা)

শ্রীলঙ্কান বাঁহাতি স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ ২০১৪ সালে কলম্বোতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২৭ রানে ৯ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন।

কেশব মহারাজ (দক্ষিণ আফ্রিকা)

টেস্টের এক ইনিংসে ৯ উইকেট নেওয়ার সবচেয়ে সাম্প্রতিক কীর্তি দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজের। ২০১৮ সালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১২৯ রানে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।