ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট খেলার ইচ্ছেপূরণের সম্ভাবনায় খুশি শরীফুল
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দলের ক্রিকেটারদের ২৪ জুন দেশ ছাড়ার কথা। সে দলে ছিলেন বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলামও। তার আগে হাতে কিছুদিন সময় থাকায় তিনি গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। কিন্তু গতকাল রাতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের ফোন পেয়ে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় আসেন শরীফুল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দ্বিতীয় টেস্টের আগেই শরীফুলকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেতে হচ্ছে। আজ সন্ধ্যার ফ্লাইটে সরাসরি দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু সেন্ট লুসিয়া যাবেন তিনি। শুধু তা–ই নয়, সেন্ট লুসিয়া টেস্টে শরীফুলের খেলার সম্ভাবনাও আছে। শরীফুল বলছিলেন, ‘কালকে রাতে জেনেছি যে আমি যাচ্ছি। পাপন (নাজমুল হাসান) স্যার ফোন দিয়েছিলেন। আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। আমি বললাম, জি স্যার যাব।’
হুট করেই টেস্ট খেলার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় প্রস্তুতির সময় পাননি শরীফুল। তবে অ্যান্টিগা টেস্ট দেখে সেখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে একটা ধারণা হয়েছে শরীফুলের। সফরের আগে নিজেকে সেভাবেই মানসিকভাবে প্রস্তুত করছেন তিনি, ‘খুব ইচ্ছে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট খেলার। যাচ্ছি এখন। দেখা যাক, যাওয়ার পরে কী হয়। (চোট কাটিয়ে ফিরে) মনে হচ্ছে ভালো আছি, ভালো অবস্থানে আছি। আমি যা দেখেছি, ওইখানে বল জায়গায় করলেই সুবিধাটা পাওয়া যাচ্ছে। ওদের ক্ষেত্রেও, আমাদের ক্ষেত্রেও। চেষ্টা করব লাইন ও লেংথ ঠিক রেখে বোলিং করার।’
আসলে গল্প তো শুনেছি। এখনো ধরিনি। ধরার পর বুঝতে পারব। তবে অবশ্যই রোমাঞ্চিত।ডিউক বলের সঙ্গে পরিচয়ের অপেক্ষায় শরীফুল ইসলাম
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে খেলা হচ্ছে ডিউক বলে। ২১ বছর বয়সী এই পেসার এর আগে কখনো ডিউক বলে বল করেননি। তবে সুইংবান্ধব এই বলের অনেক গল্প শুনেছেন। সেন্ট লুসিয়া টেস্টের আগে ডিউক বলের সঙ্গে পরিচয় হবে, সেই রোমাঞ্চও কাজ করছে শরীফুলের মধ্যে, ‘আসলে গল্প তো শুনেছি। এখনো ধরিনি। ধরার পর বুঝতে পারব। তবে অবশ্যই রোমাঞ্চিত।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে শরীফুলকে চোটের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে। গোড়ালির চোট ও শারীরিক সমস্যার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় দুটি টেস্ট খেলা হয়নি তাঁর। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে দলে ফিরলেও ব্যাটিংয়ের সময় হাতে ব্যথা পেয়েছিলেন শরীফুল। হাতের চোটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট তো বটেই, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট সিরিজ থেকেও ছিটকে পড়েন শরীফুল।
চোটের সঙ্গে এই লড়াই নিয়ে শরীফুল বলছিলেন, ‘বলে-কয়ে ইনজুরি হয় না। ইনজুরি হওয়ার পর রিহ্যাবে থাকলে অবশ্যই খারাপ লাগে। সবাই চায় খেলার ভেতরে থাকতে, খেলতে। কোনো একটা ম্যাচ মিস করলে সবারই খারাপ লাগে। তো ওই সময়টা একটু খারাপ যায়। ওখান থেকে ফিরলে আবার ভালো লাগে।’